(ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, তিরমিযী শরীফ, পঞ্চম খণ্ড, পৃঃ ২৬০, হাদীস ২৮৯৯) আব্বাস ইবন মুহাম্মদ দূরী (র)…আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ সূরাটি কূরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান।
(বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার ঢাকা, সহীহ মুসলিম, তৃতীয় খণ্ড, পৃঃ ১৫৭, হাদীস ১৭৬৩) আবুদ দারদা (রা) থেকে বর্ণিত। (একদিন) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা কেউ কি এক রাতে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ পাঠ করতে অক্ষম? সবাই জিজ্ঞেস করলেন, এক রাতে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ কিভাবে পড়বো? তিনি বললেনঃ ‘কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ সূরাটি কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।
(বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার ঢাকা, সহীহ মুসলিম, তৃতীয় খণ্ড, পৃঃ ১৫৮, হাদীস ১৭৬৫) আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। (একদিন) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সবাইকে লক্ষ্য করে) বললেনঃ তোমরা এক জায়গায় জমায়েত হও। কারণ আমি কিছুক্ষণের মধ্যেই তোমাদেরকে কুরআন মজীদের এক তৃতীয়াংশ পড়ে শোনাব। সুতরাং যাদের জমায়েত হওয়ার তারা জমায়েত হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম তাদের কাছে আসলেন এবং ‘কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ সূরাটি পড়লেন। তারপর তিনি গৃহাভ্যন্তরে প্রবেশ করলেন। তখন আমরা একে অপরকে বলতে থাকলাম, আমার মনে হয় আসমান থেকে কোন খবর এসেছে আর সে জন্যই তিনি ভিতরে প্রবেশ করেছেন। পরে তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বেরিয়ে এসে বললেনঃ আমি তোমাদের বলেছিলাম যে কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি তোমাদেরকে কুরআন মজীদের এক তৃতীয়াংশ পাঠ করে শোনাব। জেনে রেখো এটি (কুল হুয়াল্লাহু আহাদ সূরা) কুরআন মজীদের এক তৃতীয়াংশের সমান।
(ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, তিরমিযী শরীফ, পঞ্চম খণ্ড, পৃঃ ২৫৭, হাদীস ২৮৯৩) মুহাম্মদ ইব্ন মূসা জুরাশী বাসরী (র)…আনাস ইব্ন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেছেনঃ ইযা যুল যিলাত সূরা যে ব্যক্তি পাঠ করবে অর্ধেক কুরআনের সমান তার সওয়াব হবে। কুল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরূন যে পাঠ করবে তার জন্য কুরআনের এক-চতুর্থাংশ পাঠের সমান সোয়াব হবে। যে ব্যক্তি কুল হওয়াল্লাহু আহাদ পাঠ করবে তার কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ পাঠের সমান সওয়াব হবে।
(ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, তিরমিযী শরীফ, পঞ্চম খণ্ড, পৃঃ ২৫৭-২৫৮হাদীস ২৮৯৫) উকবা ইব্ন মুকাররাম আম্মী বাসরী (র)…আনাস ইব্ন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁর এক সাহাবীকে বললেনঃ হে অমুক, তুমি কি বিয়ে করেছ? লোকটি বললঃ না, ইয়া রাসূলুল্লাহ। আল্লাহ্র কসম, আমার কাছে বিয়ে করার মত কিছু নেই।
তিনি বললেন তোমার সাথে কি কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ নেই?
লোকটি বলল হ্যাঁ।
তিনি বললেন কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ। তোমার সঙ্গে কি ইযা জা-আ নাসরুল্লাহি ওয়াল ফাতহ্ সূরাটি নেই?
লোকটি বলল, হ্যাঁ
তিনি বললেনঃ কুরআনের এক-চতুর্থাংশ। তোমার সঙ্গে কি কুল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরূন সুরাটি নেই?
লোকটি বললঃ হ্যাঁ।
তিনি বললেনঃ কুরআনের এক-চতুর্থাংশ। তোমার সঙ্গে কি ইযা যুল যিলাতিল আরদু সূরাটি নেই?
লোকটি বললঃ হ্যাঁ।
তিনি বললেন, কুরআনের এক-চতুর্থাংশ। বিয়ে করে নাও বিয়ে করে নাও।
হাদীছটি হাসান।
(ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, তিরমিযী শরীফ, পঞ্চম খণ্ড, পৃঃ ২৫৩-২৫৪, হাদীস ২৮৮৭) কুতায়বা ও সুফইয়ান ইব্ন ওয়াকী’ (র.)…আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ প্রতিটি বস্তুরই অন্তর আছে। কুরআনের অন্তর হল সূরা ইয়াসীন [সূরা ৩৬]) যে ব্যক্তি সূরা ইয়াসীন পাঠ করবে আল্লাহ্ তা’আলা তার এ পাঠের বিনিময়ে দশ কূরআন পাঠ সমতূল্য ছওয়াব নির্ধারণ করবেন।
এ হাদীছটি হাসান-গারীব। হুমায়দ ইব্ন আবদুর রহমান (র।)-এর সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। আর এ সূত্র ছাড়া বাসরায় কাতাদা (র.)…এর রিওয়ায়ত সম্পর্কে কিছু জানা নেই।
আবূ মূসা মুহাম্মদ ইব্ন মুছান্না (র.)…হুমায়দ ইব্ন আবদুর রহমান থেকে উক্ত সনদে তা বর্ণিত আছে।
এ বিষয়ে আবূ বকর সিদ্দীক ও আবূ হুরায়রা (রা.) থেকেও হাদীছ বর্ণিত আছে। আবূ বকর (রা.) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়তটি সনদের দিক থেকে সাহীহ নয়। এর সনদ যঈফ।
Leave a Reply