১৯:৯৪ তাঁর কাছে তাদের পরিসংখ্যান রয়েছে এবং তিনি তাদেরকে গণনা করে রেখেছেন। [তফসীর মাআরেফুল কোরআন বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত তফসীর), হযরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ শাফী’ (রহঃ), অনুবাদ মাওলানা মুহিউদ্দীন খান]
সবারই গণনা তাঁর কাছে রয়েছে। তাঁর জ্ঞান সবকে পরিবেষ্টন করে আছে। সবাই তাঁর ক্ষমতা আওতার মধ্যে রয়েছে। সমস্ত পুরুষ, নারী, ছোট ও বড় এবং ভাল ও মন্দের খবর তিনি রাখেন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত কিছুর জ্ঞান তাঁর আছে। (তাফসীর ইব্নে কাসীর, চতুর্দশ খণ্ড, পৃঃ ২০৩)।
৩৭:১৪৭ এবং তাঁকে, লক্ষ বা ততোধিক লোকের প্রতি প্রেরণ করলাম।
৩৭:১৪৮ তারা বিশ্বাস স্থাপন করল অতঃপর আমি তাদেরকে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত জীবনোপভোগ করতে দিলাম। [তফসীর মাআরেফুল কোরআন (বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত তফসীর), হযরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ শাফী’ (রহঃ), অনুবাদ মাওলানা মুহিউদ্দীন খান]
তাদের সংখ্যা ছিল এক লক্ষ ত্রিশ হাজার বা এর চেয়েও কিছু বেশী বা সত্তর হাজারের বেশী অথবা এক লক্ষ দশ হাজার। একটি মারফূ’ হাদিসের বর্ণনা হিসেবে তাদের সংখ্যা ছিল এক লক্ষ বিশ হাজার। (তাফসীর ইব্নে কাসীর, ষষ্টদশ খণ্ড, পৃঃ ২৩০)।
এক লাখ বা এর বেশী ”বলার মানে এ নয় যে, এর সঠিক সংখ্যার ব্যাপারে আল্লাহ্র সন্দেহ ছিল বরং এর অর্থ হচ্ছে, যদি কেউ তাদের জনবসতি দেখতো তাহলে সে এ ধারণাই করতো যে এ শহরের জনসংখ্যা এক লাখের বেশীই হবে, কম হবে না। (তাফহীমুল কুর আন, সূরা আস্ সা-ফ্ ফা-ত, পৃঃ ৭৫)।
আলী ইব্ন হুজর (র)…উবাই ইব্ন কা’ব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: তাকে (ইউনুস আ) আমি লক্ষ বা ততোধিক লোকের প্রতি প্রেরণ করেছিলাম (সাফ্ফাত ৩৭:১৪৭) আয়াতটি সম্পর্কে আমি রাসূলুল্লাহ (সা)-কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বলেছেনঃ এরা ছিল (এক লক্ষ) বিশ হাজার।
হাদীছটি গারীব। (তিরমিযী শরীফ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, পঞ্চম খণ্ড, পৃঃ ৫০১, হাদীস ৩২২৯)
৮৯:২৩ এবং সেদিন জাহান্নামকে আনা হবে, সেদিন মানুষ স্মরণ করবে, কিন্তু এই স্মরণ তার কি কাজে আসবে? [তফসীর মাআরেফুল কোরআন (বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত তফসীর), হযরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ শাফী’ (রহঃ), অনুবাদ মাওলানা মুহিউদ্দীন খান]
আবদুল্লাহ্ ইব্ন আবদুর রহমান (র.)…আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ সেইদিন (কিয়ামতের দিন) জাহান্নামকে আনা হবে। এর থাকবে সত্তর হাজার লাগাম। প্রতিটি লাগামের সাথে থাকবে সত্তর হাজার ফিরিশতা। তারা এটি ধরে তা টানবে।
…আবদুল্লাহ ইব্ন আবদুর রহমান বলেনঃ ছাওরী (র.) হাদীছটি মারফূ’ রূপে বর্ণনা করেন নি।
…আবদ ইব্ন হুমায়দ (র।)…আলা ইব্ন খালিদ (র।) সূত্রে উক্ত সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে এটি মারফূ নয়। (তিরমিযী শরীফ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, পঞ্চম খণ্ড, পৃঃ ৫৫, হাদীস ২৫৭৪)
সুয়ায়দ ইব্ন নাসর (র)…আবূ সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন। রাসূলুল্লাহ্ বলেছেনঃ জান্নাতীদের মাঝে সর্বনিম্ন যে তারও হবে আশি হাজার সেবক, বাহাত্তর হাজার সঙ্গিনী। মোতী, যবরজদ এবং ইয়াকূত পাথরে নির্মিত পাথরে জাবিয়া থেকে সান’আ পর্যন্ত দূরত্বের ন্যায় (১) বিস্তৃত এক বিরাট গুম্বজ বিশিষ্ট প্রাসাদ তার জন্য প্রতিষ্ঠা করা হবে।
…এই সনদেই নবী (সা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ছোট বা বড় যে বয়সেই মারা যাক না কেন জান্নাতে গিয়ে তার বয়স হবে ত্রিশ। কখনও তাদের বয়স বাড়বে না। জাহান্নামীদের অবস্থা তদ্রূপ হবে।
…এই সনদে নবী (সা) থেকে আরো বর্ণিত যে, তিনি বলেন, জান্নাতীদের যে তাজ হবে এর সবচে’ নিম্নমানের মোতীটিরও ছটাও পূর্ব ও পশ্চিমের মাঝে যা কিছু সব কিছু উজ্জ্বল করে ফেলবে।
…হাদীছটি গারীব। রিশদীন ইব্ন সা;দ (র.)-এর রেয়ায়ত ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই।
পাদটিকা (১): জাবিয়া—দামিশ্কের একটি নগর। সানআ—ইয়ামনের একটি শহর। (তিরমিযী শরীফ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, পঞ্চম খণ্ড, পৃঃ ৪৯-৫০, হাদীস ২৫৬৪)
Leave a Reply