[ একটু অশ্লীল ভাবে বলব! এর জন্য অনেক দুঃখিত। শালার মানুষ আর পশুর মধ্যে কোন তফাত দেখিনা তো তাই। শিকার করার লোভ আর কে সামলায়! ]
আমার সভ্যতা, আমরা বাঙালি ছিলাম। চর্যাপদের অহংকার ছিলাম, ছিল একটা দেশ। দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মাঝে এক শ্রেণীর উগ্র জাত্যাভিমানী ও ধর্মীয় আবালের দল সভ্যতার বুকে একটা লাথি মারল। আমাদের কৃষ্টির অন্ধকারে তলিয়ে গেলো। চতুর্দশ শতকে কিছুটা উত্তরণ চেয়ে যাত্রা শুরু হল। তারপর সেখনেও ধর্মের দালালেরা চৈতন্য এর পাছায় লাথি মারল। এরপর পলাশীর প্রান্তরে আমাদের মীর কাগু দিল ২০০ বছরের পুটু মারার ইজারা। ইংরেজরা ২০০ বছর ধরে নানা এঙ্গেল থেকে পুটু মারল। ৪৬ এ এসে আমরা মানুষের মতো মানুষ হলাম। শুরু করলাম গণ ধর্ষণ। কে কার ভাই! মার শালা মার!
৪৭ এ ইধারের মাল লাথি খেয়ে উধার গেলো, আর উধার এর মাল লাথি খেয়ে ইধার এলো। এরপর শুরু হল এলোপাথাড়ি পুটু মারার পালা। আহা দেশ স্বাধীন বলে কথা! স্বাধীনতার নামে একদেশ দিল কতগুলি যাযাবর আর আরেক দেশ দিল পাকি গোলাম। শুরু হল নতুন স্টাইলে পুটু মারার পালা। নে, ভাই, এবার কি সমস্যা; এতদিন তো বিদেশীরা মারছিল। এখন তো জাতভাইরা মারছে? ৭২ অবধি চলল নিরন্তর। এরপর আমরা আবার আরেকটা স্বাধীনতা পেলাম। নে ভাই, এইবার ভালো করে বাঁচব। ধুর, পুটু না মারলে ভালো লাগেলা। ধুতি হয়ে গেলো হিন্দুয়ানার প্রতীক! আর লুঙ্গি দিয়ে অন্যেরা স্বাধীনতার কর্য চুকাল আবার মাতলামি শুরু করে। ততদিনে ত্রিশ লক্ষ্য লাশের কান্নার আওয়াজও ঠাণ্ডা হয়নি। আবার শুরু হয়ে গেলো। ৭৫ এ গিয়ে তা পরিপূর্ণতা পেলো। নে ভাই, ভাগাইছি, সব ভেগেছে। কোন প্রোব্লেম নেই।
বাঙলার মাটি বাঙলার জল…………… সব পূর্ণ হোক রহমান! রবীন্দ্রনাথ একটা বজ্জাত।
এদিকের পার্টির লোকও থেমে নেই। ১৯৯২। নে ভাই জন্মভুমিতো রামের। তো! তো আবার কি লুঙ্গির পুটু মার। গর্ভবতী মায়ের পেটের ছয় মাসের বাচ্চার পড়নেও লুঙ্গি আছে কিনা! এইবার অইপারে কি হয়। জাতভাই মানে হল দুধ ভাই। আর পাশের বাড়ির শাঁখা সিঁদুর – হারাম হারাম!! মার মার মার !! হল আরেকচোট পুটুমারার খেলা। সুফিয়া আর শ্যামলী একসাথে ২৫শে বৈশাখে গান গাইত। সুফিয়ার ভাই কামাল আর শ্যামলীর ভাই রঞ্জন একসাথে তবলা বাজায়। এটাই তো আমার সোনার বাঙলা। তো যখন দুধ ভাইদের মেরেছে তো! রক্ত টগবগ করে। মার মার রঞ্জনরে মার, আর শ্যামলীরে………
দেশ আমার। এই দেশ আমার অহংকার যাবো কোথায়। পড়ে থাকে কিছু আধ মরা মানুষ। দুই প্রান্তে। সময় সময় কাগুরা এসে পুটু মেরে যায়। সুশীল কাগুরা দেখে যায়। দাড়ি চুলকাইয়া, পাছা চুলকাইয়া ৭১ এর ‘ভালোমানুষেরা’ জাতীয় পতাকা উঁচিয়ে ঘোরে। নে, ভাই এটাই তো ধর্মতান্ত্রিক লিবারেল দেশ! ছাগলের তিন নম্বর হয়ে বারবার লাফাই আর লাফাই। বাহ! দেশ তো আমার! পুটু মারলেও আপন লোকেরাই মারে। ২০০১ এ গিয়ে আরেক ধরণের খেল শুরু। মার মার , শালা মার…
একবিংশ শতাব্দীর শূন্যের দশক পেরিয়েও শালা আমার পিতার হত্যাকারীরা আমার পুটু মারে। মারহাবা, মারহাবা! জাতিভাই জিন্দাবাদ।
স্যরি। শুধুই বাঙালি মনে হয় কখনো ছিলামই না। হিন্দু বাঙালি, মুসলিম বাঙালি। ব্যবধান। এই খেলা জবরদস্ত। একটু জনস্বার্থে ঘোষণা, আজ যারা লঘুদের পেছন মারছে, চল্লিশ বছর আগে ওরাই গণ পুটু মেরেছিল। যাই হোক আমরা ভুল মাফ করে দেই তো। তাই এত আগের কথা ভুলে গেছি। ভাই ভাই……
–Tapas Sharma
Friday, February 10, 2012 at 6:50am
Leave a Reply