আমাদের সবার প্রিয় (মীর) জাফর ইকবাল (মীজাই)
লিখেছেন : আলেকজান্ডার ডেনড্রাইট
বিজাতীয় আরব মুল্লুকে মুহাম্ম্দ নামের এক ধর্ম অবতারের আর্বিভাব হইয়াছিল যে কিনা তরবারি আর রক্ত দ্বারা পৃথিবী ব্যাপী ম্লেচ্ছদের ধর্মের প্রসার ঘটাইয়াছেন। তাহার কর্মকান্ডের বিবরণ শুনিয়া হতভাগা বঙ্গ ম্লেচ্ছ বুদ্ধিজীবী সন্তানেরা নাক কুঁচকাইয়া ‘মৌলবাদী, ধর্মান্ধ’, বিবিধ গালি দিয়া থাকেন সরবে , নীরবে। তদাস্থলে পৃথিবীর অপর পিঠের চে গুয়েভরার নাম শুনিলে বিপ্লবী রক্তে তাহাদের বক্ষদেশ ফুলিয়া ওঠে।
এমন ধর্মাবতারের নাম যখন বিড়ালের পূর্বে লিখিবার কারণে ম্লেচ্ছ মৌলবাদীর দল শোরগোল শুরু করিল, তখনই প্রগতিশীল রা পাল্টা দাবি করিয়া বসিল, মৌলবাদী মুহাম্মদের নাম বিড়ালের পূর্বে বসাইয়া মহা আদরণীয়, নিরীহ ‘বিড়াল প্রজাতি’ কে অসম্মানিত করা হইয়াছে। এদেশের ম্লেচ্ছ মোল্লা মৌলভীরা যখন দস্তুর মত মাদ্রাসা পাশ করিয়া মুহাম্মদের বেশ, আচার-আচরণ ধারণ পূর্বক ধর্ম প্রচার করিতে থাকে তখন মুক্ত বুদ্ধিজীবীদের গাত্র দাহ শুরু হইয়া যায়।
যাহা হউক, আমাদের সর্বজন শ্রদ্ধেয় গুরু জাফর ইকবালের নামের পূর্বে মৌলবাদী মুহাম্মদ নাম বসাইয়া অপমানিত করিতে চাহিনা। ইহার পরিবর্তে অতি সুন্দর খানদানি একখানা নাম বাছিয়া লইয়াছি, “মীর”।
আমরা অনেকেই অজ্ঞাত গুরু মীজাইয়ের বাবা ৭১ এর শহীদ হইলেও উনার নানা ছিলেন শান্তি কমিটির সদস্য ‘রাজাকার’ যিনি মুক্তিবাহিনীর হাতে শহীদ (দুঃখিত, ‘শহীদের’ স্থলে ‘নিহত’ পড়িবেন) হইয়াছেন। পদার্থের উপর পাশ করিয়া রাতারাতি কম্পু ছাইন্সের শিক্ষক বনিয়া গিয়াছেন। অথচ যতদূর জানি দুইখানা ভিন্ন জিনিস। মার্কিন মুল্লুকে এত কিছুর হাতছানি উপেক্ষা করিয়া দেশ সেবা করিতে তিনি দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। এত জায়গা থাকিতে উনি রাজাকার শিবির গোষ্ঠীর অভয়ারণ্য দুর্গম শাবিতে গিয়া যোগ দেন, তখন একটু রহস্যই লাগে। শুনিয়াছি ঐখানে উপাচার্য বা জ্যেষ্ঠ শিক্ষকগণের কথার কোন মূল্যই নাই। তিনিই সেথায় সর্বে সর্বা, সকল কর্ম কান্ডের হুকুম, কল কাঠি একাই নাড়ান।
সময় সময় উপাচার্য কেও তাহার কর্মকান্ডের জবাব দিহি দেয়া লাগে মীজাই এর কাছে।
জামাত রাজাকার রা ৭১ এ ম্লেচ্ছদের ধর্মের যে নারকীয় রূপ দেখাইয়াছে উহা দর্শন পূর্বক যাহারা মানসিক ভারসাম্য হারাইয়া ফেলিয়াছিলেন তাহার মাঝে গুরু মীজাই একজন। “সকল জামাত রাজাকার, কিন্তু সকল রাজাকার জামাত নহে”—-এ সরল সত্য কথাটি তিনি মানিয়া লইতে পারেন না। । বরং দাড়ি-টুপি পরিহিত যে কোন ম্লেচ্ছ মৌলবাদী দেখিলেই তিনি ‘রাজাকার, রাজাকার’ বলিয়া মৃগী রোগে আক্রান্ত হইয়া পড়েন। গল্প উপন্যাস লিখিয়া এক ঢিলে চার পাখি মারিতেছেন
১. নিজের আদর্শ প্রচার আর দেশপ্রেমিক হিসেবে দেখানো
২. অর্থ উপার্জন
৩. অসাধারণ গল্প ফিকশনে তার ব্যক্তি আদর্শের বটিকা ঢুকাইয়া তরুণ প্রজন্মের মগজ ধৌলাই পূর্বক বিপুল খ্যাতি কুড়ানো
৪. মিডিয়ায় নীতি-আদর্শের গাল গল্প করিয়া নিজেকে ঐশ্বরিক অবস্থানে লইয়া যাওয়া যিনি কখনও মিথ্যা বা ভুল বলিতে পারেননা।
দাউদ হায়দার বা কবীর চৌধুরীর নামে গাল পাড়িলে কোন আওয়াজ হয়না। কিন্তু মীজাইর ভুল ধরিলে জ্ঞানান্ধ তরুণ প্রজন্ম খঞ্জর হস্তে আপনার উপর ঝাপাইয়া পড়িবে। কী ভয়ংকর জনপ্রিয়তা!!!
রাজাকার-জামাতের বিরুদ্ধে লিখুক অতি উত্তম কথা। কিন্তু সকল দাড়ি-টুপি ওয়ালা ম্লেচ্ছকে রাজাকার ও মৌলবাদের যুগপত কাতারে দাড় করাইতে হইবে, ইহাই তাহার আদর্শ। ধর্মের কথা শুনিলেই তাহার বিকার উঠিয়া যায়। তাহার সহোদর ভ্রাতা হুমায়ূন আহমেদ এখনও সুস্থ সবল স্বাভাবিক মানুষ আছেন। হুমায়ুনের ‘শ্যামল ছায়া’ তে দাড়ি ওয়ালা ম্লেচ্ছ মাওলানাকে তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি দেখাইয়াছেন। একই মাতৃ জঠরে বড় হ্ওয়া ভ্রাতা মীজাই একই চরিত্রকে দেখাইবেন লম্পট, ধর্ষক, সাম্প্রদায়িক পশু আকারে।
পূর্বেই বলিয়াছি, ধর্ম ব্যবসায়ী জামাতের বর্বতা দেখিয়া স্বজাতি ম্লেচ্ছদের ধর্মের উপর যে ভয়ংকর ঘৃণা জন্মাইছে, তাহাই ফুটিয়া উঠিতেছে তাহার মহা জনপ্রিয় বই পুস্তকে । দেশদ্রোহী রাজাকার বিরোধী ন্যায্য কথার ফাঁক ফোকর দিয়া ঢুকাইয়া দিতেছেন ধর্ম বিদ্বেষের অযৌক্তিক বিষ। উঠতি তরুণ প্রজন্ম সেই রাজাকার বিরোধী দেশ প্রেম শিখিবার সাথে সাথে ধর্ম, ম্লেচ্ছ, মোল্লা বিরোধী ভয়ংকর চেতনা লইয়া বড় হইতেছে।
ইহা নিয়াই আমাদের আগামী পর্ব (মীজাইয়ের ধর্ম প্রীতি) :‑p
Leave a Reply