লিখেছেন নিলয় নীল
সনাতনী কামিনী – ০১, সনাতনী কামিনী – ০২
মহাভারতের উল্লেখযোগ্য একটা চরিত্র হলো ভীষ্ম। তাঁর মুখনিঃসৃত বাণী: উহাদের (স্ত্রীলোকদের) মত কামোন্মত্ত আর কেহই নাই। … কাষ্ঠরশি যেমন অগ্নির, অসংখ্য নদীর দ্বারা যেমন সমুদ্রের ও সর্বভূত সংহার দ্বারা অন্তকের তৃপ্তি হয় না, তদ্রুপ অসংখ্য পুরুষ সংসর্গ করিলেও স্ত্রীলোকের তৃপ্তি হয় না। (১৩/৩৮)
(আহা! পুরুষেরা তো চির-একগামী!)
এবার দেখুন ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠিরের কথা, যিনি নাকি জীবনেও মিথ্যে কথা বলেননি: উহারা (নারীরা) ক্রিয়া-কৌতুক দ্বারা পুরুষদিগকে বিমোহিত করে। উহাদিগের হস্তগত হইলে প্রায় কোনো পুরুষই পরিত্রাণ লাভ করিতে পারে না। গাভী যেমন নূতন নূতন তৃণভক্ষণ করিতে অভিলাষ করে, তদ্রুপ উহারা নূতন নূতন পুরুষের সহিত সংসর্গ করিতে বাসনা করিয়া থাকে। (১৩/৩৯)
নারী কতো ভয়াবহ প্রাণী, এবারে দেখুন: তুলাদণ্ডের একদিকে যম, বায়ু, মৃত্যু, পাতাল, দাবানল, ক্ষুরধার বিষ, সর্প ও বহ্নিকে রেখে অপরদিকে নারীকে স্থাপন করিলে ভয়ানকত্বে উভয়ে সমান-সমান হবে। (অনুশাসনপর্ব ৩৮)
ব্রাহ্মণদের দক্ষিণাতেও নারী দান করার বিধান রয়েছে। শ্রাদ্ধের দক্ষিণার তালিকাতে পুরোহিত ব্রাহ্মণদের নারী দান করার রীতি আছে। দেখুন : আশ্রমবাসিকপর্ব ১৪/৪, ৩৯/২০, মহাপ্রস্থানপর্ব ১/৪, স্বর্গরোহণপর্ব ৬/১২,১৩।
Leave a Reply