বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। সংগ্রামী জিহাদি ভাইয়েরা আমার, “ইসলাম বিতর্ক” বইটির সৌজন্যে বানু ক্বারাইযা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আপনারা আবার নতুন করে জেনেছেন। নবী ক্বারাইযা গোত্রের সকল প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষকে (৬০০ থেকে ৯০০) কোতল করে তাদের সমস্ত বিষয় সম্পত্তির সাথে নারী ও শিশুদেরও গণিমতের মাল হিসেবে জিহাদিদের মধ্যে বিলিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আপনারা এ-ও জানেন এই বাংলাদেশে আমরা যারা মুসলমান আছি, তাদের সবার বাপ-দাদারা আরব থেকে এই বাংলাদেশে জিহাদ করতে আসছিলেন। সেভাবে আমরা হলাম নবীর বংশধর। তো তারা বাংলাদেশে এসে সেই বানু ক্বারাইযা গোত্রের কাহিনীর পুনরাবৃত্তি করেছিলেন—সকল প্রাপ্তবয়স্ক বাঙালী পুরুষকে হত্যা নারীদের গণিমতের মাল হিসাবে ভোগ করেছিলেন। যার ফলে আমাদের অর্থাত বাংলাদেশী মুসলমানদের জন্ম হলো।
তো আমাদের সেই আরব আব্বুদের ভাষা ছিল আরবি, আর এই দেশীয় নারীদের, যারা পরে আমাদের মা হয়েছে, তাদের ভাষা ছিল বাংলা, অর্থাত আমাদের মাতৃভাষা হলো বাংলা।
এখন প্রশ্ন হলো—মাতৃভাষা বড়, নাকি পিতৃভাষা?
আপনারা জানেন, আমরা অনেক হিন্দুয়ানী বাংলা শব্দের আগা কেটে মুসলমানি করিয়েছি। যেমন হিন্দু জলের আগা কেটে মুসলমান পানি হয়েছে। আপনারা আরো জানেন, আমাদের জাতীয় কবি নজরুল ছিলেন মাথাপাগল—তিনি পাগলামি করে প্রায়ই কবিতা-গানে হিন্দুয়ানী শব্দ ব্যবহার করতেন। তবে মহান আল্লাহতালায়ার অসীম দোয়ায় আমাদের বর্তমান হুজুরেরা তার অনেক কবিতা-গানের মুসলমানি করিয়েছে। সুভাহানাল্লাহ।
আপনারা আরো জানেন, আমাদের জাতীয় পাগলা কবি তাঁর বিখ্যাত ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় লিখেছেন, “আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান-বুকে এঁকে দেই পদ-চিহ্ন”। তওবা, তওবা! আমরা ভগবানে বিশ্বাস করি না, আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহতে। আসুন, এই লাইনটিকেও এই আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসে মুসলমানি করিয়ে দেই—“আমি বিদ্রোহী নবী, আল্লাহর-বুকে এঁকে দেই পদ-চিহ্ন”।
সবশেষে, আপনি যদি সাচ্চা মুসলমানের বাচ্চা হয়ে থাকেন, তাহলে হিন্দুয়ানী বাংলা ভাষা পরিত্যাগ করে সর্বস্তরে আমাদের পিতৃভাষা আরবী চালুর দাবীতে আজ সারাদেশ জুড়ে যে মুসলমানবন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে, সেখানে উপস্থিত থাকবেন ইনশাল্লাহ।
ibisarga
😃
ibisarga
“আমি বিদ্রোহী নবী, আল্লাহর-বুকে এঁকে দেই পদ-চিহ্ন”