“সঠিক লাইনে ছাত্রলীগ”
ছাত্র শিবিরের আদি এবং অকৃত্রিম লক্ষ্য শহীদ হওয়া। হোয়াট অ্যা হোলি অ্যাম্বিশন! তাদের লক্ষ্যের প্রতি পুরো জাতি শ্রদ্ধাশীল। মনে প্রাণে চায় এরা অতি দ্রুত শহীদের সম্মান পেয়ে যাক। আজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২জন শহীদ হয়েছে (আলহামদুলিল্লাহ)। শহীদ হলে বেহেশত নিশ্চিত। দু দু’টি মাসুম বাচ্চার বেহেশত প্রাপ্তিতে গঠনমূলক ভূমিকা রেখেছে ছাত্রলীগ। অনেকদিন পর ছাত্রলীগ কোন ভালো কাজ করলো।
চট্টগ্রামে আজ আনন্দের শেষ নাই। সারারাত ধরে চ.বি ক্যাম্পাসে পাখিরা গান গাইবে, ফুলেরা ফুটতে থাকবে, প্রজাপতি উড়তে থাকবে। বালিকারা চুলে ফিতা বাঁধবে। সানগ্লাস লাগিয়ে জোছনা দেখবে যুবকের চোখ। গুছিয়ে বলতে গেলে বলতে হয়, “আজ ঈদ। চ.বি’র হলে হলে আনন্দ!” কিন্তু এ আনন্দ মেনে নিতে পারছে না একটা গোষ্ঠী। দু’টো ছেলে শহীদ হয়ে, বেহেশতটা কনফার্ম করেছে, একটু ভালোমন্দ শরবত টরবত খাবে। আর ওই গোষ্ঠীর যেন পাছায় আগুন লেগেছে! হিংসায় পুড়ে যাচ্ছে ওদের ল্যাঞ্জা। যাদের সহযোগিতা ছাড়া এমন অর্জন সম্ভব ছিলো না, সে ছাত্রলীগের বিচার চাইছে এ হিংসুটে গোষ্ঠী!
ছাত্রলীগ ভুলে গিয়েছিলো লীগের হাতে লীগ মরলে শহীদ হয় না, খুন হয়। কিন্তু লীগতো নস্যি, কুত্তার কামড় খেয়েও যদি কোন শিবিরের মরন হয়, তাহলে সেটা মৃত্যু নয় শাহাদাত বরন! একজন মানুষকে শহীদ হতে সাহায্য করে নিন্দুকের মুখে ছাই মেরেছে ছাত্রলীগ। ওরা প্রমাণ করেছে, ছাত্রলীগও ভালো কাজ করতে পারে।
ছাত্রলীগের উচিৎ মনযোগের সাথে এ ধরনের ভালো কাজ করে যাওয়া। খুন করলে পাপ হয়, শহীদ করলে পূণ্য হয়। অস্থিরতা কমিয়ে, দক্ষতার ছাপ রেখে নিয়মিত ভালো কাজ করে যাবে ছাত্রলীগ। এমন আশাই এ দেশের মানুষ করে। যারা দু’টি নাবালক দুগ্ধপোষ্যের শহীদ হওয়া মেনে নিতে পারছে না, তাদের উপর খোদার গজব পড়ুক, গওহর রিজভীর নজর পড়ুক।
দু’জনকে বেহেশতের টিকিট ধরালেই চলবে না। হাজার হাজার মুজাহিদ তাকিয়ে আছে ছাত্রলীগের মুখের দিকে। ওদের প্রতি সুদৃষ্টি রাখতে হবে। চ.বিতে হয়েছে, এখনো রা.বি বাকি আছে, শাবি বাকি আছে। ইনসাফের সহিত টিকিট বন্টন করতে হবে। বৈষম্য করলে হবে না। নিশ্চয় জাতি ভালো কাজে দোয়া করবে এবং বৈষম্যে বদদোয়া দেবে। – জয় বাংলা। জয় মগবাজার।
Leave a Reply