নাজিমুদ্দিন সামাদ : আবার নাস্তিক হত্যা এবং আমাদের করণীয়
আমাদের এখন কী করণীয়?
– জানিনা!
কেন ব্লগে/ফেবুতে একাউণ্ট খুলেছিলাম?
– ভালো মনে নেই, অনেক আগের কথা। তবে এটুকু মনে আছে, ব্লগে নিজের নামে একাউণ্ট খুলিনি। যেমন পরিচিতি লাভ করতে চাইনি, তেমনি নিজের জীবনের নিরাপত্তার দিকটাও রিস্কের মধ্যে ফেলতে চাইনি। তাই আসল নামে ব্লগে একাউণ্ট খুলিনি। ফেবুতেও আসল নামে ছিলাম না। পরে বাধ্য হয়ে আসল নামে এলেও পরিচিত কাউকেই লিস্টে রাখিনি, এমন ভাবে লেখালেখি করেছি যে পরিচিত কেউ থাকলেও ধরতে না পারে। আর নিজের ছবি, ঠিকানা ইত্যাদি দেয়া থেকেও বিরত থেকেছি। শুধুসামাজিকতার জন্য আইডি খুললে শুধু সামাজিকতাই করে যেতাম, এইসব লেখালেখি বাদ রাখতাম। এখন যেহেতু এইসব লেখালেখি করি, তাই জীবনের নিরাপত্তার দিকটা আগে ভাবি, আইডিটা যাতে রিপোর্ট খেয়ে হারিয়ে না যায়, সেসব ভাবি।
পরিবর্তন আসবে। তবে ধীরে ধীরে। এ অনেকটা পুকুরে ছিপ ফেলে ধৈর্য ধরে বসে থাকার মত…চারে মাছ একসময় আসবেই। সেজন্য লেখালেখি চালিয়ে চাওয়া, রিসোর্স বাড়ানো, সেগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া–অহেতুক জীবনের রিস্ক না নিয়েও এই কাজগুলো নীরবে করা যায়। অনেকেই করছেন। যুদ্ধটা সবসময় সামনাসামনি করতে হবে, এমন তো নয়; আড়ালে থেকেও করা যায়। একজন ধর্মপচারক, রাইট হার্ট, আবুল কাশেম, আকাশ মালিক–এরকম আড়ালে থাকা মানুষগুলোর কর্মকাণ্ড, ভূমিকা এবং প্রভাব অনেক প্রকাশ্য সুপরিচিত সেলিব্রেটিদের চেয়েও অনেক অনেক গুণ বেশি। একটু কৌশলী হলে ক্ষতি কী!
একই আইডিতে হার্ড লাইনে লেখালেখি এবং সামাজিকতা–দুইটা একসাথে করতে যাওয়া মানে দুই নৌকায় পা রেখে চলা। তাতে একসময় বিপদ হবেই হবে। যারা নিরাপদ অবস্থানে নেই, তাদের পক্ষে একই আইডিতে এই দুইটা জিনিস না করাই ভালো মনে করি। তবে সার্বিক ভাবে আমাদের সবার বিপক্ষে যায় এমন কিছু, যেমন সুশীলগিরি করা, আসল আইডিতে দেয়ার চাইতে ওসব ব্যাপারে একেবারে চুপ থাকাই ভালো। আর কাউরে বিশ্বাস করারও দরকার দেখি না। এমনকি বাস্তবে পরিচিত বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজনদেরও না। এদের সাথে সিরিয়াস তর্কে জড়ানোরও দরকার নেই।
লেখালেখি সম্পর্কিত বিষয় বাদে অন্য কোনো বিষয়ে আমাকেও অবিশ্বাস করতে বলছি। কেউ কাউকে বাঁচাতে আসবে না। তাই সতর্ক হন, নিজের নিরাপত্তা আগে নিশ্চিত করে তারপর বাকিসব।
Leave a Reply