লিখেছেন : Mahmudun Nabi (একজন ধর্মপচারক)
যখনই কোনও অজ্ঞ বা ধূর্ত মুছলিম ইছলামের ইজ্জত রক্ষার জন্যে মরিয়া হয়ে কোরান থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলবে:
“কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। এবং যে কারও জীবন রক্ষা করে, সে যেন সবার জীবন রক্ষা করে।”
অমনি তাকে নিচের লেখাটি ধরিয়ে দিন:
ইছলাম শান্তির ধর্ম – কথাটা বর্তমানে মূর্তিমান কৌতুকে পর্যবসিত হয়ে পড়লেও মুছলিমরা ভাঙা রেকর্ডের মতো আওড়াতেই থাকে এই বাণী। কোরানের শত শত সহিংস আয়াত সজ্ঞানে এড়িয়ে গুটিকয়েক শান্তিকামী আয়াত কুমিরের ছানা দশবার দেখানোর মতো করে প্রচার চালায়। তবে যে-আয়াতটি উদ্ধৃত করে তারা সবচেয়ে তৃপ্তি বোধ করে, সেটা সুরা আল মায়েদাহ’র ৩২ নম্বর আয়াত-এর একটি অংশ। ইছলাম ধর্মের শান্তিকামী খোমা প্রদর্শনের প্রচেষ্টায় এই আয়াতটি মুছলিমদের ভেতরে সবচেয়ে জনপ্রিয়:
“কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। এবং যে কারও জীবন রক্ষা করে, সে যেন সবার জীবন রক্ষা করে।”
নিঃসন্দেহে অতীব মানবিক বাণী। কিন্তু মুছলিমরা সজ্ঞানে অথবা না-জেনে এই আয়াতের অগ্রাংশটি স্বভাববশে খৎনা করে থাকে। শুরুর অংশসহ আয়াতটি এরকম:
“এ কারণেই আমি বনী-ইসরাঈলের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। এবং যে কারও জীবন রক্ষা করে, সে যেন সবার জীবন রক্ষা করে।”
অর্থাৎ মানবিক এই বাণীটি মুছলিমদের উদ্দেশে বর্ষিত হয়নি, হয়েছে ইহুদিদের উদ্দেশে। আরও কৌতূহলোদ্দীপক ব্যাপার হচ্ছে, কোরানের এই আয়াতটি ইহুদিদের একটি পবিত্র কিতাব তালমুদ থেকে চোথা মারা:
… he who destroys one soul of a human being, the Scripture considers him as if he should destroy a whole world, and him who saves one soul of Israel, the Scripture considers him as if he should save a whole world. (তালমুদ, Tractate Sanhedrin: Chapter 4)
এখানেই কাহিনীর শেষ নয়। কোরানের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দাবি করা এই আয়াতের ঠিক পরবর্তী আয়াতটি (সুরা আল মায়েদাহ, আয়াত ৩৩) পড়া যাক:
“যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।”
অর্থাৎ এই সুরার ৩২ নম্বর আয়াতটি ইহুদিদের জন্য প্রযোজ্য, যা কিনা মুছলিমরা নির্লজ্জের মতো নিজেদের বলে চালিয়ে দেয় গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ খৎনা করে। এবং সেই ইহুদি-আয়াতের অব্যবহিত পরে ৩৩ নম্বর আয়াতটিতে আল্যা মুছলিমদের আহ্বান জানিয়েছে কাফেরদের হত্যা করতে, শূলীতে চড়াতে, হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দিতে…
নিশ্চয়ই ইছলাম শান্তির ধর্ম।
Leave a Reply