লিখেছেন : বিশু কর্মকার
প্রথমে নাস্তিক, তারপর ধর্মবিদ্বেষী -> ইস্লাম্বিদ্বেষী -> মুস্লিম্বিদ্বেষী… তারপর একদিনের ব্যান -> তিনদিনের ব্যান -> সাতদিনের ব্যান -> একমাসের ব্যান -> তিনমাসের ব্যান–এভাবেই চলছে… অন্যের ব্লগে যাওয়ার উপায় নেই; ওয়ার্ডপ্রেস-ব্লগস্পটের মতো ফ্রি সাইটেও গ্যারান্টি নেই; নিজের ওয়েবসাইট করলেও কপিরাইটের রিপোর্ট পড়লে হোস্টিং কোম্পানি সাইট অফ করে দেবে… কিচ্ছু বলার উপায় নাই…একেবারে মুখে তালা মেরে দেয়ার মতো অবস্থা এবং ব্যবস্থা করে ফেলছে সেক্যুলার মানবতাবাদী ব্যবসায়ীরা…
এমত অবস্থায়, এবং শুধুমাত্র ধর্মীয় কারণে ব্যক্তিগত-পারিবারিক ভাবে হেনস্তার অভিজ্ঞতায়–এত বছর পরে, এই নাস্তিকতা, ধর্মীয় টপিক, মানবতাবাদ–হেনতেন বিষয়গুলা ইদানিং সহ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। অন্তত এই ভারতবর্ষে পশ্চিমাদের কাছ থেকে ধরা করা মানবতার কথা বলা আর খাল কেটে কুমির আনা একই ব্যাপার। ওই মানবতা জিনিসটা এখন মানবতার ধারকবাহক পশ্চিমাদেরই গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ছিলাম সাঁওতাল। পূর্বপ্রজন্মের কেউ ভালো লাগার খুশিতে ঠেলায় ঘোরতে ঘোরতে বাঙালি হয়ে গেছে। কিন্তু আজ বাঙালি পরিচয়টাও হাইজ্যাক হয়ে গেছে–আরব থেকে আসা লোকজন শুনি এখন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি! আর বাংলাদেশি পরিচয়? ৯৭% মুস্লমানের দেশ! বাকি থাকে ভারতীয়। সেইটা কইতে গেলে আশেপাশের সেক্যুলাররাই আগে হাসাহাসি করবে। বাদ দেই। আমি আসলে সেই হিন্দু–সিন্ধুপারের অধিবাসী হিন্দু–হিন্দুস্তানী–শেষ পর্যন্ত ওই হিন্দুত্ববাদই আসল কথা, আসল পরিচয়–লুকানোর কিছু নাই।
এবার চিনতে হবে শত্রু-মিত্র। কোনো না কোনো সময়ে হিন্দুস্তানে থাকতে চাইয়া জায়গা পায় নাই এমন জাতি পৃথিবীতে বিরল। জাত-পাত নিয়ে কারো সাথে আমার কোনো সংঘাত নাই। ধর্ম নিয়েও থাকত না–ভারতবর্ষে কোন ধর্মের মানুষ নাই! কিন্তু–
সেই ভারতবর্ষের এই যে আফগানিস্তান পাকিস্তান বাংলাদেশ–দখল হলো তো? ইস্লাম আর মুস্লমান! দখল পর্যন্তও আপত্তি থাকার কথা না। কিন্তু এরা আশেপাশে ভিন্নমতাবলম্বী বা অমুস্লিম আর কাউরে সহ্য করে? আফগানিস্তানে মুস্লমান বাদে আর কেউ থাকতে পারছে? পাকিস্তানে পারে? বাংলাদেশে পারবে?–না! তারপর–
এইবার নজর বাকি অংশে–কোনো লুকোছাপা নাই–প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে এগিয়ে আসছে–//গাজওয়াতুল হিন্দ//–উইকির সংজ্ঞা–//গাজওয়াতুল হিন্দ হচ্ছে ইসলামের সর্বশেষ নবি মুহাম্মাদের একটি ভবিষ্যদ্বাণী, যেখানে উল্লেখ আছে, ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে একটি যুদ্ধ সংঘটিত হবে, যাতে মুসলমানদের বিজয় ঘটবে।// অর্থাত ইস্লাম আর মুস্লমানরা যে ভারত এবং অমুস্ললিমদের শত্রু–সেটা তারা প্রকাশ্যেই ঘোষণা দিয়ে এগিয়ে আসছে।
প্রকাশ্যে শত্রু থাকলে অপ্রকাশ্য শত্রুও থাকবে– চাণক্য দৃশ্যমান শত্রুর পাশাপাশি অদৃশ্য শত্রুর কথাও বলে গেছেন।ইস্লাম আর মুস্লমানরা আমার দিকে প্রকাশ্যে যুদ্ধাংদেহী মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসছে, আর বাম-সেক্যুলার-মানবতাবাদীরা আমাকে শেখাচ্ছে–মানবতাবাদী হও, ইস্লাল-মুস্লমানদের জায়গা দাও! এই ঘরের শত্রু বিভীষণ অপ্রকাশ্য/অদৃশ্য শত্রুদের আগে থেকে চিনতে না পারলে ভেতর থেকে খাইয়া দিবে–শউরের বাচ্চারা! [মানবতা দিয়ে ইস্লাম আর মুস্লমানদের থামানো যায় নাই; ইতিহাস সাক্ষী–ঘরে ঢুকে এরা প্রথমেই আপনার ঘরের নারী আর সম্পদের দিকে নজর দিবে।]
তারপর? শত্রু-মিত্র যদি চিনতে পারি, তাহলে সেই পুরানো কথাটা আবার মনে করি–আগুন আর শত্রুর শেষ রাখতে নাই। আজ এদের বাড়বাড়ন্ত দেখে বলতে বাধ্য হচ্ছি–ক্ষমতা থাকলে এইগুলারে কচুকাটা করতাম–এইগুলা মানুষ না, একেকটা ভাইরাস–রক্তবীজের ঝাড়! কিন্তু একার পক্ষে সেইটা সম্ভব না। প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। তাই দরকার সম্মিলিত প্রতিরোধ। সেই সাথে যারা এইগুলারে জায়গা দেয়, বাড়তে দেয়–সেইগুলারেও সমূলে উচ্ছেদ করা।
[বি:দ্র: হ, সব মুস্লমান এক না। অনেক মুস্লমান গাজওয়াতুল হিন্দের স্বপ্ন দেখে না–তারা দরবেশ সুফী ফেরেস্তা। তবে আমি নাস্তিক–দরবেশ সুফী ফেরেস্তাদের আরো বেশি অবিশ্বাস করি।]
Leave a Reply