রোজা রাখবি তুই, আর খাইতে পারুম না আমি, এইটা কেমুন কথা! আমি খাইলে তোর কী সমস্যা? লোভ লাগে? তাইলে তুইও খা। ওহ্, খাইতে পারবি না, কারণ ধর্মে মানা? সেইটা তোর ব্যাপার। সংযম কইরা ছওয়াব কামাই করতে চাস? কর, সমস্যা কোথায়? বরং আমারে খাইতে দেইখাও তুই না খাইলে সেইটা আরও বেশি সংযম হইলো না? তাইলে তো ছওয়াব আরও বেশি ইনকাম হওনের কথা! না, তোগো কথার কুনো মাথামুণ্ডু নাই।
আসলে প্যাটে খিদা নিয়া অন্যরে খাইতে দেখলে তোগো মেজাজ চইড়া যায় বইলা এতো হম্বিতম্বি। আর তোরা তো সংখ্যায় বেশি, তাই রাষ্ট্রও তোগো ফরে। এই দ্যাখ, কয়েকখান মুসলিম দ্যাশে বেরোজদারের খাওন নিয়া কীসব হইতেসে। তোরাও তো এইরমই চাস, তাই না?
১.
ইন্দোনেশিয়ায় চারজনরে গ্রেপ্তার করসে মাহে রমজানের পবিত্রতা নষ্ট করসে বইলা। একজন আবার অ-মুসলিম। আমি বুইঝা পাই না, খাইলাম আমি – নাস্তিক, কাফের, আর পবিত্রতা নষ্ট হইলো তোগো রমজানের? ক্যামনে? আমি তো তোগো বাড়ি বা মসজিদে গিয়া খাইতাসি না!
২.
আর ফাকিস্তান তো আরও উপ্রে! তারা জেলে ঢুকাইসে পঁচিশ জন বেদ্বীন, মুরতাদরে, যারা রমজান মাসে দিনের বেলা পাবলিক প্লেসে খাইয়া আল্লার আরশ কাঁপায়া দিসে। আজিব কাণ্ড! আমার খাওয়া আমি খামু। পাবলিক প্লেসে খাওয়া আমার মৌলিক অধিকার। তোর সংযম করা দরকার, তুই তাকাইস না। তুই বড়োজোর রিকোয়েস্ট করতে পারোস, ভাই, এইখানে খাইস না। কিন্তু সবখানে ইছলামী জোশ দেখাইলে সেইটা কি ঠিক?
৩.
মালয়েশিয়ায় তো সরকারীভাবে ঘোষণা দিসে, রোজার সময় খাওয়া অবস্থায় ধরা খাইলে খবর আছে। কড়া শাস্তির কথা বলা হইতেসে। রোজার প্রথম দুই দিনেই নাকি পঁচিশ জনরে ধরসে। তাগোর জরিমানা হইতারে এক থেকে দুই হাজার মালয়েশিয়ান Ringgit। নাইলে ছয় মাস বা এক বছরের জেল।
ক, সুবহানাল্লাহ।
Leave a Reply