ফাতেমা দেবীর ফতোয়া – ১৫

লিখেছেন ফাতেমা দেবী (সঃ)

মমিন বন্ধুরা, আপনারা রোজাকে কোথায় রাখেন? কোথায় রাখলে ভাল হয় একটু পরামর্শ দেন তো। আমি কালকে একটা স্টিলের পাতিল এনে তার ভেতরে রোজাকে ঢেকে রেখেছি যাতে মাছি-মশা বসতে না পারে। মমিনাদের গায়ে মাছি বসতে না পারার জন্য যেমন তাদেরকে বস্তা ভরে রাখা হয়, তেমনি রোজার গায়ে যাতে মাছি বসতে না পারে তাই রোজাকে পাতিল ভরে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। ঠিক আছে না?

পাক-পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ। তাই আমি প্রতিদিন জমজমের পাক পানি দিয়ে ভালোভাবে গোছল করি, থালাবাসন ধুই, ঘরের মেঝে ধুই, টয়লেট ধুই, কাপড়চোপড় ধুই। সবকিছু খুব পাক-পবিত্র হয়। একেবারে ঝকঝক তকতক করতে থাকে। সাধারণ পানিতে কিন্তু এতোটা পাক-পবিত্র হয় না কোনোকিছু। আল্ল্যার নেয়ামতপূর্ণ পাক-পানি ব’লে কথা। সকল মুছলিম ভাইবোনেরা, আপনারাও আমার মত ঈমানের অঙ্গের রক্ষণাবেক্ষণ করুন। জম জমের পানিতে সবকিছু ধুয়ে মুছে পাক রাখুন, নিজে পাক থাকুন, ঈমানের অঙ্গের যত্ন করুন।

দয়াময় আল্যার সৃষ্ট মানুষ খিদায়-তৃষ্ণায় ছটফট করলে তিনি আনন্দিত হন। আল্যা কতো দয়াময়, একবার ভেবে দেখেছেন কি?

মহানবীজি আসলেই একটি মহাকমেডিয়ান ছিলেন। তা না হলে আমরা এত এত হাসির রসদ কোথায় পেতাম, বলুন তো?

আমাদের আল্ল্যাপাক নাকি পবিত্র রমজান মাসে শয়তানকে বেঁধে রাখেন দড়ি দিয়ে, যাতে সে মানুষকে দিয়ে শয়তানি করাতে না পারে। তাহলে আমি এই পবিত্র রমজান মাসে এত শয়তানি, এত কুফরী করে যাচ্ছি কীভাবে? শয়তানের অনুপস্থতিতে কে আমাকে দিয়ে শয়তানি করাচ্ছে? নিশ্চয়ই আমাদের আল্ল্যাপাক।