লিখেছেন: হিরন্ময় দিগন্ত
রাত দুটো বেজে দশ, রমযান মাস। সকলে পেটপুজো সেরে ঘুমিয়ে, ভোর রাতের সেহরীতে উঠতে হবে বলে। কিন্তু অভীক আর সাবিহা’র চোখে ঘুম নেই। ফোনে ঘন্টাখানেক যাবৎ কথা চালিয়ে যাচ্ছে দুজনে- কথা চালিয়ে যাওয়ার তেমন কোন বিষয় নেই, তেমন বিশেষ কোন দরকার নেই, তবুও কথা চলছে। মোহাবিষ্টতা পরস্পরের দিকে ঢলছে। মাঝেরাতের নিস্তব্ধ প্রকৃতিতে নির্ঘুমে জেগে থাকা পাখিদের ডানা ঝাপটানোর শব্দের মত করে ওরা কথা বলছে, হাসছে, অনুরাগী কন্ঠে আবার মাঝে মধ্যে হুতুম পেঁচার মত অসহ্য স্তব্ধতা নেমে আসছে। মাত্র ১০ সেকেন্ড হল, অভীকের বলার পর চুপ করে আছে সাবিহা। হঠাৎ- কী এক অদ্ভুত শব্দে, গাঁজা টানার ফিসফিসে শব্দের মত অস্ফুট স্বরে সাবিহা বলল- এই!
-কী! কিছুটা যেন ঘাবড়ে জবাব দিল অভীক।
-আমার… কেমন…কেমন… যেন…লাগছে…।
-কেমন?
…তুমি… বোঝো না?
… হুম, কিন্তু তুমি তো রোযা! সরলভাবে বলতে লাগলো অভীক। রমযানে এসব করন-বলন না তোমাদের জন্য নিষেধ?
আহত কন্ঠটা না বুঝতে দিয়ে হঠাৎ তেঁতে গেল সাবিহা ,- এই! তোমার সমস্যা কি হ্যা? তুমি সবকিছুতে ধর্মকে টানো কেন? তোমার কি আর খেয়েদেয়ে কোন কাজ নাই নাকি!
-আমি আবার কি করলাম? পবিত্র মাস- তোমার ভালর জন্যেই বলছিলাম, তুমি হার্ট হবে তা কি জানতাম নাকি!
-চোপ শালা মালাউন!
অভীক কি যেন বলতে যাচ্ছিল, কিন্তু ওপাশ থেকে ফোন কেটে দেয়ার শব্দ এলো। অভীক বুঝে কুল কিনারা পায় না, সাবিহা আমার পরশ চাচ্ছিল, ওভার দ্যা ফোন। আমি কী এমন বলেছি? ও এমন ভাব করল- যেন অপরিচিত কেউ ওর যৌনাঙ্গে হাত দিয়েছে!
Leave a Reply