বখাতে দুর্বাসার ঈভ-টিজিং-এ অতিষ্ট হইয়া ফার্স্টলেডি শ্রীমতি লক্ষ্মীদেবী সিন্ধুনদে গলায় কলসি বাঁধিয়া ডুবিয়া মরিলে তিন কাল গিয়ে এক কালে ঠেকা প্রেসিডেণ্ট শ্রীশ্রী বিষ্ণুহরি নারায়ণ প্রাইম মিনিস্টার শ্রীশ্রী ব্রহ্মানন্দজী বুইড়ারাজকে ডাকিয়া কহিলেন, তুমি আবার উলটা বুইঝো না হে ব্রহ্মানন্দ। আসলে হইছে কি, এই বয়সে দেখাশোনা করার জন্য হইলেও তো একজন সঙ্গী-সাথী থাকা দরকার। প্লীজ লাগে তুমি কিছু একটা ব্যবস্থা কইরা দাও হে!
প্রাইম মিনিস্টার ব্রহ্মানন্দজী ওয়াটার রিসোর্স মিনিস্টার বরুণদেবকে ডাকিয়া কহিলেন, সরকারের ভাণ্ডারে টান পড়িয়াছে। সিন্ধুনদে জাল ফেলিয়া অথবা সেচিয়া মৎস্য আহোরণে মনে দাও দিকি। সেই সাথে সোনার কসলি-টলসিসহ কিছু মণি-মুক্তাও পাওয়া যাইতে পারে।
‘যে আজ্ঞা’ বলিয়া মিনিস্টার বরুণদেব তাহার দলবল লইয়া সিন্ধুনদে জাল ফেলিতে নামিয়া পড়িলেন। সোনার কসলিসহ অনেক ধনসম্পদ লাভ হইল বটে, তবে লক্ষীদেবীকে পাওয়া যাইতেছিল না দেখিয়া ব্রহ্মানন্দজী তাহাদিগকে আরো অনুসন্ধান চালাইয়া যাইতে কহিলেন। একসময় বরুণদেব ক্লান্ত হইয়া পড়লে ব্রহ্মানন্দজীকে বলিলেন, স্যার, আর তো পারিতেছি না। এইবার মাফ চাই দোয়া চাই!
বরুণদেবের ক্লান্ত-করুণ মুখ দেখিয়া ব্রহ্মানন্দজীর দয়া হইল। তাহা ছাড়া তিনি বুঝিলেন সিন্ধুনদে লক্ষীদেবীকে আর পাওয়া যাইবে না। তিনি ততদিনে মরিয়া গিয়া কোথাও ভাসিয়া গিয়াছেন!
ব্রহ্মানন্দজী বরুণদেবকে ডাকিয়া কানে কানে বলিলেন, সিন্ধুনদ ছাড়িয়া সারা দেশে জাল ফেলাইয়া সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটাকে লইয়া আইস তো দেখি। তারপর তাহাকে মিস্টার প্রেসিডেণ্টের কাছে লইয়া গিয়ে বলো যে, লক্ষীদেবী সিন্ধুতে ডুবিয়া আবার এইরূপে পুনর্জন্ম লাভ করিয়াছেন, আপনি উহাকে গ্রহণ করিয়া আমাদিগকে এইবার বিশ্রাম যাইতে আজ্ঞা দিন।
বরুণদেব তাহাই করিলেন। দেশসেরা সুন্দরী যুবতীকন্যাটিকে লইয়া মিস্টার প্রেসিডেণ্টের কার্যালয়ে হাজির হইলেন। সুন্দরীটিকে দেখিয়া মিস্টার প্রেসিডেণ্টের খুব পছন্দ হইলে তিনি বলিলেন, লক্ষ্মী যদি মিলিল তখন আর সিন্ধুনদ মন্থনের দরকার নাই, শুধু শুধু তোমাদিগের অনেক পরিশ্রম হইলো…
বরুণদেব মাথা চুলকাইতে চুলকাইতে বলিলেন, কী যে বলেন স্যার…আমরা তো আপনারই সেবায় নিয়োজিত…
[সৌজন্যে : কাশীদাসী মহাভারত
কৃতজ্ঞতা : বিশু কর্মকার]
Leave a Reply