লিখেছেন : মাসুদ আবদুল্লাহ
সহবতে বুশরা হুজুর
ইমরান খান আগে আরো দুটো বিয়ে করেছিলেন। বিয়ে ছাড়াও আরো অনেকগুলি মোহাম্মদী কর্মকান্ডের জন্য তিনি আগে থেকেই চর্চিত ছিলেন। আগে থেকেই ইমরান ছিলেন মডারেট মুসলিমদের মতো খোদাভক্ত। পাশ্চাত্য ধারায় জীবনযাপন করা, প্রায়শই শরাবান তহুরা পান করা, এটি ইমরানের জীবনে ছিল খুবই স্বাভাবিক; কিন্তু তিনি মনের শান্তি পাচ্ছিলেন না! অবশেষে বুশরা হুজুরের সাথে ইমরান খানের মোলাকাত হলো। বুশরা হুজুর তাঁকে ‘খোদায়ী সহবত’ দিলেন। ইমরান খান ইলহামপ্রাপ্ত হলেন যে, বুশরা হুজুরকে বিবি করলে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন। হলোও তাই – বুশরা হুজুর ইমরান খানের বিবি হবার ছয়মাস পরই ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হলেন। বলা হয়, বুশরা হুজুরের পালিত কিছু জীন আছে। ইমরানের কুরসি যখন দোলাদুলি করছে সে সময় বুশরা হুজুর জীনসাধনা শুরু করেছেন। জীনদের দিয়ে ইমরানের কুরসি বাঁচাতে হবে এবার!
বুশরা হুজুরের সহবত পাওয়ার পর থেকেই ইমরান খান দিনকে দিন খোদাভক্ত হয়ে উঠেছেন, ইসলাম জিন্দা করার মিশনে নেমেছেন। কখনো ওআইসিতে, কখনো দ্বিতীয় পীরবাবা শি জিনপিংয়ের কাছে, কখনোবা জাতিসংঘের ভাষণে এবং সবশেষে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পরদিন মস্কোয় গিয়ে ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে তিনি ইসলাম রক্ষার জন্য দোয়া-মোনাজাত করেছেন তিনি। বুশরা হুজুরের সহবত পাওয়ার পর থেকেই ইমরান খান অনবরত দোয়া-মোনাজাত করে চলেছেন। এরদোগানের কাছেও বেশ কয়েকবার তিনি দোয়া-মোনাজাত করেছেন। এই তো সেদিন, বুশরা হুজুরের কেরামতির ফলে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই পাকিস্তান গিয়ে ইসলাম এবং কাশ্মীর রক্ষার আবেদনও জানিয়ে এসেছেন। আগে কেবল ইমরানই ইসলামের জন্য মোনাজাত করতেন, এখন চীনের নেতারাও ইসলাম রক্ষার মোনাজাতে শামিল হয়েছেন। বুশরা হুজুরের নুরানী ছোঁয়া পেয়ে ইমরান খান ভুলে গেছেন যে, চীনের জিনজিয়াংয়ে মুসলিমরা বসবাস করে এবং তাঁরা নিপীড়িত। বুশরা হুজুরের নুরানী ছোঁয়া পেয়ে ইমরান জানতে পেরেছেন যে, কাশ্মীরে মুসলমানরা বসবাস করে এবং তারা প্রচন্ডভাবে নিপীড়িত।
যারা মনে করে হিজাবি মেয়েরা কিচ্ছু জানেনা, কিচ্ছু পারে না তারা বোকার স্বর্গে বাস করে। হিজাবি নারী গৃহবন্দী থেকে তন্ত্রমন্ত্র সাধনা করে আল্লাহকে হাজির-নাজির করে নিজেদের মধ্যে আল্লাহকে ধারণ করেন। এরপর শরীরাল্লাহ দেখিয়ে পুরুষকে কাছে টেনে নিয়ে সহবতে সালেহ দিয়ে তাঁকে নুরানী তাওয়াজ্জোহ দান করেন। বুশরা হুজুরও তাঁর বরকে লাইলাতুল বরাতে ‘শরাবে খোদাপাক’ পরিবেশন করে রুহানি রসে সিক্ত করেছেন। ইমরান যখন দুর্গন্ধযুক্ত আল্লাহপাকের মধ্যে জিভ দিয়ে মোরাকাবা করেন তখন তিনি ভাবতে থাকেন, আহা কি মধুময় আল্লাহ!
Leave a Reply