মনে হয় বছর দশেক আগে এই বিষয়টা নিয়ে একবার পোস্ট দিয়েছিলাম। বিশু বলছিল ব্যাপারটা। Rate My Professors ডট কম বলে একটা ওয়েবসাইট ছিল (গুগল করে দেখলাম এখনো আছে)–মানে ভার্সিটিতে তো শুনি কোন টিচার কোন সাবজেক্ট পড়ায় সেসব ভার্সিটির ইয়ারলি ক্যাটালগ বুকে থাকে, আবার কে কোন সেমিস্টারে কোন কোন কোর্স নেবে, সেটা স্টুডেন্টরাই ঠিক করে। তো কোর্স চুজ করার আগে দেখে টিচার কে। তারপর সেই টিচারের নাম দিয়ে ওই ওয়েবসাইটে সার্চ লাগাও–ব্যাস, টিচার কেমন, কেমন পড়ায়, কেমন গ্রেড দেয়, কড়া না সহজ, কেমন হেল্পফুল, ইত্যাদি ইত্যাদি ইনফো পাওয়া যেত। (ফান হিসেবে আরেকটা ক্যাটাগরি ছিল–হটনেস! এই জায়গাটা ৫টা লাল মরিচ দিয়ে রেটিংয়ের ব্যবস্থা। পোলাপান!) রেটিং-এর পাশাপাশি স্টুডেন্টদের কমেন্ট করার সিস্টেমও থাকত।
আমাদের দেশে সব দোষ হয় মাদ্রাসার হুজুরদের। আসলে বাচ্চা পোলাপান, লোড নিতে পারে না–মারা যায়। নিউজ হয়। স্বাভাবিক ভাবেই হৈচৈ বেশি হয়। এসব ঘটনা স্কুল-কলেজে বা প্রাইভেটেও কম হয় না। আমার ধারণা সেটা মাদ্রাসার চেয়েও বেশি হবে। স্টুডেন্টদের সাথে কিছু না কিছু, কোনো না কোনো ভাবে ইয়েটিয়ে করে না, এমন টিচার মনে হয় খুব কমই আছে। এছাড়া প্রচুর টিচার আছে যারা প্রেম-বিয়েই করেছে নিজের ছাত্রীদের সাথে। (বিয়ে বা সম্পর্ক হতে পারে, তবে সেটা স্টুডেন্ট-টিচার সম্পর্কটা শেষ হওয়ার পরে।)
অনেকে বলতে পারেন–স্বেচ্ছায় হলে সমস্যা কোথায়? সমস্যা হলো স্টুডেন্ট-চিটারদের মধ্যে স্টুডেন্ট-চিটার সম্পর্ক বাদে আর কোনো সম্পর্ক হওয়াটা শুধু অনৈতিক নয়, অপরাধও। অন্তত উন্নত বিশ্বে। (নিজেদেরকে উন্নত মনে না করলে বাদ দেন–আর পড়ার দরকার নাই।)
যা বলছিলাম, আমাদের দেশেও ওই Rate My Professors-এর আদলে ডাটাবেজ-ওয়েবসাইট হলে বেশ হতো। স্কুল কলেজ ভার্সিটির রেটিংয়ের পাশাপাশি কোন শিক্ষক কেমন পড়ায়, কে গায়ে হাত তোলে, কে আদর করে মাথায়-পিঠে হাত বোলায়, কে কুনজর দেয়, কে কুপ্রস্তাব দেয়, কে স্টুডেন্টদের সাথে প্রেম করে, কে নিজের স্টুডেন্টের সাথে বিয়ে করে–এসব কিছুর রেকর্ড থাকলে মন্দ হতো না। আমার মনে হয় এমন একটা সিস্টেম করে ফেলতে পারলে স্টুডেন্টরা সাড়া দেবেই। ডিজিটাল বাংলাদেশে তো অনেক কিছুই হচ্ছে, তো এটাই বা বাকি থাকে কেন! (অবশ্য বিপদও আছে–কাউরে পছন্দ না হলে যেভাবে বানিয়ে বানিয়ে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তোলে… নাহ বাদ দেন, এই জাতি মারাই খাক….)
Leave a Reply