লিখেছেন কৌস্তুভ
পুত্তাপুর্তির সাই বাবা, জন্মনাম সত্যনারায়ণ রাজু, সম্প্রতি ৮৪ বছর বয়সে এই অন্যায়-অবিচার-পাপাচারের দুনিয়া থেকে নিস্তার লাভ করেছেন। অবশ্য তিনি ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন যে তাঁর প্রয়াণ হবে ৯৬ বছর বয়সে, তবুও তিনি তার বহু আগেই এই পার্থিব জগত ত্যাগ করলেন – আর তাঁর ভক্তরা যেমন দাবি করত, যে তিনি সবাইকে (বা নিজেকেও) যখনই ইচ্ছা সুস্থ করে তুলতে পারেন, তাতে প্রচণ্ডভাবেই ব্যর্থ হলেন। এবং আফসোসের ব্যাপার এই যে এর জন্য তাঁকে কোনো জবাবদিহি করানো যাবে না।
তিনি আবার দাবি করতেন, তিনি এমন কি ঈশ্বরের অবতারও নন, তিনি নিজেই ঈশ্বর। এমন সর্বশক্তিধরের তবে হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে কেন, এ প্রশ্ন করবেন না কিন্তু। সবই তাঁর লীলা, ভক্তের কল্যাণে ভক্তের রোগকে নিজের শরীরে নেওয়া, যেমন নিয়েছিলেন রামকৃষ্ণ, যীশুখৃষ্ট, এইসব শুনতে হবে।
হ্যাঁ, যীশুর মতই তাঁর মায়ের গর্ভসৃজনও নাকি করে গিয়েছিলেন ঈশ্বর, আর তাঁর জন্মের সময় নাকি হয়েছিল অতিপ্রাকৃত সব ঘটনা – যেমন, তাঁর দোলনার তলায় একটি গোখরো সাপের উপস্থিতি। খবর্দার, হাসবেন না – গ্রামের বাড়িতে খাটের তলায় সাপ এলেও তাকে অতিপ্রাকৃত বলেই ধরে নিন, কারণ মনে রাখবেন, শ্রীবিষ্ণু কিন্তু অনন্তনাগের মাথায়ই শয়ান থাকেন। আমার বরং কষ্ট লাগে এদের বাপেদের জন্য – এত বিখ্যাত সন্তানের যে তারা বায়োলজিকাল ফাদার সেই দাবিটুকুও করতে পারে না। অবশ্য ছেলের সাফল্য দেখেই খুশি থাকে হয়ত।
(১)
শিশুকাল থেকেই তাঁর অলৌকিক ক্ষমতা এবং জাদুশক্তি লোকমুখে প্রচারিত হতে থাকে। এক সময় তিনি ঘোষণা করেন, তিনি শিরডির সাইবাবার পুনর্জন্ম, তাঁর আর সংসারের সঙ্গে সম্বন্ধ নেই। এই সময় থেকে, মানে ষাটের দশকের শুরুতে, তাঁর ভক্ত জমায়েত হতে শুরু করে। সেই দশকের শেষের দিকে তিনি সারা ভারতে জনপ্রিয় হতে শুরু করেন।
(মহারাষ্ট্রের শিরডি গ্রামের সাইবাবা উনবিংশ শতাব্দীর সাধু/ফকির। সাদা জোব্বা আর মাথায় সাদা কাপড় বাঁধা বেশেই তিনি সুবিদিত। আর পুত্তাপুর্তির সাই বাবা গেরুয়া আলখাল্লা আর ভালদেরামার মত হেয়ারস্টাইলে একটা ‘কেয়ারফুলি কেয়ারলেস’ লুক রেখেই সুপরিচিত হন।)
তিনি তাঁর জাদুর খেলা, যাকে মনে করা হত যোগশক্তির মাধ্যমে করা মিরাকল, দেখানোর জন্যই সবথেকে বিখ্যাত হন। তাঁর ধুনির ছাই, যাকে বলা হয় বিভূতি, তিনি শূন্য থেকে নিয়ে এসে ভক্তদের মাথায় ছড়িয়ে দিতে পারতেন। আবার যখন-তখন হাত ঘুরিয়ে সোনার চেন, লকেট, আংটি এসব নিয়ে আসতেন। মুখ থেকে সোনার শিবলিঙ্গ সৃষ্টি করতে পারতেন। ভক্তরাও হরদমই, ঘরের দেওয়ালে, আকাশে, এখানে-সেখানে বাবার চেহারা ভেসে উঠতে দেখত, বিশেষত সঙ্কটের সময়ে। সেই সময় এর ঢেউ কলকাতাতেও পৌঁছেছিল, বাংলার বহু মানুষ সাইবাবাকে মানতে আরম্ভ করেন।
হুজুগে বাঙালি অবশ্য বেশিদিন তো এক জিনিস নিয়ে মজে থাকে না। সাইবাবার হুজুগও পরের দিকে খানিকটা কমে আসতে থাকে। আশির দশকের মাঝামাঝি বাবা তাঁর পলিসিও পরিবর্তন করতে থাকেন। বলেন, মিরাকলের মাধ্যমে লোকসমাগম তো অনেক হল, এবার লোককল্যাণের দিকে শক্তি নিয়োগ করা যাক। সেই সময় থেকে তাঁর ট্রাস্ট অনেক পরিকাঠামোগত কাজের দিকে মন দেয়; বিস্তারিত পরে আসব। ভারতের অন্যান্য অংশে অবশ্য তাঁর প্রভাব একই রকম রয়ে যায়। সারা পৃথিবী জুড়েই কয়েক কোটি ভক্ত তাঁর।
(২)
তাঁর এই জাদুর খেলা চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অনেকে। পি সি সরকার জুনিয়র নিজেই পুত্তাপুর্তি গিয়েছিলেন তাঁকে দেখতে, বাবার শূন্য থেকে জিনিস সৃষ্টির খেলা উলটে তাঁকেই দেখিয়ে দিয়ে আসেন। ফিরে এসে পত্রিকায় বলেছেন, ওঁর জাদুর খেলা খুবই সহজ; নিজেই সেগুলি করে দেখিয়েওছেন। কিছু ভিডিওতেও ধরা পড়েছে তাঁর এইসব ম্যাজিকের প্রক্রিয়া, যেমন আঙুলের ফাঁকে ছাইয়ের ট্যাবলেট গুঁজে রাখা।
একজন ব্লগার সরস ভঙ্গিতে বলেছেন সেই দিনের কথা, যখন তাঁর মা ভরা সভায় সাইবাবাকে বলেছিলেন, পারলে শূন্য থেকে একটা কাঁঠাল এনে দিন তো আমায়। উনি জানতেন, গেরুয়া আলখাল্লার ঝোলা হাতার আড়ালে তো আর কাঁঠাল লুকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তাতে নাকি বাবার ভক্তরা তুমুল হইহল্লা করে মহিলাকে সভা থেকে সরিয়ে নিয়ে যান।
কেউ কেউ ওঁকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, পারলে স্টুডিওর মধ্যে পরীক্ষামূলক পরিস্থিতিতে এইসব ম্যাজিক করে দেখান। সাইবাবা তাতে অস্বীকার করেন এইসব বলে, যে বিজ্ঞান আর ধর্মের পথ আলাদা, আধ্যাত্মিক বিষয় বিজ্ঞান কোনোদিনই ধরতে পারবে না, ইত্যাদি ইত্যাদি। ইন্টারনেট ইত্যাদিও নাকি মানুষের মন এ মায়াময় সংসারের দিকে বিভ্রান্ত করে রাখে।
কেউ আবার বলেছিলেন, শূন্য থেকে সোনা আমদানি করতে পারলে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উচিত ওনাকে সোনা আমদানি আইনে ধরা, কারণ ‘স্পিরিচুয়াল আমদানি’ বলে কোনো ব্যবস্থা ভারতীয় আইনে নেই।
(৩)
হিন্দু ধর্মগুরুদের সাধারণ যা স্বভাব, সেইমত ইনিও শুধু ভাল ভাল কথাই বলে গেছেন। ভাল কাজ কর, সবাইকে ভালবাস, চরিত্রে ভাল হও। (সাইবাবাএক্সপোসড নামের এই ব্লগে অবশ্য বাবার ধর্মনীতির অনেক সমালোচনা করা হয়েছে।) এনার আর একটা বড় পয়েন্ট ছিল, কাউকে হিন্দুধর্মে পরিবর্তিত হতে বলেন নি, নিজে দীক্ষাও দিতেন না। তাই সেদিক থেকে তাঁর ইমেজ বড়ই ক্লিন, বহু দেশী-বিদেশী বড় বড় লোকেরা আকৃষ্ট হয়েছেন তাতে। বাবা অবশ্য মাতৃভাষা তেলুগু বা হিন্দি ছাড়া অন্যান্য ভাষায় তেমন কথা বলতেন না, আন্তর্জাতিক ভক্তদের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা অনুবাদ করে দিতে হত।
অন্যান্য বহু গুরুর মতনই তাঁর নামেও অবশ্য বহু সেক্স স্ক্যান্ডাল উঠেছে। বিদেশী ভক্তরাও অভিযোগ করেছেন, আশ্রমে তাঁদের নিয়ে বাবা যৌনক্রীড়া করেছেন। সেসব নিয়ে যদিও তদন্ত কিছুই হয় নি। ভক্তরাও কিছুতে কান দেন নি। নিজেদের এক চিন্তাগতভাবে আবদ্ধ পরিবেশে রেখে বাবাকেই সর্বৈব সত্য বলে মেনে নিয়েছে যারা, এসবকে তারা তো অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দেবেই। সাইবাবা অত্যন্ত তীব্রভাবেই “ওপিয়াম অফ দি মাসেস” ছিলেন, প্রথমে মিরাকল ও পরে জনকল্যাণ দিয়ে।
অন্য অনেক গুরুদের মত সাইবাবা অবশ্য তাঁর ভক্তদের সরাসরি ব্যবহার করতেন না। তার প্রয়োজন পড়ত না। ওই স্ক্যান্ডালগুলি, বা লোক ঠকানোর অভিযোগ ওঠার সময়, প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী ইত্যাদি নামী লোকজন নিজেরাই বাবার পক্ষে বিবৃতি দিয়ে এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও দুঃখজনক বলেন। তাঁর ট্রাস্টের পরিচালন সমিতিতেও আসন নেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি।
সেলিব্রিটি, বড়লোকদের প্রতি তাঁর পক্ষপাত যেন প্রকাশ পেয়েছে মৃত্যুর পরেও। তাঁর মৃতদেহ যখন আশ্রমে শোয়ানো ছিল, শচীন তেন্ডুলকরের মত নামী ব্যক্তিত্ত্ব এসে কাছ থেকে দর্শন করে গেছেন, এদিকে সাধারণ ভক্তরা বাইরে বিশাল ভিড়ে একটু দর্শনের জন্য অপেক্ষা করে বিফল হয়েছেন সারাদিনে।
(৪)
সাইবাবার মৃত্যুর পর অন্য অনেকের মতনই তসলিমা নাসরিনও লক্ষ্য করেছিলেন ওঁর ভবিষ্যৎবাণী বিফলে যাওয়া, এবং ব্যঙ্গ করে টুইট করেছিলেন, “Satya Saibaba died. He said he would die in 2022. But he died too early.” সাধারণভাবে তাঁর লেখা বা দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এখানে কোনো মন্তব্যে না গিয়েই বলি, অন্তত এধরনের কথাগুলির সাথে সহমত হতেই হয় – “one ‘godman’ gone, but a thousand others will surface…what a pity…the bhakti business is quite lucrative…”
তসলিমা অন্য একজনের একটি লেখা রি-টুইট করেছিলেন, যাতে ছিল, “why shud somebody be sad abt his death. he was 86, shud b allowed to die. i was so dissappointd with sachin praying. crazy!” এটা নিয়ে টাইমস অফ ইন্ডিয়া, যাদের সংবাদ এখন ট্যাবলয়েড-সুলভ হয়ে গেছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেন, বিতর্ক ছড়াবার লোভে হেডলাইন বানায় এই বলে যে “Taslima advises Sachin not to pray for Sai Baba”। এতে তসলিমা বিরক্ত হয়ে বলেন, কারোর লেখা রিটুইট করা মানেই কী আমি তার সঙ্গে পূর্ণ সহমত? আমাকে হুমকি বা গালাগালি দেওয়া যে টুইটগুলো দেখি, মজা পেয়ে সেগুলোও আমি রিটুইট করি, তার মানেই কী সেগুলো আমার বক্তব্য? টুইট এবং রিটুইটের পার্থক্য না বলে টাইমস মনে হয় পাঠকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টায় আছে।
(৫)
কিন্তু একটা ব্যাপারে তাঁকে সাধুবাদ দিতেই হয়। পশ্চিমবাংলার কমিউনিস্ট শাসকেরা রাজ্যের চিকিৎসাব্যবস্থার (এবং অন্যান্য সব পরিকাঠামোর) এমনই হাল করেছেন, যে কোনো রোগ হলেই তাঁদের সরকারি হাসপাতালের বদলে বেসরকারি নার্সিংহোমে গিয়ে ভর্তি হতে হয়। নিয়মিত চিকিৎসা করাতে লন্ডন যাওয়া মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতিবাবু তো শেষবয়সে একটি বেসরকারি হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ফেললেন। সাইবাবা অন্তত এতটাই ভাল একটা হাসপাতাল তৈরী করিয়েছিলেন, যে তাঁর ভক্তরা তাঁকে সেখানেই ভর্তি করাবার ভরসা পায়।
সত্যি বলতে, তাঁর হাজার হাজার ধনী ভক্তরা যে মোটা টাকার ডোনেশন দিয়ে থাকেন নিয়মিত, তার একটা অংশ তিনি সত্যিই জনকল্যাণের কাজে ব্যয় করেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট পুত্তাপুর্তিতে হাসপাতাল বানিয়েছে, কিছু স্কুল-কলেজও করেছে। পানীয় জল প্রকল্পে অংশ নিয়েছে। এসব সেবার জন্য মানুষের থেকে কোনো পয়সাই নেওয়া হয় না। প্রতিষ্ঠিত ডাক্তাররাও অনেকেই যেমন ‘মানুষের কল্যাণমূলক কাজে কিছু অবদান রাখছি’ মনে করে সেখানে ফি নেন না। তবে এ সব কোনো কিছুই যে তাঁর মানুষকে প্রবঞ্চিত করে অর্জিত বিশাল সম্পদকে নৈতিক বৈধতা দিতে পারে না, তা বলাই বাহুল্য।
(অবশ্য তাঁর ভক্তরা এটাও মনে করে, তিনি অলৌকিক ক্ষমতাবলে এক নিমেষেই সৃষ্টি করেছেন এই সব হাসপাতাল, স্কুলের বাড়িঘর।)
এখানে আরো একটা তুলনা আসা উচিত আমি মনে করি। ক্রিস্টোফার হিচেন্স এবং অন্যরা প্রায়শই বলেন, মাদার টেরিজা তো বিদেশ থেকে অজস্র ডলার ডোনেশন পান তাঁর কল্যাণব্রতের জন্য। কিন্তু তা দিয়ে কলকাতা এবং অন্যত্র ওই ‘নির্মল হৃদয়’এর মতো অপরিণত, অপ্রতুল পরিকাঠামোর কিছু ‘সেবাকেন্দ্র’ ছাড়া আর কিছু করেছেন কি? একটাও উন্নত মানের হাসপাতাল কি করেছেন যেখানে এই রোগীদের শুধু দুবেলা খাওয়া-পরা আর সামান্য শুশ্রুষা নয় বরং আধুনিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলা যাবে? সেখানে রোগীদের এই ধারণাই দিয়ে দেওয়া হয় যে এখানেই এই পরিবেশেই তাদের বাকি জীবনটা কাটাতে হবে, এবং তাদের প্রায় জোর করেই প্রভু খ্রীষ্টের উপর নির্ভরশীল করে তোলা হয়। এসব দিক থেকে পুত্তাপুর্তির ব্যবস্থা সত্যিই উল্লেখযোগ্য।
(৬)
আর তাঁর মৃত্যুর পর এই চল্লিশ হাজার কোটি টাকার ট্রাস্টেই শুরু হয়েছে মালিকানা সংক্রান্ত তীব্র গণ্ডগোল। সেই নিয়ে বিভাজন এমন কি শেষকৃত্যের সময়ও দেখা গেছে। লোকে মনে করছে, সরকারের এতে অংশগ্রহণ করে বিষয়টা নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত। সত্যিই তো, সাইবাবা পরলোকগত হয়েছেন, এখন কী তিনি আর এসবকে শাসন করে ঠিক পথে আনতে পারবেন, যতই তিনি নিজেকে ঈশ্বর বলে দাবি করুন?
তাঁর ট্রাস্টে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ অবশ্য বহুদিনেরই। এই সংক্রান্ত গণ্ডগোলেই নাকি একবার চারজন অস্ত্রধারী লোক পুত্তাপুর্তিতে বাবার শোবার ঘরে ঢুকেছিল, বাবা প্রাণ নিয়ে পালান (ছিঃ, হাসবেন না)। সেখানে অন্যদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি হয়, পুলিশ এসে তাদের চারজনকেই এবং দুজন মন্দিরের কর্মীকে গুলি করে মারে। যথারীতি, মন্দির-কতৃপক্ষ তদন্তে অনিচ্ছা প্রকাশ করে। রহস্যের সমাধা হয় না। সন্দেহ করা হয়, সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদে কয়েকজনকে সরিয়ে দেওয়া হল এইভাবে।
(৭)
যেটা আমাদের অনেকেরই খুব বিরক্তিকর লেগেছে, তা হল তাঁর মৃত্যুর পর অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে চারদিনের সরকারি শোক ঘোষণা করা এবং সাইবাবাকে রাষ্ট্রীয় সম্মানের সাথে (ফুল স্টেট অনার) সমাধি দেওয়া। (তাঁকে কিন্তু অন্য হিন্দুদের মত দাহ করা হয় নি, মাটিতে গোর দেওয়া হয়েছে।) প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-কে সারা দেশের কাজ ফেলে এক ধর্মগুরুর অনুষ্ঠানে আসতে হবে? সোনিয়া গান্ধী, নরেন্দ্র মোদী, সবাইকে? অবশ্য ভারতের বহু বড় বড় রাজনৈতিক নেতা, এমনকি প্রধানমন্ত্রীও, এবং বহু সেলিব্রিটি-খেলোয়াড়-অভিনেত্রী সবাই যাঁর ভক্ত, তাঁর ক্ষেত্রে এমন হওয়া আশ্চর্যই বা কী। অন্যান্য ধর্মগুরু যেমন মাদার টেরিজা বা কার্ডিনাল বিদ্যাথিল-ও তো মরার পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত হয়েছিলেন। এঁদের অগণিত ভক্তরা সবাই ভোট দেয় বলে কথা, তাদের খুশি রাখতে হবে না?
*********************
কিছু ভিডিওর লিঙ্ক:
সাইবাবার হস্তলাঘবতা:
সাইবাবার উপর করা বিবিসির ২০০৪ সালের ডকুমেন্টারি – দা সিক্রেট স্বামীঃ
(এই লিঙ্কটা দিয়েছিলেন দিগন্তদা)
লেখার শিরোনাম দিয়েছেন ধর্মের ষাঁড়
Leave a Reply