রমজান মাসের বারকোড |
আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের অপার মহিমা নিয়ে বছর ঘুরে মাহে রমজান প্রায় সমাগত। এ মাসে পরম করুণাময় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন রোজাদার মুমিন বান্দাদের ওপর রহমত বর্ষণ (জানতে মঞ্চায়, এই বর্ষণ কি হালকা বৃষ্টিপাতের মতো? নাকি মুষলধারে?) করেন। অথচ এ পবিত্র মাসের আগমনকে পুঁজি করে একশ্রেণীর কালোবাজারি অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও দ্রব্যসামগ্রীর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। ফলে বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঘটে। এতে রোজাদার সাধারণ দরিদ্র জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে, নিম্নবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষকে নিদারুণ ভোগান্তি পোহাতে হয়। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে খাদ্যপণ্য মজুদ ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত ঘৃণ্য কাজ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। নিয়মিত লাভের পরিবর্তে ক্রেতাসাধারণকে ঠকিয়ে এবং সংকটের আবহ সৃষ্টি করে অধিক মুনাফা হাতিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা অমানবিক। ইসলাম এ ধরনের জঘন্য কাজকে কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ধরনের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড থেকে ধর্মপ্রাণ ব্যবসায়ীদের সব সময় বিরত থাকা উচিত। কেননা, পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাআলা বেচাকেনাকে বৈধ ও সুদকে অবৈধ করেছেন।’ (সূরা আল-বাকারা, আয়াত-২৭৫) (তা না হয় বোঝা গেল, কিন্তু যে প্রসঙ্গে এই আয়াতের অবতারণা – “ক্রেতাসাধারণকে ঠকিয়ে এবং সংকটের আবহ সৃষ্টি করে অধিক মুনাফা হাতিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা” – সে বিষয়ে একটি হরফও নেই এই আয়াতে। এরকম অপ্রাসঙ্গিক উদ্ধৃতি সহকারে গোঁজামিল দেয়ার প্রচেষ্টাকেই বরং “পাঠকদেরকে ঠকিয়ে সত্যের আবহ সৃষ্টির” উদ্যোগ হিসেবে অভিহিত করা যায়।)
Leave a Reply