মুহাম্মদের সময় কেউ বেশি বয়স পর্যন্ত অবিবাহিত থাকত না। সেই অনুযায়ী মনে হয়, মুহাম্মদের বিবাহের বয়স অনেক পেরিয়ে গিয়েছিল। এর কারণ হয়ত দরিদ্রতা। অনেকে বলেন, মুহাম্মদ আবু তালেবের কাছে উম হানিকে বিবাহের প্রস্তাব করলেন। বেদুঈন সমাজে চাচাতো, মামাতো খালাতো, ফুফাতো ভাই অথবা বোনদের সাথে বিবাহ প্রচলিত ছিল। কিন্তু আবু তালেব এই প্রস্তাব নাকচ করে দিলেন। এর কারণ হতে পারে যে, আবু তালেব চাইছিলেন আরও যোগ্য পাত্রের হাতে কন্যার হাত সমর্পণ করতে। এর বেশ কিছুদিন পরে উম হানি বিধবা হয়ে যান। তখন হয়ত উম হানি চেয়েছিলেন মুহাম্মদ আবার তাঁকে বিবাহের প্রস্তাব দেন। কিন্তু মুহাম্মদ এই ব্যাপারে আর আগ্রহী ছিলেন না। তা সত্ত্বেও তাঁদের মধ্যে ভাল সম্পর্ক থেকে যায়। যে রাত্রে তিনি স্বর্গ ভ্রমণে যান, সেই রাত্রে তিনি উম হানির গৃহে ঘুমিয়ে ছিলেন (রডিন্সন, পৃঃ ৪৯)
আরবদের যৌনক্ষুধা অতিশয় প্রবল। তলমুদ আইনজ্ঞ নাথন বলেছেন, আরবদের মাঝে যৌনসম্ভোগের যে প্রবণতা আছে, বিশ্বের আর কোন জাতির মাঝে তা নেই। পারস্যের যে বিশাল ক্ষমতার আধার, আর রোমানদের যেই বিশাল বিত্ত অথবা মিশরের যে মায়া ইন্দ্রজাল, আরবদের মাঝে সেই রকম হচ্ছে তাদের যৌনক্ষুধা। এই আইনজ্ঞ আরও বলেছেন যে, বিশ্বের যৌনক্ষুধাকে দশ ভাগ করলে তার নয় ভাগ পড়বে আরবদের পাল্লায়, আর এক ভাগ থাকবে বিশ্বের বাকি জাতিদের মাঝে। (রডিন্সন, পৃঃ ৫৪)
Leave a Reply