১) আল্যায় কি সর্বত্র বিরাজমান, নাকি নিদ্দিষ্ট একটা জায়গায়, নির্দিষ্ট একটু জায়গা দখল করে আছে? তার কি একটা নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন আছে? তার অবস্থান কোথায়?
২) আরশের অবস্থান কোথায়? কাবার উপরে হলে আরশে বসে কাবার অন্য প্রান্তের জিনিস আল্যায় কিভাবে প্রত্যক্ষ করে?
৩) শয়তান কি সর্বত্র বিরাজমান, নাকি নিদ্দিষ্ট একটা জায়গায়, নির্দিষ্ট একটু জায়গা দখল করে আছে? তার কি একটা নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন আছে? তার অবস্থান কোথায়?
৪) শয়তান সর্বত্র বিরাজমান হলে আল্যার অবস্থান তখন কোথায় হয়? শয়তান যদি কিছু জায়গা দখল করে থাকে তাহলে আল্যায় কিভাবে সর্বত্র বিরাজমান হবে?
===============
এবার শয়তান বিষয়ক কিছু হাদিস শোনা যাক। হাসবেন না কিন্তু!
নবী বললেন, শয়তান আমার সামনে এসে আমার সালাত (নামায) বিনষ্ট করার জন্য আমার উপর আক্রমন করল। তখন আল্লাহ পাক আমাকে উপর ক্ষমতা দান করলেন, আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে গলা চেপে ধরলাম। আমার ইচ্ছা হয়েছিল, তাকে কোন স্তম্ভের সাথে বেঁধে রাখি। যাতে তোমরা সকাল বেলা উঠে তাকে দেখতে পাও। (সহীহ বুখারি ১১৩৭)
মানুষের শরীরের রক্তধারায় শয়তান প্রবাহমান থাকে। (সহীহ বুখারি ২৮৮২, ৩০৫১, ৫৭৮৬, ৬৬৮৩) [শালার শয়তান দেখি সবখানেই আছে!]
যখন নামায-এর উদ্দেশ্যে আযান দেওয়া তখন শয়তান আযানের স্থান থেকে স্বশব্দে পাদ দিতে দিতে পালাতে থাকে। (সহীহ বুখারি ১১৪৯, ১১৫৯, ৩০৫৫) [আযানের সময় মাইকে যে আওয়াজ হয়, সেইটা তাহলে শয়তানের পাদের শব্দ?]
প্রত্যেক আদম সন্তানের জন্মের সময় তার পার্শ্বদেশে শয়তান তার উভয় আঙ্গুল দ্বারা টোকা মারে। (সহীহ বুখারি ৩০৫৬) [এই জন্যেই কি ব্যথা পেয়ে নবজাতকরা কেঁদে ওঠে? অসাম বিজ্ঞান!]
ফিরিশতাগণ মেঘের মধ্যে এমন সব বিষয় আলোচনা করেন, যা পৃথিবীতে ঘটবে। তখন শয়তানেরা দু’একটি কথা শুনে ফেলে…(সহীহ বুখারি ৩০৫৮) [ফিরিস্তারা যখন আপনার দুই কাঁধে বসে দায়িত্ব পালন না করে মেঘের মধ্যে গিয়ে ঘুচুরঘুচুর করে, সেই ফাঁকে যাবতীয় আকাম-কুকাম করে ফেলেন, কেউ হিসাব রাখবে না।]
হাই তোলা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। হাই তোলার সময় শয়তান হাসতে থাকে। (সহীহ বুখারি ৩০৫৯, ৫৭৯০, ৫৭৯৩) [অতি উত্তম বিজ্ঞানসম্মত কথা।]
নামাজের সময় যে ঘুমায়, শয়তান তার কানে পেশাব করে দেয়। (সহীহ বুখারি ১০৭৮) [হিহিহি… সরি, না হেসে পারলাম না।]
ফিতনা সে দিকে যে দিক থেকে শয়তানের শিং উদিত হয়। (সহীহ বুখারি ৬৬১২)
সাঝের বেলায় জ্বিন/শয়তানেরা ছড়িয়ে পড়ে। (সহীহ বুখারি ৩০৫০, ৩০৮২, ৫২২১)
শয়তান বন্ধ দরজা খুলতে পারে না। (সহীহ বুখারি ৩০৭২) [হেরাগুহার দরজাটা কিসের তৈরি ছিল যেন?]
ফিরিশতাদের দেখেলে মোরগ ডাকে, আর শয়তান দেখলে গাধায় ডাকে। (সহীহ বুখারি ৩০৭১) [কুক্কুর কুক…]
শয়তান নাকের ছিদ্রে রাত যাপন করে। (সহীহ বুখারি ৩০৬৫) [শয়তান কি একজন, নাকি বহু? পৃথিবীতে নাকের ছিদ্র সংখ্যা কত?]
যে সাপের মাথার উপর দু’টো রেখা আছে এবং লেজ কাটা, সে দু’প্রকারে সাপ চোখের জ্যোতি নষ্ট করে দেয় ও গর্ভপাত ঘটায়। এদেরকে মারতে হবে। যে সাপ ঘরে বাস করে যাকে ‘আওয়ামির’ বলা হয় এমন সাপ মারা নিষেধ আছে। (সহীহ বুখারি ৩০৬৭) [আওয়ামি লিগরে কিন্তু বিশ্বাস নাই!]
উমরকে দেখলে মহিলারা অন্য পথে চলে যেত। এর মানে উমর যে পথে গমন কর শয়তান কখনো সেই পথে চলে না বরং সে উমররের পথ ছেড়ে অন্য পথে চলে। (সহীহ বুখারি ৩০৬৪) [অর্থাৎ মহিলা মানেই শয়তান। শয়তান আসে মহিলাদের বেশ ধরে। কষ্ট করে হজ্বে গিয়ে শয়তানরে পাথর না মেরে মা-বোনদের পাথর মারা উত্তম।]
আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই; বাদশাহী একমাত্র তারই, সমস্ত প্রশংসাও একমাত্র তাঁরই জন্য, আর তিনি সকল বস্তুর উপর সর্বশক্তিমান–এই দোয়া পড়লে ঐদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সে শয়তান থেকে মাহফুজ থাকবে। (সহীহ বুখারি ৩০৬৩) [তারপর রাতের বেলা শয়তান আপনার নাকের ছিদ্রে রাত্রিযাপন করবে।]
মন্দ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। মন্দ স্বপ্ন দেখে বাম দিকে থুথু নিক্ষেপ করলে শয়তান কোন ক্ষতি করতে পারবে না। (সহীহ বুখারি ৩০৬২) [ইয়াক থু!]
নামায-এর মধ্যে এদিক-ওদিক তাকালে শয়তান তার নামাজ ছিনতাই করে নেয়। (সহীহ বুখারি ৩০৬১) [কত্ত বড় শয়তান! নামাজও ছিনতাই হয়ে যায়!]
নবীর সঙ্গী নবীর জন্য খাবার আনতে গেছিল। শয়তান তখন মাছ আনার কথা ভুলিয়ে দিছিল। (সহীহ বুখারি ৩০৪৮) [বাজার করতে প্রায়ই মাছ কেনার কথা ভুলে যাই। নিশ্চয়ই ইহা শয়তানের কাজ।]
[সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরণঃ প্লিজ হাসবেন না। হাসলে আস্তিকদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগবে। তখন চাপাতি দিয়ে আপনার কল্লা ফেলে দিতে পারে।]
বোনাসঃ “আউযূবিল্লাহি মিনাশ শায়তান”-আমি শয়তান হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। এই দোয়া পড়লে রাগ চলে যাবে। (সহীহ বুখারি ৩০৫২) [পোস্ট পড়তে পড়তে যাদের রাগ উঠেছিল, আশা করি এই দোয়াটা পড়ার পরে আর আপনাদের রাগ নাই। যদি রাগ করে কমেণ্ট সেকশনে গালাগালি শুরু করেন, তাহলে বুঝব নবির এই কথা, এই দোয়া–সব ভূয়া।]
Leave a Reply