ধর্মের চিড়িয়াখানায় – ১৬

লিখেছেন ধর্মহীন জিরাফ

জামাতকে ঘৃণা করেন? দেখলেই একাত্তরে ধর্ষিত বোনের প্রতিশোধ নিতে ইচ্ছে করে? তাদেরকে দৌড়ের ওপর রাখেন?

লাভ নেই। তারা যখন বলবে, “নামায পড়েন, রোজা রাখেন”, তখন চুপ করে শুনতে হবে। রমজানে যখন রাস্তায় বলবে, “মাথায় কাপড় দেন”, তখনো।

তারা এভাবেই ধর্মকে ব্যবহার করে ফিরে আসবে বারবার।

ভণ্ডামির জননী ঈশ্বর, আর ধর্ম – ভণ্ডামির আঁতুরঘর।

ধার্মিকরা গত ৫০০০/১৫০০ বছর ধরে চেষ্টা করেও তো পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারলেন না। উল্টো ধর্ম প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে শত শত যুদ্ধ বাধালেন, লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করলেন! অনেক তো হল! আর কত?

এবার নিধার্মিকদেরকে একটা সুযোগ দিন। নাকি এ জন্যেও হলি টেরর লাগবে?

মুসলিমদের অভিধানে “সমালোচনা” বলে কোনো শব্দ নেই। তারা “ইসলামের সমালোচনা”-কে মনে করে:

১. ইহুদি-নাসারাদের ষড়যন্ত্র

২. নাস্তিকের ধর্মবিদ্বেষ

৩. বদনাম নতুবা কুৎসা

বিজ্ঞানের একটা গ্রহণযোগ্যতা দাঁড়িয়ে গেছে, তাই ভণ্ডরা নিজেদের ধর্মকে বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তারা ধর্মের কথাগুলোর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য বলে, “এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত।”

কই, বিজ্ঞানীদের তো বলতে হয় না, “এটা ধর্মীয়ভাবে প্রমাণিত”!