লিখেছেন নিলয় নীল
শুধু বিধাতার সৃষ্টি নহ তুমি নারী–
তোমারে দুর্লভ করি করেছে গোপন।
পড়েছে তোমার ‘পরে প্রদীপ্ত বাসনা–
অর্ধেক মানবী তুমি অর্ধেক কল্পনা।
বর্ণসংকর হলে কী হয়? – “সঙ্করো নরকায়ৈব কুলঘানাং কুলস্য চ/পতন্তি পিতরো হ্যেষাং লুপ্তপিণ্ডোদকক্রিয়াঃ॥” (গীতা, ১:৪১). বাংলা অর্থ: বর্ণসঙ্কর, কুলনাশকারীদের এবং কুলের নরকের কারণ হয়। শ্রাদ্ধ-তর্পণাদি ক্রিয়ার লোপ হওয়াতে ইহাদের পিতৃপুরুষ নরকে পতিত হয়।
হিন্দুধর্মের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রথা হলো সতীদাহ প্রথা। এই বাংলাতে ১৮১৫ থেকে ১৮২৮ সাল পর্যন্ত মাত্র তেরো বছরে পুণ্যলাভের আশাতে ৮১৩৫ জন নারীকে আগুনে পুড়িয়ে সতী বানানো হয়েছিল। ওই সময়ে জিন্দু নারীদের বিয়ে হতো ১০-১২ বছরের মধ্যে। এবং এই প্রথার বলিদের অধিকাংশের বয়স ২০-রও কম। একবার কল্পনা করে দেখুন তো: একটা বালিকাকে টেনে-হিচড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আগুনের দিকে। নিশ্চিত মৃত্যু আঁচ করে বালিকা সবার হাতে-পায়ে ধরছে বাঁচার জন্য। সেই বালিকার বাবা-মাও আছে সেখানে। তারা তাদের মেয়ের নিশ্চিত ৩৫,০০০,০০০ বছরের স্বর্গপ্রাপ্তির কথা ভেবে বাধা দিতেও পারছে না। বালিকাটিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আগুনের দিকে, আর বাবা-মা বলছে, “বল হরি হরিবোল, বল হরি হরিবোল…”
ঋগ বেদের দশম মণ্ডলের ১৮ নম্বর সূক্তের ৭ নম্বরে পরিষ্কারভাবে বলা আছে:
Leave a Reply