ফেসবুকে সবচেয়ে ডিস্টার্বিং সময়টা ছিল নাস্তিক হত্যার দিনগুলা। একদিকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া, অন্যদিকে তবে-কিন্তু-যদি পার্টির লোকগুলাকে দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যাওয়া–এরাই কমবেশি আমাদের লিস্টেই বন্ধুরূপে ছিল…
আমার জন্য দ্বিতীয় ডিস্টার্বিং সময়টা ছিল ব্যাঙগানিক গ্রুপটা ভেঙে যাওয়ার দিনগুলা। যাদের সাথে দিনের পর দিন ব্লগ-ফেসবুকে সময় কাটাইছি, তাদের দলাদলি আর অনেকের নীরবতা অবাক করেছিল…
এতোদিন পরে সেসব ভালো করে আর মনে নাই। মনে নাই তবে-কিন্তু-যদি পার্টির লোকগুলারেও। সময়ের স্রোতে অনেক কিছুই ভেসে যায়, অনেক কিছুই চেঞ্জ হয়, অনেক কিছুই তলিয়ে যায়। আবার হুট করে কোনো না কোনো প্রসঙ্গে কিছু না কিছু ভেসে ওঠে। যেমন ইদানিং ভাসছে কবির সুমনের নাস্তিক-হত্যা জাস্টিফাই করে দেয়া কিছু পোস্টের স্নাপশট…
কবির সু্মন আমার প্রিয়–এরকম কিছু বলার সুযোগ কখনো হয় নাই। এককালে নিউজপেপারে বোর্ডের স্ট্যান্ড করা ছাত্রছাত্রীদের সাক্ষাৎকার পড়তাম। অনেকেই তাদের প্রিয় শিল্পী/গানের প্রসঙ্গে কবিr সুমনের নাম উল্লেখ করত। ওভাবেই অখ্যাত অজ পাড়াগাঁয়ে বসে নাগরিক কবিয়ালের নাম শোনা। তারপর গান শোনা… যদিও অনেক দিন শোনা হয় না। শেষ শুনেছি শিমুল মুস্তাফার আবৃত্তিতে–ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হিসাবে… তবে নিজেরই অবাক লাগে–উনার ‘জীবনমুখী’ গানের চেয়ে আমার পছন্দ ছিল উনার গাওয়া রবীন্দ্রসংগীত…
আজ আবার এই পিছনমুখী হতে গিয়ে অনেক গানের কথা ও সুর কানে বাজছে, কিন্তু ওই স্নাপশটগুলা হৃদয়ে বিঁধছে তীরের মতো…
Leave a Reply