লিংক পাঠিয়েছেন মালা আলম
মুসলিম অধ্যুষিত ইরাক ও আফগানিস্তানের যুদ্ধে প্রত্যক্ষ উদ্যোক্তা ও অংশগ্রহণকারী প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার এখন মুসলিমদের সহানুভূতি পেতে মরিয়া হয়েছেন উঠেছেন নাকি? ডেইলি মেইলে প্রকাশিত এক সংবাদে জানা গেছে, ধর্মজ্ঞানে শিক্ষিত হবার লক্ষ্যে তিনি প্রতিদিন কোরান পড়েন। তেলওয়াত না কিন্তু, খুব খিয়াল কৈরা! ওইরম পড়া অধিকাংশ নাস্তিকেই পড়ে।
আমি প্রত্যেক দিন পবিত্র কোরআন পড়ি: ব্লেয়ার
ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার এখন প্রত্যেকদিন মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পাঠ করেন বলে জানিয়েছেন। ক্ষমতায় থাকার সময় ব্লেয়ার ধর্মের ব্যাপারে যতটা উদাসীন ছিলেন, বর্তমানে তিনি ধর্মের ব্যাপারে ততটাই আগ্রহী হয়েছেন বলে জানা গেছে। ব্লেয়ার বলেছেন, বর্তমানে তিনি জীবনে ধর্মের গুরুত্ব জানার চেষ্টা করছেন। মানুষের ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভের অংশ হিসেবেই তিনি প্রতিদিন কোরআন পাঠ করছেন বলে জানান। খবর এনডিটিভির।
সূত্র জানায়, ব্লেয়ার যখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি নিজেই বলতেন ধর্ম নিয়ে তার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। কিন্তু ২০০৭ সালে প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেয়ার পর তিনি ক্যাথলিক ধর্মে দীক্ষিত হন। অন্যদিকে, লেবার পার্টির সাবেক এই নেতা রবিবার প্রকাশিত অবজারভার ম্যাগাজিনে একটি সাক্ষাত্কারে বলেছেন, তিনি প্রতিদিন কোরআন পড়ছেন। ব্লেয়ারের মতে, বিশ্বায়নের এই যুগে ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কে জ্ঞান লাভ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিদিন কোরআন পড়ছি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ঘটনাবলীর সম্পর্কে ভালোভাবে বোঝার জন্য। তাছাড়া ভিন্নমত সম্পর্কে জানার আগ্রহ আমার একটু বেশি।’ তাছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে তিনি জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং রাশিয়ার পক্ষে বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করছেন। মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস সম্পর্কে ভালোভাবে জানা থাকলে দায়িত্ব পালন সহজ হবে বলে তিনি সাক্ষাত্কারে জানান।
উল্লেখ্য, টনি ব্লেয়ার এর আগে একাধিকবার ইসলাম ধর্মের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি এক বক্তব্যে ইসলাম ধর্মকে ‘সুন্দরের ধর্ম’ বলে আখ্যা দেন। ২০০৬ সালে তিনি বলেছিলেন, পবিত্র কোরআন মানব জাতির সংস্কার সাধনকারী গ্রন্থ। এটি এমন বিশাল গ্রন্থ যা বিজ্ঞান এবং জ্ঞানের প্রশংসা করে এবং কুসংস্কারের নিন্দা জানায়। বিবাহ, নারী এবং সরকার সম্পর্কে কোরআনের ধারণা প্রায়োগিক।
ব্যাটায় তখনও কোরান পড়ে নাই। এখন ঠিক মতোন পড়লে (অর্থাৎ শুধু তেলওয়াত না করলে) তার ভুল ভাঙতে সময় লাগবে না। অবশ্য ব্যাটায় তো জ্ঞানপাপী। তার উপ্রে আস্থা রাখা যায় না।
Leave a Reply