লিখেছেন প্রমিথিউস
হুজুর-পুরুত-পাণ্ডা হে হো হুজুর-পুরুত-পাণ্ডা,
হাটের মাঝে আনল বয়ে মস্ত ঘোড়ার আণ্ডা।
খবর শুনে একুব গ্রামের বেকুব যত্ত লোক
জমল এসে আণ্ডা ঘিরে ছেড়ে সুখ ও শোক।
আণ্ডা পাড়ে হাঁস-মোরগে পাখ-পাখালির জাতগুলোই
ঘোড়া পাড়ে আণ্ডা! এটার চক্ষে দেখা তথ্য কই?
ব্যাখ্যা এল হরেক-হাজার, কেউ দেখনি তাত্তে কী?
সূয্য জ্বলে সব সময়ই – দেখতে পারো রাত্তে কি?
চাপদাড়ি আর কিস্তিটুপি পরা রসের হুজু্র্গ
সুরমাটানা চোখ ঘুরিয়ে বলল – আমি বুজুর্গ
পৈতের উপর নামাবলী কোমর কষে জড়িয়ে
বল্লে পুরুত – আমিই ঠাকুর – টিকির চুড়ো নড়িয়ে।
পাণ্ডারা সব উঠলো গেয়ে –
বেশ তো আছো খেয়ে-দেয়ে,
মরলে যাবে যার সমুখে আমরা তারি চামচা হই-
মহান ঘোড়ার প্রতিনিধি, যেমন-তেমন বান্দা নই!
মহান ঘোড়ার চিঁ হিঁ হিঁ হিঁ – চিঁ হিঁ হিঁ হিঁ – চিঁ হিঁ হিঁ হিঁ –
রেকর্ড করেন বহুব্রীহি –
এই দেখ না প্রামান্যে তার আজব ভাষার বিকট বই !
ফজলে এর হবে শেখা – কেন তুমি দিচ্ছ ঠেকা,
সবই তিনি দেখেন- নিজে মুখচোরাটি- দেন না দেখা,
ধমক-ধামক, নাচন-কুঁদন, উপদেশ কি ভিক্ষে-মাঙ্গা,
বউ-দমন আর মধুর রমণ, ইচ্ছেমাফিক বাঁধান দাঙ্গা…
মাঝে একটু শর্ত তবে –
আমাদেরকে পুষতে হবে,
এতেই সবার বাড়বাড়ন্ত, পরকালে বেহেস্ত লেখা –
নইলে তিনি খড়গহস্ত! ভুত পাঠিয়ে দেবেন সাজা !
ভেবে দেখ লাভ-লোকসান – পরকালে তুমি-ই রাজা!!
অযুত বোকা লাফিয়ে পড়ে –
‘আমি আমি নেব’ করে
অম্নি কাঁধে ধরতে এল – মহান ঘোড়ার আণ্ডা-
বলতে জানার এটাই ঋদ্ধি –
ঘোড়ার ডিমেও কায্যসিদ্ধি,
মুচকি হেসে চড়ল কাঁধে হুজুর-পুরুত-পাণ্ডা।
Leave a Reply