লিখেছেন : কবিতা রায়
হামাস নিয়ে বহু মুমিন বান্দার গর্বের শেষ নেই। যদিও আসলে এই দলটার আসল চেহারা সম্পর্কে তারা কিছুই জানেনা। ইজরায়েলের উপর কয়েকশ রকেট দিয়ে হামলা হচ্ছে শুনেই তাদের আনন্দ।
হামাসের এই রকেটগুলো তৈরি হয় টিউবওয়েলের পাইপ দিয়ে। বাচ্চাদের হাউইবাজীকে অনেক বড় করলে যেমন হয় এগুলোও তেমনই। খরচ কয়েকশ ডলার মাত্র, ২০ কিলোমিটার দূর থেকে মারলে যেখানে টার্গেট করা হয়েছে তার কয়েক কিলোমিটার দূরেও গিয়ে পড়তে পারে। কারণ এগুলো গাইডেড নয়।
যেখানেই গিয়ে পড়ুক তাতে হামাসের কিছুমাত্র যায় আসেনা। ইজরায়েলে এই রকেট পড়ে মানুষ মরুক বা কুকুর-বিড়াল মরুক, কিম্বা কারও জমির তরমুজ নষ্ট হোক, সেটাই হামাসের সাফল্য। কিন্তু এগুলোকে আটকাতে ইজরায়েল গাইডেড মিশাইল ব্যবহার করে, তার খরচ অনেক বেশি। এইজন্যই এরকম সস্তার রকেট গাজা থেকে শতশত ছাড়া হয়, তার কয়েকটা গিয়ে ইজরায়েলের মাটিতে পড়ে। সে রকেটে বেশিরভাগ মারা যায় কয়েকটা সিভিলিয়ান। এর পালটা হিসাবে ইজরায়েল যখন হামলা করে তখন আধুনিক গাইডেড সিস্টেম দিয়ে সেসব রকেটের উৎসকে টার্গেট করা হয়। যেহেতু হামাসের লোকেরা এসব রকেটগুলো জনবহুল এলাকা থেকে চালায়, তাই ইজরায়েলের পালটা হামলায় গাজার মানুষই বেশি মরে।
এইভাবে ছেলেখেলার রকেট হামলা দিয়ে কোনোদিনই ইজরায়েলকে হারানো যাবেনা এটা হামাসের অজানা নয়। তবু তারা এগুলো করে কারণ তারা আসলে গাজার সিভিলিয়ানদেরই বিপদে ফেলতে চায়। তারপর সেই লাশ দেখিয়ে দুনিয়ার মুসলমানের কাছে কৌটো নেড়ে টাকা তোলে। সেই টাকার কতটুকু ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে লাগানো হয় সেটা ঐ রকেট দেখেই বোঝা যায়। বাকি টাকার কোনো হিসেব নেই। হামাস নিজেও জানে তাদের খেলনার রকেট ১০০ ছুড়লে কপালজোরে হয়ত একটা সফল হতে পারে। তার পরেও তারা শয়ে শয়ে রকেট বানায় আর চালায় কারণ এতে লাভ আছে।
Leave a Reply