লিখেছেন শয়তানের চ্যালা
প্রাচীনকালে আকাশকে মনে করা হত অসীম রহস্যের আধার। প্রায় সব ধর্মেই মনে করা হয় ঈশ্বর বা দেব-দেবীরা সব (গ্রীক উপকথায় পাতাল দেবতাও অবশ্য দু’-একজন আছে) আকাশেই অবস্থান করছে। সেই যুগে আকাশ ও পৃথিবী নিয়ে সবচেয়ে সাধারণ ধারণা ছিল, পৃথিবী বৃত্তাকার ভূমি যার চারদিক মহাসাগর ঘিরে রেখেছে এবং আকাশ একটি অবতলাকৃতি ছাদের মতন যা পৃথিবীকে ঢেকে রেখেছে। ঈশ্বর, দেব-দেবী সব এর ওপর অবস্থান করেন। বৃষ্টি, সূর্য, চাঁদ সেখানে বসেই সব নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
আকাশ ও পৃথিবী নিয়ে সেই যুগের ইতিহাসটা একটু দেখি:
ব্যাবিলনের ম্যাপ: প্রায় ৬০০ খ্রিস্টপূর্ব সালের ম্যাপ। বৃত্তাকার ভূমি এবং তার চারদিক ঘিরে রেখেছে সমুদ্র
তখন অনেক মানুষের মনে এন্টিপড ধারণাটাও ছিল। অর্থাৎ এই ধারণাটাও ছিল যে, পৃথিবী সমতল হলেও ঠিক বিপরীত তলেও মানুষ হয়ত বাস করে । কিন্তু খ্রিষ্টান ধর্মগুরুদের দাপটে তা খুব একটা বিকাশ পায় নি। তাদের কাছে পৃথিবী ছিল সমতল আর আকাশ ছিল অবতল কোনো কাঠামো যার নিচে পৃথিবী ঝুলে আছে। মানুষ দূরে তাকালে দেখতে পেত আকাশ কোথাও মাটির সাথে মিলিত হয়েছে। এ থেকেই আকাশের আকৃতি অবতল বলে ধারণা করা হয়।
নবী মুহম্মদ-এর জন্মের প্রায় ১৫০ বছর আগে সেইন্ট অগাস্টিন এর বক্তব্য:
Saint Augustine (354–430) took a more cautious approach in arguing against assuming that people inhabited the antipodes:
But as to the fable that there are Antipodes, that is to say, men on the opposite side of the earth, where the sun rises when it sets to us, men who walk with their feet opposite ours that is on no ground credible. And, indeed, it is not affirmed that this has been learned by historical knowledge, but by scientific conjecture, on the ground that the earth is suspended within the concavity of the sky, and that it has as much room on the one side of it as on the other: hence they say that the part that is beneath must also be inhabited. But they do not remark that, although it be supposed or scientifically demonstrated that the world is of a round and spherical form, yet it does not follow that the other side of the earth is bare of water; nor even, though it be bare, does it immediately follow that it is peopled.
প্রাক মধ্যযুগে ইহুদীদের চোখে পৃথিবী:
সমতল পৃথিবী, গম্বুজ আকৃতির আকাশ
কোরান নাজিল শুরু হয় ৬১০ সালে। এরপরে প্রায় ২৩ বছর ধরে আস্তে আস্তে পুরো কোরান নাজিল হয়।
কোরান যদি সত্যিই সবজান্তা সৃষ্টিকর্তা থেকে আসত, তাহলে নিশ্চয়ই এতে পৃথিবী ও আকাশ সম্পর্কে সহজ সঠিক ব্যাখ্যাটাই থাকত। কিন্তু কোরানের আকাশ-বর্ণনা কি পেরেছে সেটা প্রমাণ করতে? আসুন, সেটা কোরানের কিছু আয়াতে আকাশ-বিশ্লেষন করেই দেখি।
“ভয়” ধর্মপ্রচারের অত্যাবশ্যকীয় একটা অংশ। মুহম্মদ-ও তার ব্যতিক্রম ছিলেন না। বিধর্মীদের বিশ্বাস করানোর জন্য যত ভয় দেখিয়েছিলেন তার মধ্যে আল্লাহর আকাশ ভাংচুর করার হুমকিও ছিল। একবার না। জীবদ্দশায় অনেকবার এই ভয় দেখানো হয়েছিল। তখন মানুষের ধারণা ছিল আকাশ শক্ত ছাদের কাঠামো। মুহম্মদ-এর জ্ঞানও এর বেশি ছিল না। কাজেই তার কল্পিত আল্লাহ এর বেশি কিছু জানাবে, তা আশা করাও উচিত না।
কিছু আয়াত পড়ি:
সূরা ৩৪ আস সাবা
৯) তারা কি কখনো আকাশ ও পৃথিবী দেখেনি যা তাদেরকে সামনে এবং পেছনে থেকে ঘিরে রেখেছে? আমি চাইলে তাদেরকে যমীনে ধসিয়ে দিতে অথবা আকাশের কিছু অংশ তাদের ওপর নিক্ষেপ করতে পারি। আসলে তার মধ্যে রয়েছে একটি নির্দশন এমন প্রত্যেক বান্দার জন্য যে আল্লাহ অভিমুখী হয় ৷
যেহেতু আকাশ শক্ত কাঠামো, কাজেই ঘিরে রাখা অবশ্যই সম্ভব। আর সেই কাঠামো থেকে এক টুকরো ফেলে অবিশ্বাসীদের চান্দি ফাটানোও কোনো ব্যাপার না।
সূরা ৫২ আত তূর
৪৪) এরা যদি আসমানের একটি অংশ পতিত হতে দেখে তাহলেও বলবে, এ তো ধাবমান মেঘরাশি৷
সূরা ৫৫ আর রহমান
৩৭) অতপর (কি হবে সেই সময়) যখন আসমান ফেটে চৌচির হয়ে যাবে এবং লাল চামড়ার মত লোহিত বর্ণ ধারণ করবে?
সূরা ৬৯ আল হাককাহ
১৬) সেদিন আসমান চৌচির হয়ে যাবে এবং তার বন্ধন শিথিল হয়ে পড়বে৷
সূরা ৭৩ আল মুযযাম্মিল
১৮) যেদিনের কঠোরতায় আকাশ মণ্ডল বিদীর্ণ হয়ে যেতে থাকবে? আল্লাহর প্রতিশ্রুতি তো পূর্ন হবেই৷
সূরা ৮২ আল ইনফিতার
১) যখন আকাশ ফেটে যাবে ,
২) যখন তারকারা চারদিকে বিক্ষিপ্ত হয়ে যাবে ,
এখনকার মুমিন বান্দারা বিজ্ঞানের বদৌলতে জেনে গেছে আকাশের আসল রহস্য। কাজেই এগুলোকে এখন রূপক অর্থ, বিজ্ঞানের বোঝা সম্ভব না এসব বলে তারা পিছলে যায়। কিন্তু কোরানে তখনকার দিনে কাফিররাও আকাশকে একইভাবে বর্ণনা করেছে। আল্লাহ না হয় রূপক অর্থে বলে। কাফিররাও কি রূপক ভাষায় কথা বলত? কোরানে কাফিররা আকাশকে কীভাবে বর্ণনা করেছে সেই আয়াতগুলি পড়ি।
সূরা ১৭ – বনী ইসরাঈল
৯২) অথবা তুমি আকাশ ভেংগে টুকরো টুকরো করে তোমার হুমকি অনুযায়ী আমাদের (কাফিরদের) ওপর ফেলে দেবে৷ অথবা আল্লাহ ও ফেরেশতাদেরকে আমাদের সামনে নিয়ে আসবে৷
সূরা ২৬ আশ শুয়ারা
১৮৫) তারা (কাফিররা) বললো, “তুমি নিছক একজন যাদুগ্রস্থ ব্যক্তি
১৮৬) এবং তুমি আমাদের মতো মানুষ ছাড়া আর কিছুই নও৷ আর আমরা তো তোমাকে একেবারেই মিথ্যুক মনে করি৷
১৮৭) যদি তুমি সত্যবাদী হও তাহলে আকাশের একটি টুকরো ভেঙ্গে আমাদের ওপর ফেলে দাও৷”
কাফিরদের মুখেও সেই আকাশ ভাংচুর নিয়া কথাবার্তা। আসলে তখনকার দিনে মানুষের আকাশ নিয়ে যতটুকু জ্ঞান ছিল, কোরানে তা-ই উঠে এসেছে বারবার। কোরান প্রায় ২৩ বছর ধরে নাজিল হয়েছে এবং একাধিকবার আকাশ ভাংচুরের হুমকি দিয়ে বিধর্মীদের দলে টানা হয়েছে এবং মুমিনদের ঈমান পাকাপোক্ত করা হয়েছে।
শক্ত কাঠামো এমনি এমনি তো আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। কিভাবে দাঁড়িয়ে আছে সেই ব্যাখ্যাও আছে কোরানে।
সূরা ১৩ – আর রাদ
২) আল্লাহই আকাশসমূহ স্থাপন করেছেন এমন কোন স্তম্ভ ছাড়াই যা তোমরা দেখতে পাও৷ তারপর তিনি নিজের শাসন কর্তৃত্বের আসনে সমাসীন হয়েছে৷ আর তিনি সূর্য ও চন্দ্রকে একটি আইনের অধীন করেছেন৷ এ সমগ্র ব্যবস্থার প্রত্যেকটি জিনিস একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চলে৷ আল্লাহই এ সমস্ত কাজের ব্যবস্থাপনা করছেন৷ তিনি নিদর্শনাবলী খুলে খুলে বর্ণনা করেন, সম্ভবত তোমরা নিজের রবের সাথে সাক্ষাতের ব্যাপারটি নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করবে৷
সূরা ২২ আল হাজ্জ
৬৫) তুমি কি দেখো না, তিনি পৃথিবীর সবকিছুকে তোমাদের জন্য অনুগত করে রেখেছেন এবং তিনিই নৌযানকে নিয়মের অধীন করেছেন যার ফলে তাঁর হুকুমে তা সমুদ্রে বিচরণ করে আর তিনিই আকাশকে এমনভাবে ধরে রেখেছেন যার ফলে তাঁর হুকুম ছাড়া তা পৃথিবীর ওপর পতিত হতে পারে না৷ আসলে আল্লাহ লোকদের জন্য বড়ই স্নেহশীল ও মেহেরবান৷
(উল্লেখ্য, চতুর মুমিন বান্দারা এখানে নিউটনে মহাকর্ষ অভিকর্ষের গন্ধ খুজে পায়। কিন্তু আয়াত লক্ষ্য করুন। স্তুম্ভ ছাড়া মানে কোন কিছুর সাহায্য ছাড়াই আকাশ ধরে রাখছে এটাই বুঝাইছে। অভিকর্ষের নাম গন্ধও নেই এখানে। যদি বলত অদৃশ্য স্তম্ভ দিয়ে ধরে রাখা তাইলেও একটা ইংগিত বলে বিবেচনা করা যেত। তাছাড়া এসব বল সংঘঠিত হয় দু’টি বস্তুর মধ্যে। মুক্ত আকাশের কথা আসে কোত্থেকে?)
সূরা ৮৮ আল গাশিয়া
১৮) আকাশ দেখছে না , কিভাবে তাকে উঠানো হয়েছে ?
অর্থাৎ আকাশ পৃথিবীর ঘাড়ে চেপে ছিল, পরে তাকে উঠাইয়া রাখছে!!!
শক্ত একটা ছাদ যা আল্লাহ ধরে রাখছে। এবার জানি এর আকৃতি কিরূপ।
সূরা ৪০ আল মুমিন
৬৪) আল্লাহই তো সেই সত্তা যিনি পৃথিবীকে অবস্থানস্থল বানিয়েছেন এবং ওপরে আসমানকে গম্বুজ বানিয়ে দিয়েছেন৷ যিনি তোমাদের আকৃতি নির্মাণ করেছেন এবং অতি উত্তম আকৃতি নির্মাণ করেছেন৷ যিনি তোমাদেরকে পবিত্র জিনিসের রিযিক দিয়েছেন৷ সে আল্লাহই (এগুলো যার কাজ) তোমাদের রব৷ অপরিসীম কল্যাণের অধিকারী তিনি৷ বিশ্ব-জাহানের রব তিনি৷
যারা দুশ্চিন্তায় ছিলেন কীভাবে এত্ত বড় একটা গম্বুজ কোন স্তম্ভ ছাড়া দাঁড়িয়ে আছে, তারা তো উত্তর পেয়েই গেলেন।
কে ধরে রাখছে? উত্তর: আল্লাহ।
লক্ষ্য করুন, কোরান নাজিলের ১৫০ বছর আগে দেয়া সেইন্ট অগাস্টিনের বক্তব্যের সাথে উপরের আয়াতের কোনো মিল পান? অথবা ইহুদীদের কল্পিত পৃথিবীর সাথে? যদি কোরানে প্যাঁচাইয়া-পুঁচাইয়া রূপক অর্থে সঠিক বলেও থাকে, তাহলে অগাস্টিনও রূপক অর্থে কোরানের ১৫০ বছর আগেই আকাশের আকৃতি নিয়ে সেই সঠিক বক্তব্য দিয়ে গেছিল!
সাজসজ্জা
সূরা ৪১ হা-মীম আস সাজদাহ
১১) তার পর তিনি আসমানের দিকে মনোনিবেশ করেছেন যা সেই সময় কেবল ধূয়া ছিল৷ তিনি আসমান ও যমীনকে বললেন : ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক তোমরা অস্তিত্ব ধারন করো৷ উভয়ে বললো : আমরা অনুগতদের মতই অস্তিত্ব গ্রহণ করলাম৷
আরে বাহ! আকাশ দেখি কথাও বলে! সে নিজের ইচ্ছায় শক্ত কাঠামোর অস্তিত্ব নিল। এখন এটা খালি রাখলে তো আর সুন্দর লাগে না। তাই সাজসজ্জার দরকার আছে। সে কালের বিশ্বাস অনুযায়ী ইহুদী ধর্মের লোকদের আঁকা ম্যাপে দেখতে পারেন কীভাবে চাঁদ তারা সূর্য দিয়ে সাজানো হয়েছে। প্রাচীন বেশিরভাগ ধর্মগুলোতে তারাগুলোকে মনে করা হত স্বর্গের ফ্লোরের সাজসজ্জা।
সূরা ৪১ হা-মীম আস সাজদাহ
১২) তারপর তিনি দু’দিনের মধ্যে সাত আসমান বানালেন এবং প্রত্যেক আসমানে তিনি তাঁর বিধান অহী করলেন৷ আর পৃথিবীর আসমানকে আমি উজ্জ্বল প্রদীপ দিয়ে সজ্জিত করলাম এবং ভালভাবে সুরক্ষিত করে দিলাম৷ এসবই এক মহা পরাক্রমশালী জ্ঞানী সত্তার পরিকল্পনা৷
সূরা ৩৭ আস সফফাত
৬) আমি দুনিয়ার আকাশকে তারকারাজির সৌন্দর্য দ্বারা সুসজ্জিত করেছি ।
আকাশ ফেটে গেলে বেচারা তারাগুলোর কি হবে তাও বলে দেয়া আছে।
সূরা ৮২ আল ইনফিতার
১) যখন আকাশ ফেটে যাবে ,
২) যখন তারকারা চারদিকে বিক্ষিপ্ত হয়ে যাবে ,
আকাশে কোনো ফাটল নাই কিন্তু, এক্কেবারে নিখুত
সূরা ৫০ ক্বাফ
৬) আচ্ছা, এরা কি কখনো এদের মাথার ওপরের আসমানের দিকে তাকায়নি ? আমি কিভাবে তা তৈরী করেছি এবং সজ্জিত করেছি৷ তাতে কোথাও কোন ফাটল নেই৷
আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখেন। আসলেই কোন ফাটল নেই কিন্তু।
রঙ্গিলা আকাশ
সূরা ৫৫ আর রহমান
৩৭) অতপর (কি হবে সেই সময়) যখন আসমান ফেটে চৌচির হয়ে যাবে এবং লাল চামড়ার মত লোহিত বর্ণ ধারণ করবে?
সূরা ৭০ আল মাআরিজ
৮) (যেদিন সেই আযাব আসবে) সেদিন আসমান গলিত রূপার মত বর্ণ ধারণ করবো৷
বিশ্বাসীদের এসব কিছু রূপক অর্থে ধরে নিয়ে গোঁজামিল দিয়েই বিশ্বাস করতে হয়। কারণ এসবে সামান্য অবিশ্বাস আসা, সামান্য প্রশ্ন জেগে ওঠা মানেই ঈমান হারানো তথা বেহেসত হারানো।
মজার ব্যাপার হল, এই রূপক অর্থ ১৪০০ বছর ধরে বিজ্ঞানের সাথে মিলানোর জন্য পরিবর্তিত হয়ে আসছে। কেউ যদি ৫০০ বছর আগের তাফসীর ঘাঁটতে যান, তাহলে দেখতে পাবেন তখন এগুলোকে একভাবে ব্যাখ্যা দেয়া হত। যেমন আল-জালালালানের তাফসীরে পৃথিবী সমতল বলা হয়েছিল। পরে আসল কাহিনী জেনে যাওয়ার পরে এখন নতুন তাফসীরে বিস্তৃত/সম্প্রসারিত ইত্যাদি লাগানো হয়েছে। অর্থাৎ এক যুগের মানুষ একটি আয়াত এক অর্থে বুঝে তো আরেক যুগের মানুষ বুঝে আরেক অর্থে। মহান আল্লাহর কী কুদরত!
এক দল আছে, কোরানের আয়াত উলটে-পালটে অর্থের বিকৃতি করে মিরাকল খুজে বেড়ায়। কিন্তু তারা কি কখনো ঘেঁটে দেখে কোরানে যে, বিষয়টা তারা মিরাকল ভাবছে, সেটা অন্য কোনো জাতি আগেই বলেছে কি না। আর্কিওএস্ট্রোনমি ঘাঁটলেই বুঝতে পারবেন, মুহম্মদ-এর যুগে আকাশকে কী ভাবা হত, আর কোরানে কী কী এসেছে। কোরানের এসব হেঁয়ালী কথাবার্তা যদি মিরাকল হয়, তাহলে আরিস্টার্কাসের (৩১০ -২১০ খ্রিপূ) সূর্যকেন্দ্রিক মডেল, মিশরের পিরামিড, মমি বা মায়ান সভ্যতার মহাকাশজ্ঞান এর চেয়ে অনেক বড় মিরাকল।
* কোরানের আয়াতগুলির অনুবাদ এই সাইট থেকে কপি পেস্ট করা।
Leave a Reply