লিখেছেন মৌনতা
পশুপালক জাতি বিশেষত পাকিস্তানী, আরব বেদুইন জাতি, আফগানিস্তানী মোদ্দা কথা ঐ ভৌগলিক বেল্টের মাঝে উভকামী প্রবণতা অনেক বেশি ছিলো এবং এরা ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের তুলনায় যৌনকর্মে অনেক বেশী উদার ছিলো (বর্তমানেও তাই)। এমনকি পশুমেহনও খুব সাধারণ একটা বিষয় ছিলো। অথচ ইসলামের নামে এখন সমকামীদের মেরে ফেলার কথাও বলা হয়।
১। এক হাদিস অনুসারে, (সুনান বেহাকি এবং আল হালাবি) জাহির নামে এক লোক বলে বেড়াতো, ‘মুহাম্মদ আমাকে ভালোবাসেন।’ একদিন এক লোক পেছন থেকে জাহিরকে জড়িয়ে ধরেছিলো। জাহির ভয় পেয়ে চিৎকার করে উঠেছিলো, “এই কে রে? সর আমার গা থেকে!’ তারপর মাথা ঘুরিয়ে দেখে, লোকটা মুহাম্মদ। তারপর সে আর ধস্তাধস্তি না করে নিজের পিঠ মুহাম্মদের বুকে আরো শক্ত করে লাগিয়ে দিলো।
২। অন্যতম প্রধান হাদিস সংগ্রাহক সুনান আবু দাউদ বলেছেন, ‘মুহাম্মদ একবার নিজের শার্ট তুলে ধরেছিলেন এক লোকের জন্য, যে মুহাম্মদের নাভী থেকে শুরু করে বগল পর্যন্ত চুমু দিয়েছিলো।’
৩। এক যুদ্ধের পর জিহাদীরা যখন গণিমতের মাল হিসেবে প্রাপ্ত নারী, পুরুষ এবং ছাগল-উটের সাথে কাম লীলায় ব্যস্ত, তখন অত্যন্ত রূপবান যুবক সাফোয়ান বিন মুয়াত্তাল এসে মুহাম্মদকে বললেন, ‘ইয়া নবী! আমি তো আমার স্ত্রী থেকে অনেক দিন দূরে আছি তাই অত্যন্ত কামার্ত বোধ করছি। আমার কাছে শুধু দুটো ছাগল আছে, এই যুদ্ধে কোনো মেয়ে ভাগে পাইনি। অন্য অনেক জিহাদীর মতো আমি পশুকামে আসক্ত নই। দয়া করে একটা উপায় বাতলান।’
মুহাম্মদ: ‘কেন! তুমি আরেক জিহাদী থেকে একটা মেয়ে ধার করে নাও।’
সাফোয়ান: ‘তারা এতো বেশি কামার্ত আর এবার আমরা মেয়ে এতো কম পেয়েছি যে, কেউ আমাকে মেয়ে ধার দেবে বলে মনে হয় না।’
মুহাম্মদ: ‘তাহলে একটা পুরুষ বন্দী নাও না কেন আজ রাতে? এই কাজ তো সুন্নত’ (সুন্নত: যা আল্লাহর নবী করতেন এবং মুসলিমরা করলে ভালো বলে গণ্য করা হয়)।
তারপর মুহাম্মদ নিজের মুখ খুলে তাঁর জিভ ঢোকালেন সাফোয়ানের মুখে। ঘটনা শেষে সাফোয়ান বললেন, তাঁর পুরুষসঙ্গ ভালো লাগে না। মুহাম্মদ বললেন, ‘তাহলে আর কী! আজ রাতে তোমাকে কামার্ত অবস্থায়ই ঘুমাতে যেতে হবে।’
পরিশিষ্ট: এই প্রসঙ্গে কিছু ঘটনা নিয়ে আমার নিজের সংশয় আছে। ঘটনা আমি উল্লেখ করছি নিচে।
মুহাম্মদ ও তাঁর বন্ধুরা সত্যিকারভাবেই চেয়েছিলেন, বেদুইনদের মাঝে সমকামী প্রবণতা একটু নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রাখতে। সুরা হুদে তাই লুত জাতির ধ্বংসের কারণ হিসেবে সমকামী প্রবণতার কথা উল্লেখ করেছেন (বাইবেল থেকে মেরে)।
এতিম মুহাম্মদকে তাঁর চাচা আবু লাহাব পিতামাতা মারা যাবার পর আশ্রয় দিয়েছিলেন। মুহাম্মদের জম্মের খবর শোনার পর আবু লাহাব আনন্দিত হয়ে এক ক্রীতদাসীকে মুক্তি দিয়েছিলেন। তাহলে আবু লাহাবের সাথে মোহাম্মদ এর বিরোধটা কিসের যে, লাহাবকে ধ্বংস হওয়ার জন্য স্বয়ং আল্লাহকেই একটি পুরোপুরি সুরা (সুরা মাসাদ) নাজিল করতে হলো?
সুরা মাসাদ দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম সুরা বলে অনেকে নামাযের সময় ঘৃণাপূর্ণ এই সুরাটি বেছে নেয়। শত শত মুসলিম অর্থ না জেনেই অভিশাপমূলক এই সুরাটি প্রতিদিন নামায পড়ার সময় আবৃত্তি করে থাকে। সুরার প্রথম লাইনটি নিয়ে আমার বেশ সন্দেহের অবকাশ আছে: “ধ্বংস হোক আবু লাহাবের হস্তদ্বয়”।
মুহম্মদের শৈশব থেকে তাঁকে আবু লাহাব প্রচণ্ড স্নেহ করলেও পরবর্তীতে মুহম্মদের ইসলাম প্রচারকালে অন্য অনেকের মতো বিরোধিতা করেছিলেন। তবে প্রশ্ন জাগে, ইসলামবিরোধী অন্য কাউকে উদ্দেশ্য করে পুরো একটা সুরা আল্লাহ আর নাজিল করেননি কেন? অথচ আবু লাহাবের প্রতি, বিশেষ করে তাঁর হস্তদ্বয়ের প্রতি আল্লাহর আক্রোশের কারণ কী? মুহম্মদের শৈশবের কোনও ঘটনায় আবু লাহাবের হস্তদ্বয়ের বিশেষ কোনো ভূমিকা ছিলো কি?
Leave a Reply