পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের ড. লেখার ফ্যাশন বাদ দিতে হবে
লিখেছেন : আলেকজান্ডার ডেনড্রাইট
যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বড় বড় নামকরা অধ্যাপকের সাদামাটা নাম করণ দেখে আমাদের লোকজনের খটকা লাগে । পিএইচ ডি নাই নাকি? নামের সামনে ড. কোথায়? অথচ তার হাত দিয়ে গন্ডা খানেক পিএইচ ডি বেরিয়েছে। সেসব দেশে ডাক্তার দের প্রচন্ড সম্মান করা হয় এবং জানিনা তাদের সম্মানের জন্যই হয়ত পিএইচ ডি পাসধারীদের নামের শেষে ডক্টর শব্দটা অবান্তর ও হাস্যকর শোনায়। বড়জোর তারা লিখে,
মো. মফিজ, পিএইচ ডি
আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পিএইচ ডি করে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দিয়ে দুদিনের মাথায় সহযোগী অধ্যাপক হয়ে পড়েন। ভাব খানা এমন যে সহকারী অধ্যাপকের পদটা মাস্টার্স বা এমফিল পাস শিক্ষকদের জন্য।
সবচেয়ে ভয়াবহ হল পিএইচ ডি না করেই ফুল প্রফেসর হয়েছেন এমন ভুরি ভুরি দৃষ্টান্ত আছে এদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে। >:[
অভিজ্ঞতা আর জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতেই এ উত্তরণ করা হয়। কাজেই অধ্যাপক হতে আর পিএইচ ডি র প্রয়োজন নাই এ দেশে। :‑p
আর বাইরের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পিএইচ ডি ছাড়া কোন নিয়োগ পত্রই পাবেননা আপনি। সহকারী অধ্যাপক হিসেবে এমন কি সিনিয়র লেকচারার হিসেবে সারা বছর কাটিয়ে দিতে হবে গবেষণায় কোন উন্নতি সাধন না করলে।
কাজেই অধ্যাপক মানেই ডক্টরেট ডিগ্রীধারী, চেনা বামুনের যেমন পৈতা লাগেনা, আসল অধ্যাপকদের জোর গলায় ড. বলার প্রয়োজন হয়না ,
“আমি ডক্টর অমুক”? তারমানে শোনায় আমি ডাক্তার!!!! ইংরেজিতে পার্থক্য করা হয়না। Dr. is Dr.
বাংলায় আবার অদ্ভুত ভাবে ড. বনাম ডা. লিখে চিকিৎসকদের ‘ডক্টর’ সম্ভাষণ থেকে বঞ্চিত করা হয়। আরে তারা ত ডাক্তার আর কি? ঐ হাতুড়ে ডাক্তার, গ্রামের ডাক্তার……বাট নট স্মার্ট ডক্টর!!!
নচেৎ এদেশীয় নিস্ফল পিএইচ ডি অর্জন করে নামের সামনে প্রতিবার ড. অমুক , ড. তমুক না লাগিয়ে ডক্টর তকমাটা ডাক্তারদের জন্যই বরাদ্দ রাখা হউক।
Leave a Reply