এতোদিন শুইনা আসছি–সুন্নিরা শিয়াদের মসজিদে গোলাগুলি কইরা বোমা মাইরা শান্তি প্রতিষ্ঠা করে। এখন দেখতেছি শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজে মোজলেমদের মসজিদে সাদাইয়ারাও আগাইয়া আসতেছে। নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুইটি মসজিদে শান্তি প্রতিষ্ঠার সর্বশেষ ফলাফল : নিহতের সংখ্যা ৪৯, এর মধ্যে তিন জন বাংলাদেশি। ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ৪৮ জন, যার মধ্যে আছে শিশুরাও।
২) কামলা দিতে আসার সময় ট্রেনে বইসা নিজের ছাগইল্যা দাড়িতে হাত বুলাইতেছিলাম আর আশেপাশে তাকাইতেছিলাম–নাহ, কারো মধ্যে কোনো বিকার নাই। তবুও কেন জানি মনের মধ্যে খচখচ করতেছিল–আয়নার সামনে দাঁড়াইলে চেহারাটা মুসলমানদের মতো লাগে!
৩) আতরের দোকানের পাশেই মসজিদ। কামলা দিতে আইসা দেখি মসজিদের আশেপাশে অনেক পুলিশ দাঁড়াইয়া আছে। হুজুররে কইলাম–হুজুর ডর লাগতেছে… হয় দুকানটা অন্য কোথাও সরাইয়া নেন, না হইলে অন্তত জুম্মাবারে দুকান বন্ধ রাখেন।
জুম্মাবারেই বেচাকেনা বেশি হয়। হুজুর করুণ চোখে তাকাইয়া আছে।
আরেকটু যোগ করলাম, আল্লার দোহাই লাগে হুজুর আর আমারে মসজিদে গিয়া নামাজ পড়তে জোরাজুরি কইরেন না।
৪) সুন্নিপ্রধান দেশে শিয়ারা প্রতিনিয়ত জেনে আসতেছে–মসজিদ হলো সবচেয়ে অনিরাপদ জায়গা। মুসলিমপ্রধান দেশের খ্রিষ্টানরাও জানে–গীর্জা হইলো সবচেয়ে অনিরাপদ জায়গা। আর মুসলিমপ্রধান দেশে আগত হিন্দু-দেবদেবীরাও জানে মন্দিরে ঢুকলে কখন না জানি আবার হাত-পা নাক-মুখ ভাইঙ্গা নুলা হইয়া মাটিতে গড়াগড়ি খাইতে হয়। এখন বাকি মুসলমানরাও জানতেছে মসজিদ কতটা ভয়ংকর জায়গা হতে পারে। আসলেই জানার কুনো শেষ নাই!
৫) দেশে-বিদেশে রাস্তার ধারে বা এলাকায় স্কুল-কলেজ থাকলে সেই রাস্তার পাশে বা এলাকায় সাইনবোর্ড টাঙ্গাইয়া লিখা দেয়া হয়–সামনে স্কুল, ধীরে চলুন। এখন (সময়ের দাবী) কোনো এলাকায় মসজিদ থাকলে লিখা দেয়া উচিত–সামনে মসজিদ, দ্রুত ভাগুন।
৬) বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে যার ধর্মীয় আবলামি দুঃখজনকভাবে তার সাইজের সমান না হয়ে তার প্রতিভার সমান হইয়া গেছে, সেই মুসফিক আল্লার কাছে শুকরিয়া আদায় করছে একটুর লাইগা বাঁইচা যাওয়ার জন্য। বলতে খারাপ লাগলেও এইটাই সত্য যে দুনিয়ার সবচেয়ে স্বার্থপর হইলো এই মমিন মডারেট মুসলিমগুলা… সারা দুনিয়া ধ্বংস হইয়া গেলেও যদি এরা একজন বাঁইচা থাকে, তাহলে আল্লারে শুক্রিয়া জানাইবে তারে বাঁচাইয়া রাখার জন্যে।
৭) দেশি ক্রিকেটারদের ও ক্রিকেটপাগল মমিনদের ভাষ্যে মনে হয় ক্রিকেট খেলা আল্লা মনোনীত খেলা, আর সে কারণেই এদের কেউ এই ঘটনায় নিহত-আহত হয় নাই।
৮) ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে হামলায় ৪৯ জন নিহত এবং ৪৮ জন আহত হইলেও কোরান শরিফের গায়ে একটি গুলিও লাগে নি এবং মসজিত অক্ষত আছে। আলহামদুলিল্লাহ। এতেই প্রমাণ হয় আল্লা আছেন এবং তিনি তার কোরান ও ঘর রক্ষা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমিন না লিখে যাবেন না।
Leave a Reply