আল-কলহ (আমি ভুল লিখলেও জানি আপনি ঠিকঠাক পড়ে নিয়েছেন) লিখলে ইহার প্রচার-প্রচারণার জন্য রিপোর্ট খাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই আলক্যাচাল বলা যেতে পারে। (হ্যাঁ, আপনি যেটা বুঝেছেন, সেটাই।) সেটা খাওয়া নিয়ে একদল লোকের যেমন বাড়াবাড়ি, তেমনি না খাওয়া নিয়ে ৯০%দের বাড়াবাড়ি তো বলতে গেলে নোবেল পাওয়ার যোগ্য। দেখেন সুযোগ-সামর্থ্য থাকলে ইচ্ছে হলে খাবেন, ইচ্ছে না হলে খাবেন না। সিম্পল! এটা নিয়ে এতো কহল থুক্কু কলহ করার কিছু নেই।
মাতলামি করে গাড়ির তলায় না পড়লে বা ধরুন উপাসনালয়ে না গেলেই তো হয়। মহাকবি তো এটাই বলে গেছেন, তাই না? পেঁয়াজ-রসুন খাওয়া নিয়েও তো মনে হয় এরকম কিছু বলা আছে। তাই বলে কি পেঁয়াজ-রসুন খাওয়া বাদ দিয়েছেন? শুধু বলা হয়েছে, মুখে ওরকম গন্ধ-দুর্গন্ধ নিয়ে লোকের সামনে মুখ না খোলাই ভালো। কমনসেন্সের ব্যাপার!
ওদিকে আলকলহ থুক্কু আলক্যাচালকে দেখেন–চাইলেও নিত্যদিনকার ব্যবহার্য বস্তু থেকে বাদ দেয়ার উপায় নেই। সকালে দাঁতব্রাশ করতে পেস্ট ব্যবহার করেন, সেখানে আলক্যাচাল; গোসলে সাবান-শ্যাম্পু ব্যবহার করেন, সেখানেও আলক্যাচাল; লোশন-ক্রিম মাখেন, সেখানেও আলক্যাচাল; মেকাপ করেন, সুগন্ধি মাখেন, সেখানেও আলক্যাচাল; হ্যান্ড-স্যানিটাইজার থেকে শুরু করে কাটাছেঁড়ায় ডেটল-স্যাভলন–সবখানেই তেনার উপস্থিতি। এই যে শুতে যাবার আগে মুখে মাউথওয়াশ নিয়ে কুলকুচি করতে করতে এই লেখাটা লিখছি–এখানেও আলক্যাচাল।
আচ্ছা, ঠিক আছে, খাওয়ার দরকার নেই। ওটা ইহকালে শুধু নাস্থেকরাই খাক। আপনারা খেয়ে দাম বাড়িয়ে দেবেন, দরকার নাই। আপনারা পরকালে গিয়ে খাবেন–সেই ভালো। আমিও যাই, শুয়ে পড়ি…
Leave a Reply