কার যেন একটা কথা আছে, অনেকটা এরকম–রাস্তায় ঘেউ ঘেউ করা সব কুকুরের পেছনে লাগলে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে না।–অবশ্য কুকুর আর মানুষ আলাদা–কুকুরকে এড়িয়ে যেতে পারলেও মানুষকে অনেক সময় এড়ানো যায় না… সাথে নিয়ে চলতে হয়… কী বলে, শুনতে হয়… সাহায্য লাগলে করতে হয়… আসলে পুরো ব্যাপারটাই পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপর নির্ভর করে…
২) ব্লগে যেতাম মূলত পড়ার জন্য। পড়তে পড়তে দেখলাম নিজেরও কিছু বক্তব্য থাকতে পারে। সেই থেকে ব্লগে কমেন্ট করা শুরু। আবার অনেক সময় কমেন্ট অনেক বড় হয়ে যেত–দেখলাম এরকম পরিস্থিতিতে অনেকেই আলাদা পোস্ট দিতেন–দেখাদেখি আমারো আলাদা পোস্ট দেয়া শুরু…
৩) পোস্ট কাউকে পড়াতে হবে–এমন নয়। আবার ফেসবুকে এসে পোস্ট সবসময় বড় হয়–তা-ও নয়। তবে বড় লেখাগুলো মাথার মধ্যেই ঘুরপাক বেশি খায়। পোস্ট দেয়া হয়ে ওঠে না। নানান ধরনের ইস্যু চলতে থাকে–সেসবের মধ্যে ঢুকলেই দু-এক লাইনে খোঁচা-মারা টাইপের পোস্টেই আটকে যেতে হয়। তারপর আবার ক্যাচাল লাগলে তো কথাই নেই! নিজের লেখাগুলো আর লেখা হয় না। অথচ কত কিছুতেই–একটা বই পড়লে, কোথাও ঘুরতে গেলে, পুরানো স্মৃতি মনে পড়লে, আরো কত কিছুতে নিজের কত কিছু বলার ইচ্ছে হয়… এই মুহূর্তেই মাথার মধ্যে প্রায় ডজনখানেক লেখার বিষয় ঘুরছে। অনেকের সাথে কথা প্রসঙ্গে বলে রেখেছি এটা নিয়ে কিছু লিখতে হবে, সেটা নিয়ে কিছু লিখতে হবে… ডায়েরির মতো করে নিজের জন্যই লেখা… কিন্তু সময়-সুযোগ হয় না।
৪) লিখতে গেলে আগে একটু ভাবতেও হয়–টুকটাক পয়েন্টগুলো গুছিয়ে নিতে হয়। কিন্তু সংসারে ঢুকলে এই ভাবনার জন্য দুদণ্ড সময়ও মেলে না। একমাত্র মেলে বাথরুমে ঢুকলে। কিন্তু বের হলেই আবার সব এলোমেলো হয়ে যায়।
৫) যারা ফেসবুকে দু-এক লাইনে শর্টকাট না মেরে একটু বড় করে ব্লগের মতো পোস্ট করেন, তারা কীভাবে কর্মব্যস্ততার মাঝে, সংসারে থেকেও সময়-সুযোগ বের করে লেখালেখি করেন, যদি একটু টিপস দিতেন, উপকৃত হতাম। ধন্যবাদ।
Leave a Reply