• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

পাল্লাহু । pAllahu

দাঁড়িপাল্লা ধমাধম-এর বাংলা ব্লগ

  • পাল্লাব্লগ
  • চুতরাপাতা
  • মহাউন্মাদ
  • ধর্মকারী
  • রেফারেন্স
  • ট্যাগস

নিমো হুজুরের খুতবা – ১৩

You are here: Home / ধর্মকারী / নিমো হুজুরের খুতবা – ১৩
December 18, 2016

লিখেছেন নীল নিমো

দেরিতে হলেও খবর পেলাম, কে বা কাহারা ফটোশপে ছবি এডিট করে পবিত্র কাবা শরীফের উপর শিবের মূর্তি বসিয়ে দিয়েছে। আস্তাগফিরুল্লাহ, আল্লাহ মাফ করুক। হাত পা গুটিয়ে বসে থাকা আর যায় না। আমি মুরিদদের উদ্দেশে জ্বালাময়ী জিহাদি ভাষণ দিলাম:
– সংগ্রামী জিহাদি ভাইয়েরা আমার, আল্লাহর পবিত্র ঘর কাবা শরীফের উপর শিবের মূর্তি বসিয়ে দিয়েছে…

কথা শেষ করতে পারলাম না। এক নাস্তিক আমাকে প্রশ্ন করে বসল:
– হুজুর, আল্লাহর ঘর মানে কী? আল্লাহতালার কেন ঘরের প্রয়োজন হয়?

আমি বলিলাম:
– ওরে জাহান্নামি শয়তান, তুই কী বলতে চাস? কাবা শরীফ যে আল্লাহর ঘর, এটা কখনো শুনিস নাই?

নাস্তিক বলিল:
– ঝড়, বৃষ্টি-বাদল, শীত-গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে মানুষের ঘরের প্রয়োজন হয়। তাই মানুষ ঘর তৈরি করে। আল্লাহপাকও কি মানুষের মত ঝড়, বৃষ্টি-বাদল, শীত-গরমকে ভয় পায়? আল্লাহপাক যদি বৃষ্টিতে ভিজে, তাহলে কি ওনার সর্দিজ্বর হবে?

আমি বল্লাম:
– ওরে জাহান্নামি শয়তান, আল্লাহপাক শীত-গরমকে ভয় পায় না। মানুষই নিজের ইবাদতের সুবিধার জন্য আল্লাহপাকের জন্য কাবাশরীফ, মসজিদ তৈরী করেছে।

নাস্তিক প্রশ্ন করিল:
– আস্তাগফিরুল্লাহ, হুজুর এইটা কী বল্লেন? আল্লাহপাক এই মহাবিশ্ব তৈরি করল, আর তার নিজের জন্য সামান্য একটা ঘর তৈরি করতে পারল না? ঘর বানাতে মানুষের সাহায্য লাগে? আফসুস।

আমি বল্লাম:
– তুই কি কখন মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েছিস? আল্লাহর ঘরের মাহাত্ম্য তুই ঈ বুঝবি? আল্লাহর ঘরে গেলে মনে শান্তি-শান্তি ভাব আসে। এইরকম ফালতু চিন্তাভাবনা মনে আসবে না।

নাস্তিক বলিল:
– হুজুর, আল্লাহর ঘর যে বলছেন, আল্লাহর ঘরে কি আল্লাহ বসবাস করে? একত্ববাদ অনুসারে আল্লাহ একজন মাত্র। আল্লাহ একজন হয়ে তিনি লক্ষ লক্ষ মসজিদে একই সময়ে একসাথে কীভাবে বসবাস করেন? আল্লাহ যদি তার ঘরে বসবাস না করে, তাহলে সেটা কীভাবে তার ঘর হয়? আর যদি আল্লাহতালা সর্বত্র বিরাজমান হন, তাহলে তো বলতে হয় তিনি নিজেই হল মহাবিশ্ব, তিনিই পৃথিবী, তিনিই প্রকৃতি। এমতা অবস্থায় মানুষ কিভাবে মল-মূত্র ত্যাগ করবে? মল-মূত্র ত্যাগ করলেই তো আল্লাহর গায়ে পড়বে।

নাস্তিকের উল্টাপাল্টা প্রশ্ন শুনে আমার ওযু ঢিলা হয়ে গেল। আমি ওযু করতে দৌড় দিলাম।

Category: ধর্মকারীTag: মিতকথন, রচনা
Previous Post:উম হানি ও মুহাম্মদ: ইসলামের মহানবীর প্রথম ভালবাসা (পর্ব ২)
Next Post:বিদেশ গমনের প্রাক্কালে ও পরে

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পাল্লাহু । pAllahu • ফেসবুক • পেজ • টুইটার

Return to top