কোন আয়াতের কী মানে, কোনটা জাল-হাদিস, কোনটা নয়–এসব তর্ক-বিতর্ক অনেক আগেই আসল ইসলামিক দেশগুলোতে শেষ হয়ে গেছে (যদিও সব কোরানে না থাকায় মাঝে মাঝে নতুন নতুন পরিস্থিতির জন্য নতুন নতুন ফতোয়া জারি করতে হয়)। কিভাবে শেষ হলো?
সেসব দেশের ইসলামিক স্কলাররা মিলিত হয়ে তর্ক-বিতর্ক শেষে সবাই একটা সিদ্ধান্তে আসছে, তার তার ফলাফল হলো “শরিয়া আইন”, যা তারা আলাদা গ্রন্থ হিসাবে ফাইনালাইজ করেছে, এবং গ্রন্থের আইন-ই সর্বসম্মত ভাবে মেনে নেয়া আইন, যেখানে কোনো তর্ক-বিতর্ক করার সুযোগ নেই। যেসব দেশ যত বেশি ইসলামিক, সেসব দেশে এই আইন তত কড়াকড়ি ভাবে মেনে চলা হয়। বর্তমানে এই আইন ১০০% চালু করার প্রজেক্ট হাতে নিতে আইসিসের মত ইসলামের সেবকরা কাজ করে যাচ্ছে।
ইসলাম ঠিক ভাবে কাজ করে না সেসব দেশে বা সেসব দেশের মুসলমানরা ইসলাম নিয়ে এখনো কনফিউজ যারা এখনো ঠিক করে উঠতে পারে নাই যে তাদের জন্ম আসলেই আরব বীর্যে নাকি মালাউন বীর্যে। এই কনফিউশনের জন্য এরা শুধু সুবিধামত ইসলাম মানে, যেখানে নিজেদের স্বার্থ আছে, সেখানে ইসলাম প্রয়োগ করতে যায়।
যেমন, এক ভার্সিটি শিক্ষক উনার কোন বোরখা পরা ছাত্রীকে মুখটা খুলে কথা বলতে বললে এই দেশের কনফিউজড মুসলমানরা মনে করে তাতে বোরখার অবমাননা করা হয়, কিন্তু শরিয়া আইনে যে মেয়েদেরকে ইসলামের সাথে সম্পর্কযুক্ত হাতে গোনা কয়েকটি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়াই নিষিদ্ধ, সেটা মুসলমানরা এড়িয়ে যাবে। এ ধরনের স্ববিরোধি ইসলাম বা মুসলমানদের ভবিষ্যত যে আসলে কী, আল্যায় নিজেও জানে কিনা সন্দেহ!
Leave a Reply