গ্রীক দেবদেবী-
১) সবচেয়ে বড় দেবদেবী জ্যুস-ডিমিত্রাস। জ্যুস তার অনূঢ়া ভগিনী ডিমিত্রাসে উপগত হয়ে কৃষিদেবী পারসিফোনের জন্ম দিয়েছিল।
২) নিজ দুহিতা মিরহাতে উপগত হয়ে তার পিতা অ্যাডোনিস-এর জন্ম দিয়েছিল।
৩) অ্যাক্টিয়ন নামে এক পৌরানিক শিকারী আর্টেমিসকে নগ্ন অবস্থায় স্নান করতে দেখেছিল বলে সে মৃগীতে পরিণত হয়েছিল।
৪) অ্যালকিন্তু তার নিজ ভগিণী এরিট্রকে বিয়ে করেছিল।
৫) ইডিপাস নিজ মাতাকে বিয়ে করে তার গর্ভে চারটি সন্তান উৎপাদন করেছিল।
৬) প্রণয়ের দেবী অ্যাফ্রোডিটি ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ে অনেকগুলি সন্তান জন্ম দিয়েছিল।
৭) অ্যাপোলো ড্রাইওপি নামক পরীকে অপহরণ করেছিল।
৮) টিটিয়াস লিটোকে ধর্ষণ করতে উদ্যত হয়েছিল।
৯) আটলাণ্টা কুমারী অবস্থায় মেলিয়াগারকে প্রসব করেছিল।
হিন্দু দেবদেবী- (ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের মধ্যে যে যৌনসংসর্গ ঘটে, তাকেই অজাচার বলা হয়।
১) নহুষ তার ‘পিতৃকন্যা’ বিরজাকে বিবাহ করেছিল ও তার গর্ভে ছয়টি সন্তান উৎপাদন করেছিল।
২) ভাসুরের সাথে বিধবা বধূদের গর্ভসঞ্চার – ধৃতরাষ্ট্র ও পাণ্ডুর জন্ম হয়েছিল এভাবে।
৩) ঋগ্বেদে যমী তার যমজ ভ্রাতা যমের কাছে সঙ্গম প্রার্থনা করছে।
৪) দস্ত নিজ ভগিনী মায়াকে বিবাহ করছে।
৫) লোভ নিজ ভগিনী নিবৃত্তিকে বিবাহ করছে।
৬) ক্রোধ নিজ ভগিনী হিংসাকে বিবাহ করছে।
৭) কলি নিজ ভগিনী নিরুক্তিকে বিবাহ করছে।
৮) উষা সূর্যের জনয়িত্রী। কিন্তু সূর্য প্রণয়ীর ন্যায় তার অনুগমন করছে ও তাকে স্ত্রীরূপে বরণ করছে।
৯) শতরূপা ব্ৰহ্মার কন্যা। কিন্তু ব্ৰহ্মা কন্যার রূপে মুগ্ধ হয়ে তার সঙ্গে অজাচারে লিপ্ত হন। এই কন্যার গর্ভে ব্ৰহ্মা হতে স্বায়ম্ভুব মনুর জন্ম হয়।
১০) অন্য মতে শতরূপা স্বায়ম্ভুব মনুর স্ত্রী ও স্বায়ম্ভুব মনু হতে শতরূপার গর্ভে প্রিয়ত্রত ও উত্তানপাদ নামে দুই পুত্র ও কাকুতি ও প্রস্থতি নামে দুই কন্যা জন্মগ্রহণ করে। তারপর এদের পুত্রকন্যা হতে মনুষ্য জাতির উদ্ভব হয়।
১১) আদিত্যযজ্ঞে মিত্র ও বরুণ উর্বশীকে দেখে কামলালসায় অভিভূত হয়ে যজ্ঞকুম্ভের মধ্যে শুক্রপাত করে।
১২) অগ্নি একবার সপ্তর্ষিদের স্ত্রীদের দেখে কামোন্মত্ত হয়েছিল।
১৩) ঋক্ষরজাকে দেখে ইন্দ্র ও সূর্য দুজনেই এমন উত্তেজিত হয়েছিল যে ইন্দ্র তার চিকুরে ও সূর্য তার গ্রীবায় রেতঃপাত করে ফেলে।
১৪) চন্দ্র দক্ষের সাতাশটি মেয়েকে বিবাহ করেছিল।
১৫) চন্দ্র দেবগুরু বৃহস্পতির স্ত্রী তারাকে অপহরণ ও ধর্ষণ করে।
১৬) চন্দ্র জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার স্ত্রী মমতার অন্তস্বত্বা অবস্থায় বলপূর্বক তার সঙ্গে সঙ্গম করেছিল।
১৭) রুদ্রদেব তার নিজ কন্যা উষার সঙ্গে অজাচারে লিপ্ত হয়েছিল।
১৮) বিষ্ণু পরস্ত্রী বৃন্দা ও তুলসীর সতীত্ব নাশ করেছিলেন।
১৯) উষাকে পাবার জন্য অগ্নি, সূর্য, ইন্দ্র ও অশ্বিনীদ্বয় দেবগণের মধ্যে ভীষণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল।
২০) ইন্দ্র ইন্দ্রাণীর সতীত্ব নষ্ট করে, এবং শাপ থেকে রক্ষা পাবার জন্য ইন্দ্রাণীর পিতা পুলমাকে হত্যা করে ইন্দ্রাণীকে বিয়ে করেছিল।
২১) ইন্দ্র গৌতম মুনির অনুপস্থিতিতে গৌতমের রূপ ধারণ করে তাঁর স্ত্রী অহল্যার সতীত্ব নাশ করেছিল।
২২) ধর্মের ঔরসেই কুন্তীর গর্ভে যুধিষ্ঠিরের জন্ম হয়।
২৩) অগ্নির ঔরসে মাহিষ্মতী নগরীর ইক্ষাকুবংশীয় রাজকন্যা সুদর্শনার গর্ভ হয়।
২৪) পবনদেব কেশরীরাজের স্ত্রী অঞ্জনার গর্ভে এক পুত্র উৎপাদন করেছিলেন। সেই পুত্রই হনুমান।
২৫) ইন্দ্র দিতির উদরে প্রবেশ করে বজ্রদ্বারা তার গর্ভ সপ্তখণ্ড করে।
২৬) দক্ষের কন্যা স্বাহা অগ্নিকে কামনা করত।
২৭) অগ্নি সপ্তর্ষিদের স্ত্রীদের দেখে কামার্ত হয়ে উঠেছিল। স্বাহা তখন এক এক ঋষিপত্নীর রূপ ধরে ছয়বার অগ্নির সঙ্গে মিলিত হন।
২৮) অশ্বিনীকুমারদ্বয় শর্যাতি রাজার মেয়ে যৌবনদীপ্ত সুকন্যাকে স্নানের পর নগ্নাবস্থায় দেখে তার রূপে মুগ্ধ হয়ে জরাগ্রস্ত বৃদ্ধ স্বামী চ্যবনকে ত্যাগ করে তাদের গ্ৰহণ করতে প্ৰলুব্ধ করেছিল।
২৯) পবনদেব রাজৰ্ষি কুশনাভের একশত পরম রূপবতী কন্যাদের ধর্ষণ করতে অভিলাষ করেছিল।
৩০) প্ৰজাপতির কন্যা ঊষা যখন মৃগীরূপ ধারণ করেছিল, প্ৰজাপতি তখন মৃগরূপ ধারণ করে কন্যায় উপগত হয়েছিল।
৩১) নহুষ ইন্দ্রের স্ত্রী শচীকে হস্তগত করবার চেষ্টা করে।
৩২) অসুরগণের সেনাপতিবিপ্ৰচিত্তী নিজের বৈমাত্রেয় ভগিনী সিংহিকাকে বিয়ে করেছিল।
৩৩)…
কৃতজ্ঞতা : অতুল সুর / ‘দেবলোকের যৌনজীবন‘
Leave a Reply