ধর্মকারীর এক স্বেচ্ছাঅনুবাদক মুহম্মদ জোঁক নিচের মজাদার লেখাটি ইংরেজি থেকে চমৎকারভাবে রূপান্তর করে দিয়েছেন
জানতে হলে নিচের প্রশ্নগুলোর একটি করে উত্তর বেছে নিন, আপনার বাছাই করা উত্তরের উপর ভিত্তি করে বলে দেয়া যাবে মূল প্রশ্নের উত্তর।
১. আপনার মেয়ে ঘোষণা করল যে, সে আপনার স্রষ্টার ওপর শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলেছে, মানে সে আর বিশ্বাসী নয়, আপনি কী করবেন?
ক) হতাশা প্রকাশ করবেন, কিন্তু তার সিদ্ধান্তকে সম্মান করবেন।
খ) তাকে একঘরে করে ফেলবেন, এবং আপনার পরিবারের অন্যরা যাতে তার মুখও দর্শন করতে না পারে, তার ব্যবস্থা করবেন।
গ) আপনার বংশের কলঙ্ক – ওই শয়তানের বান্দিকে ইহজগত ছাড়া করবেন, মানে খুন করবেন।
২. একজন বিজ্ঞানী এমন কিছু তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করলেন, যা সৃষ্টিতত্ত্ব মতবাদ অর্থাৎ সবকিছু আপনার ঈশ্বরের ‘পরিকল্পিত সৃষ্টি’ মতবাদকে ভুল প্রমাণ করে, আপনি কী করবেন?
ক) নতুন তথ্য-উপাত্তগুলো সম্পর্কে যথাসম্ভব ভালোভাবে জানার চেষ্টা করবেন এবং এ নতুন আবিষ্কার যদি আপনার কাছে সঠিক বলে মনে হয়, তাহলে সত্য যতই কঠিন হোক না কেন, তাকে মেনে নিয়ে আপনার পুরোনো ধারণা বদলাবেন।
খ) নতুন তথ্য সম্পর্কে শুনবেন, দু’-একবার মনে হবে হয়তো আপনার বিশ্বাসে ভুল আছে, কিন্তু এটা নিয়ে খুব বেশি ঘাঁটাঘাঁটি না করে আপনার পুরোনো বিশ্বাসেই থেকে যাবেন।
গ) নতুন তথ্য-উপাত্ত যদি আপনার বিশ্বাসের সাথে না মেলে, তাহলে বুঝবেন, এগুলো সব শয়তানের কারসাজি, এমনকি এটা আপনার ঈশ্বরের কাজও হতে পারে, মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য তিনি ইচ্ছা করে ভুল তথ্য সারা দুনিয়াতে ছড়িয়ে রেখেছেন, সুতরাং আপনি ওই ফাঁদে পা দেবেন না।
৩. আপনার ছেলে খুব অসুস্থ হয়ে পরেছে, তাকে বাঁচানোর জন্য বড় ধরনের অপারেশন করতে হবে, আপনি কী করবেন?
ক) তাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যাবেন, এবং তার চিকিৎসায় যেন কোনোকিছু বাদ না থাকে, তা নিশ্চিত করবেন।
খ) তাকে কোন পীর/কামেল/ধর্মগুরুর কাছে নিয়ে যাবেন, সে আপনার বাচ্চাকে অবশ্যই সুস্থ করে দিতে পারবে।
গ) তাকে কোথাও নিয়ে যাবেন না, শুধু আপনার ঈশ্বরের সামনে গড়াগড়ি দিয়ে তার জীবন ভিক্ষা চাইবেন। ‘রাখে আল্লাহ – মারে কে’ এই স্লোগানে আপনি শতভাগ বিশ্বাসী, তাছাড়া ওই বিধর্মীদের আবিষ্কার করা ঔষধ/চিকিৎসা দিয়ে ছেলের জীবন বাঁচানোর চেয়ে আপনার ঈশ্বরের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেয়া অনেক বেশি সমীচীন।
৪. আপনার এলাকার একটি ক্লিনিকে গর্ভপাত করানো হয়। আপনি কী করবেন?
ক) খুব করে চাইবেন যেসব মেয়ে গর্ভপাত করাচ্ছে, তারা যেন তাদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্তটাই নেয়, নিজের সন্তানকে ত্যাগ করা যে কারো জন্যই কঠিন।
খ) আপনাদের আঞ্চলিক পত্রিকাতে এর অপবিত্রতা নিয়ে লেখালেখি করবেন, অথবা পরিচিতদের নিয়ে ওই ক্লিনিকের সামনে ধর্মঘট করবেন।
গ) ওই ক্লিনিকের ডাক্তারদের উপর হামলা চালাবেন, দরকার হলে দু’-একটাকে এই মহাপাপ করার অপরাধে খুন করবেন।
৫. আপনি একটি ছোট অপরাধ করে ফেলেছেন। এখন কি করবেন?
ক) মনে মনে ওয়াদা করবেন যেন এ ধরনের অপরাধ আর কখনো না করেন।
খ) আপনার ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা চেয়ে অনেকবার প্রার্থনা করবেন।
গ) নিজেই নিজেকে ব্যাপক শাস্তি দেবেন, দুনিয়ার শাস্তি পরজীবনে আপনাকে নরক থেকে বাঁচাবে।
৬. আপনার স্ত্রী তার জন্মদিনে আপনার কাছে নতুন পোশাক উপহার চাইল, তাকে কী উপহার দেবেন?
ক) একটি দামী পোশাক দেবেন, যা তার সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলবে।
খ) দেবেন কোন সাদামাটা সাধারণ পোশাক, তবে ওটা পরতে আরামদায়ক হবে।
গ) তাকে একটা বোরখা জাতীয় পোশাক কিনে দেবেন, যা তার পা থেকে মাথা পর্যন্ত ঢেকে রাখবে।
৭. আপনি একদল বিজ্ঞানীদের সাথে মিলে গবেষণা করছেন নতুন একটি জেট ইঞ্জিনের নকশা তৈরী করার জন্য, আপনি কীভাবে গবেষণার কাজ করবেন?
ক) এ বিষয়ে যথাসম্ভব জানার চেষ্টা করবেন, বর্তমান সময়ে এ বিষয়ে অভিজ্ঞদের কাছ থেকে তথ্য নেবেন।
খ) ‘ক’-এর সব কাজ করবেন বাড়তি হিসেবে স্রষ্টার কাছ থেকে শক্তি ও সাহস ভিক্ষা চাইবেন।
গ) আপনাদের পবিত্র ঐশী কিতাবটা খুলে বসবেন, কারণ ওটাতে আগে থেকেই সবকিছুর ফর্মুলা বলে দেয়া আছে।
৮. আপনার সন্তানের স্কুলে বিবর্তনবাদ শেখানো হয়, আপনার প্রতিক্রিয়া কি?
ক) আপনার শিশুকে বিজ্ঞানের সঠিক শিক্ষাটাই দেয়া হচ্ছে ভেবে আপনি খুশি হবেন, তবে তাকে ধর্মগুলো সম্পর্কেও যেন জ্ঞান দেয়া হয়, তা নিশ্চিত করবেন।
খ) স্কুলকে অনুরোধ করবেন ছাত্র-ছাত্রীদের সৃষ্টিতত্ত্ব মতবাদও যেন ঠিকমতো শেখানো হয়।
গ) আপনার সন্তানকে ওই স্কুলে আর পড়াবেন না, ওইসব নরকগামী শিক্ষকদের খপ্পর থেকে আপনার সন্তানকে মুক্ত করে তাকে শুধু ধর্মশিক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করবেন।
৯. আপনার একজন প্রিয় ধর্মীয় নেতা খারাপ পাড়ায় গিয়ে নারী-মদ নিয়ে ধরা পরেছে! পরে সে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তার ওই কাজের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে, আপনি কী করবেন?
ক) ওর বিরুদ্ধে সব রটনাগুলো জানবেন এবং আশা করবেন যেন ওর সঠিক বিচার হয়।
খ) দোয়া করবেন যাতে আপনার আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেয় এবং আশা করবেন ভবিষ্যতে যেন সে আর এমন পাপ না করে।
গ) সারারাত বালিশে মুখ গুঁজে কান্নাকাটি করবেন এবং পরে সিদ্ধান্ত নেবেন, এগুলো সব বিধর্মীদের রটনা। “সে এমন কাজ করতেই পারেন না” জানিয়ে পত্রিকাতে উগ্র ভাষায় লেখা পাঠাবেন।
১০. আপনাদের ধর্মীয়গুরু কিছু ধর্মীয় গ্রন্থের তথ্য হিসাব করে পৃথিবী ধ্বংসের দিন তারিখ বের করেছেন, এটা শুনে আপনি কী করবেন?
ক) ওর এসব আজগুবি প্রলাপে কান দেবেন না। আপনি এরকম ঘটনা আগেও শুনেছেন, ওর মাথা কিছুটা খারাপ আছে।
খ) জোরেসোরে নামাজ-রোজা/পূজা-প্রার্থনা শুরু করবেন, দুনিয়ার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নিজের বিশ্বাস অক্ষুণ্ণ রাখবেন।
গ) নিজের জায়গা জমি সব বিক্রি করে খোলা ময়দানে আশ্রয় নেবেন, যাতে আপনার বিধাতা শেষ ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করার আগে আপনার মত পেয়ারা বান্দাকে ঊর্ধ্বলোকে তুলে নিতে পারেন।
১১. হাবল টেলিস্কোপ দিয়ে তোলা মহাকাশের কিছু খুবই সুন্দর ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, আপনার প্রতিক্রিয়া কি?
ক) প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখে বিহ্বল হবেন।
খ) আপনার স্রষ্টার সৃষ্টি দেখে পুলকিত হবেন।
গ) নক্ষত্রপুঞ্জের ছবির মধ্যে আপনার স্রষ্টার নাম বা দেব-দেবীর মুখের ছবি খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন। চেষ্টাতে সফল হলে তা নতুন ওয়েব সাইট খুলে বা লিফলেট ছাপিয়ে অন্য সবাইকে দেখানোর ব্যবস্থা করবেন।
১২. আপনি আপনার কিছু সমমনা বন্ধুদের নিয়ে পাবলিক বাসে করে ভ্রমণে বের হয়েছেন, রাস্তায় আপনাদের প্রার্থনা/পূজার সময় হয়ে গেল, এখন কী করবেন?
ক) সবাই মিলে সিদ্ধান্তে আসবেন এই মর্মে যে, বাস গন্তব্যে পৌঁছানোর পর প্রার্থনার কাজ সেরে নেবেন।
খ) বাসে বসেই প্রার্থনা শুরু করবেন, যদিও জানেন এতে অন্য যাত্রীদের সমস্যা হতে পারে।
গ) বাসচালককে আপনাদের প্রার্থনা জন্য বাস থামাতে বলবেন, বাসচালক যদি আপনাদের কথা শুনতে গড়িমসি করে, তাহলে তাকে ধর্মের বাণী শুনিয়ে হুমকি দিবেন।
১৩. ধরুন, আপনি একটি যাত্রীবাহি বিমানের পাইলট। হঠাৎ আপনার বিমানে একটি ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেলো, এসময় আপনি কী করবেন?
ক) কন্ট্রোল রুমকে জানাবেন এবং কাছাকাছি কোনো বিমানবন্দরে বিমানটা নামানোর চেষ্টা করবেন।
খ) আল্লাহর উপর ভরসা রেখে জরুরী ব্যবস্থায় যে কোনো জায়গায় বিমান নামানোর চেষ্টা করবেন।
গ) বিমান চালানো বাদ দিয়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে প্রার্থনা করতে বসবেন, তিনি যদি আপনাকে এবং বিমানের অন্য যাত্রীদের না বাঁচানম তাহলে ধরে নেবেন এটাই ছিল তাঁর ইচ্ছা।
১৪. “কোনো কাজ করার সময় নিজের বুদ্ধি বিবেচনার উপর কতটুকু নির্ভর করেন?” এ ধরনের প্রশ্নে আপনি কী উত্তর দেবেন?
ক) “আমি সবসময় নিজের বুদ্ধি বিবেচনার উপর নির্ভর করে কাজ করি এবং বেশিরভাগ সময় তা আমার ধর্মের মত অনুসারে হচ্ছে কি না, ভেবে দেখি না”
খ) “যদি যে কাজটা করছি, তা সম্পর্কে আমার ধর্মে সুস্পষ্টভাবে কিছু বলা না থাকে, শুধু তখনই নিজের বুদ্ধি বিবেচনার দ্বারস্থ হই”
গ) “আমাদের ধর্মীয় গ্রন্থ হলো পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা, এর বাহিরে চিন্তা করে আবিষ্কার করার কিছু নেই”
১৫. আপনাকে একজন খবর দিল, সে আপনার স্ত্রীকে অন্য একটা লোকের সাথে রাস্তায় হাঁটতে দেখেছে। আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
ক) এটা কোনো সমস্যা নয়। আপনি আপনার স্ত্রীকে চেনেন এবং তার সততায় বিশ্বাস করেন। আপনি নিশ্চিত, লোকটা ওর কোনো পুরোনো বন্ধু বা অফিসের কলিগ।
খ) তাকে এ বিষয়ে খোলাখুলি প্রশ্ন করবেন, যদি সে বোঝাতে পারে, ওই লোকটার সাথে সম্পর্ক শুধুই বন্ধুত্বের, তাহলে সন্দেহ করার জন্য তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেবেন। আর যদি সম্পর্কটা নিষ্পাপ না হয়, তাহলে তাকে নিয়ে প্রার্থনায় বসবেন আত্মশক্তি অর্জনের জন্য।
গ) ব্যভিচারের দায়ে ওই মাগীর গায়ে আগুন লাগাবেন নতুবা পাথর ছুঁড়ে হত্যা করবেন, ঠিক যে ভাবে আপনার ধর্মে বলা আছে।
১৬. আপনি একজন লোকের সাথে পরিচিত হলেন, যে নিজেকে নাস্তিক বলে দাবি করে। এরকম আজগুবি কথা শুনে আপনি কী করবেন?
ক) তাকে তার মত থাকতে দেবেন। আপনার বিশ্বাস আপনার কাছে এবং তার বিশ্বাস তার কাছে সঠিক।
খ) তাকে জানাবেন যে, যদিও সে ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না, তারপরও আপনার ঈশ্বর তাকে ভালবাসেন এবং আপনি তার বোধোদয়ের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবেন।
গ) তাকে আপনার ধর্মে বিশ্বাস করানোটা আপনার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হিসেবে ঠিক করবেন এবং ক্রমাগত তাকে এ বিষয়ে বিরক্ত করতে থাকবেন: আপনার ধর্মের ভালো দিক এবং ধর্ম না মানলে পরের জীবনে কী কী শাস্তি আছে, তা জানিয়ে তাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করবেন।
১৭. কোনো একটি পত্রিকাতে একটি রম্যরচনা ছাপানো হয়েছে, যাতে আকারে-ইঙ্গিতে আপনার ধর্মের কোনো বিষয়কে ব্যঙ্গ করা হয়েছে, আপনি কী করবেন?
ক) অন্য সব রম্যরচনা পড়ে যেমন মজা পান, ওটা পড়েও তেমনি মজা পাবেন এবং রম্যরচনা যেহেতু সিরিয়াস কিছু নয়, তাই ধর্ম নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক ভাবটাতে কিছু মনে করবেন না।
খ) রম্যরচনাটা পড়ে হয়তো আপনার ভালই লাগবে, তবে ধর্মের ব্যাপারটা কেন আনা হলো, তা চিন্তা করে বিরক্ত হবেন।
গ) “রম্যরচনার লেখক এবং পত্রিকার সম্পাদকের এত বড় সাহস, আপনার ধর্ম নিয়ে রঙ্গ-তামাসা করে!” একথা ভেবে সোজা দাঁড়িয়ে যাবেন এবং আপনার সমমনাদের নিয়ে ঐ পত্রিকার লেখক ও সম্পাদকের মৃত্যুদণ্ড দাবি করে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়বেন।
আচ্ছা, এবার জেনে নেয়া যাক আমাদের মূল প্রশ্নের উত্তর:
আপনার বেশিরভাগ নির্বাচিত উত্তর যদি ‘ক’ হয় তাহলে আপনি মোটেও আপনার ধর্মের মৌলবাদী নন, ধর্ম হয়তো আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এটা আপনার জীবনের অন্যসব বিষয়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনি ধর্মবিশ্বাসীদের সবচেয়ে বড় দলের একজন, যাদের সাধারণত মডারেট ধার্মিক বলে চিহ্নিত করা হয়।
আপনার বেশিরভাগ উত্তর যদি ‘খ’ হয় তাহলে আপনি একজন ধার্মিক ব্যক্তি। ধর্ম আপনার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দেশে বিধর্মীদের সংখ্যা বড়ে যাচ্ছে দেখে আপনার চোখে যন্ত্রণা হয়, কিন্তু কষ্ট হলেও আপনি তাদের সহ্য করে নেন এবং আপনার বিশ্বাস, দেশে যদি আপনার ধর্মের শাসন কায়েম হতো তাহলে আরো অনেক ভালো হতো।
আর আপনার বেশিরভাগ যদি ‘গ’ হয় তাহলে আপনি একজন গোঁড়া-ধর্মিক অর্থাৎ মৌলবাদী। আপনি যখন কথা বলেন তখন লোকজন মনে মনে ‘ছ’ বা ‘গ’ দিয়ে শুরু হওয়া কোনো পশুর কথা স্মরণ করে মুখে একটু মুচকি হাসি মেখে সরে পড়ে। কিন্তু এতে আপনার কিছু যায় আসে না, কারণ আপনার দৃষ্টিতে বেশিরভাগ মানুষই প্রকারান্তরে শয়তানের উপাসক এবং তাদের জন্য আপনার বিধাতা নরকে জায়গা তৈরি করে রেখেছে। আপনি আপনার সব কথাতেই আপনার স্রষ্টার নাম বা ধর্মীয়গ্রন্থের কোন শ্লোক উল্লেখ করার চেষ্টা করেন এবং সময় সুযোগ পেলেই মানুষকে বিভিন্ন আক্রমণাত্মক ধর্মের বাণী শুনিয়ে কীভাবে ধর্মীয় যুদ্ধের মাধ্যমে দেশে ধর্মের শাসন কায়েম করা যাবে, তা জানানোর চেষ্টা করেন। তবে আপনি জেনে রাখুন, আপনি বা আপনার মতো গোঁড়াদের কারণেই হয়তো এক সময় আপনার ধর্মকে সন্ত্রাসের-ধর্ম বলে চিহ্নিত করা হবে!
Leave a Reply