লিখেছেন : কবিতা রায়
১৯৩০ সালে যেসব বিপ্লবী বাঙালি চট্টগ্রামের অস্ত্রাগার লুট করে বিশ্ববিজয়ী ইংরেজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল, তাদের কিন্তু ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানী জেহাদীদের বিরুদ্ধে লড়তে দেখা যায়নি। কেবল সূর্যসেনের অনুসারীদেরই কথা নয়, এর বাইরের অনেক আগুন ঝরানো বিপ্লবীও এই তালিকায় পাওয়া যাবে। অধিকাংশেরই পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে যেতে হয়েছিল। পালানোর পর নিরাপদ হয়েও পাকিস্তানের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলবার সাহস তাদের ছিল না। আজাদ হিন্দ ফৌজের মহাবীর সিপাহীরাও নেতাজীকে হারানোর পর যুদ্ধের নাম মুখে আনা ছেড়ে দিয়েছিলেন। ১৯৫০ সালে নেহেরু এই সিপাহীদের পেনশন দেবার মৌখিক বাণী দিলেও বাস্তবে কোনোদিনই দেয়নি। ইন্দিরা গান্ধী ক্ষমতায় আসার পর সেই পেনশন চালু হয়েছিল। এই সিপাহীরা নিজেদের পেনশনের জন্য কোনো লড়াই করেননি, নেতাজীর ব্যাপারে তদন্তের জন্যও নয়।
বিনামূল্যে চাল, সস্তায় তেল, শেয়ারের দর, আকাশের স্যাটেলাইট, পাতালের রেল দিয়ে দেশ শক্তিশালী হয়না। শক্তিশালী নেতা তৈরি করতে পারলে দেশ শক্তিশালী হয়। একজন ভালো নেতার অভাবে বহু প্রমাণিত বিপ্লবীও ছাগল হয়ে যেতে পারে। আন্তোনিও আর রাহুলের হাতে কংগ্রেসের দশা কী হয়েছে, জ্যোতিবাবুর মার্ক্সলোক লাভের পর মহাপ্রতাপ সিপিএমের কী অবস্থা হয়েছে সেগুলো সবাই দেখতে পায়। এদের কারও কিন্তু ভাতের কিম্বা পয়সার অভাবে এই দশা হয়নি।
শক্তিশালী দেশ আর উন্নত দেশ এক নয়, উন্নত প্রজাতির ছাগল দিয়ে বাঘের অভাব মেটানো যায়না।
Leave a Reply