লিখেছেন : মাসুদ আবদুল্লাহ
ভারতের বুদ্ধিজীবীদেরই আমার পারফেক্ট মনে হয়। তাঁরা মুসলিমদের মেয়ে এবং ছেলেদের জন্য মাদ্রাসা বরাদ্দ করতে চান। মুসলিমদের মেয়ে এবং ছেলেরা বিজ্ঞান না শিখে যেন এন্টারকোটিক-বিদ্যা শেখে সেজন্য ওনারা লেখালেখি এবং আন্দোলন করেন। ওনারা হয়তো আগেই বুঝতে পেরেছেন, ‘মুসলিমদেরকে মাদ্রাসায়ই মানায়’, আর তাই ওনারা নিজেরাই মুসলিমদের ছেলেদেরকে মাদ্রাসায় দেয়ার আন্দোলনে নেমেছেন। হিন্দুদের কেউ ধর্মের নেশায় আসক্ত হলে ওনারা আসক্তি ছোটানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু মুসলিমদেরকে ওনারা বরং ইসলামের মধ্যেই আসক্ত করে রাখেন। ওনাদের সব লেখা, সব ভাষণ, সব বয়ানের সারমর্ম এক জায়গায় গিয়ে ঠেকে। আর তা হচ্ছে মুসলিমদের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ নিষিদ্ধ করা হোক, মুসলিমদের জন্য শরিয়া আইন কায়েম থাকুক, মুসলিমদের জন্য মাদ্রাসার বরাদ্দ থাকুক, মুসলিমদের ছেলেরা মাসনা-সুলাসা-রুবাআ করুক আর মুসলিমদের মেয়েরা বোরকাবন্দি থাকুক।
ওনাদের আশা পূরণ হয়েছে। পাকিস্তানে বুশরা হুজুর ক্ষমতায় আরোহণ করেছেন (হুজুরের বর ইমরান খান তো কেবল হুজুরেরই ফরমাবরদার!) ভারতীয় বুদ্ধিজীবীদের আশা পূরণ হয়েছে – পাকিস্তানে ওনাদের সমলিঙ্গের মানুষেরাও এখন নবীকে অপমান করা হয়েছে এমন স্বপ্ন দেখেই কোপাকুপি শুরু করেছেন। ভারতের বুদ্ধিজীবীরা কত আধুনিক, কত বাস্তবদর্শী এই ভেবে অবাক হই!
ভারতের বিশ্ববিখ্যাত বুদ্ধিজীবী মহোদয় আজাদী বা স্বাধীনতা বলতে বোঝেন মুসলিমদের জন্য শরিয়া আইন বহাল থাকা। আজাদী বলতে উনি বোঝেন মুসলিম পুরুষদের জন্য চার বিয়ে করার স্বাধীনতা। আজাদী বলতে উনি বোঝেন মুসলিম পুরুষদের জন্য মুখের কথায় স্ত্রীকে তালাক বলার মাধ্যমে স্ত্রীকে পরিত্যাগ করার ইচ্ছাশক্তি। আজাদী বলতে উনি বোঝেন মুসলিমদের পাড়ায়-মহল্লায় অনেকগুলি মসজিদ-মাদ্রাসা এবং মক্তব থাকা। আজাদী বলতে উনি বোঝেন চাইনিজে অস্ত্র পাকিস্তানের হাত হয়ে কাশ্মীরে পাঠিয়ে তার সহীহ ব্যবহার সুনিশ্চিত করা। আজাদী বলতে ওনারা বোঝেন আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ইসলাম ত্যাগ করলে বাংলাদেশের হুজুরদের দিয়ে তার বিরুদ্ধে কতলের ফতোয়া ইস্যু করা।
Leave a Reply