পড়ালেখা কইরা লোকে শিক্ষিত হয়… লিখতে পড়তে জানে, টাকা-পয়সা গুণতে জানে, সম্পত্তির হিসাব করতে শেখে, চাকরি-বাকরি করতে পারে… কিন্তু “লেখালেখি” কইরা কী হয়?
২) পাল্লার বউ নাই, বেড নাই, রুম নাই, গাড়ি নাই, বাড়ি নাই, বিষয় নাই, সম্পত্তি নাই, বিড়ি-সিগারেট-চা-কফি-মদ–কোনো নেশা নাই… ব্যক্তিগত বলতে কিছুই নাই। একটা দিন আনি দিন খাই-এর কামলা আছে। ২৪ ঘণ্টার প্রায় ১২ ঘণ্টাই চইলা যায় এই কামলার পিছে। ৮ঘণ্টা ঘুম ধরলে বাকি ৪টা ঘণ্টা থাকে নিজের জন্য। এর মধ্যে খাওয়া-দাওয়া…
৩) খাওয়া-দাওয়া-মেস ভাড়া দিয়া যা থাকে সেইটা দিয়া মাঝে মাঝে পাল্লা পেজের পোস্ট বুস্ট করি। শুধু পাল্লার লেখা না, অন্যদের লেখাও সেখানে পোস্ট-শেয়ার করা হয়। চুতরাপাতা টাইপের হলে সেগুলাও বুস্ট করা হয়।
৪) অনেকেই আসবে, পরিচয় হবে, কেউ কেউ আবার চলে যাবে। কেউ কেউ আবার আসবেই চলে যাওয়ার জন্য। এসব নিয়া না ভাইবা নতুনদের কাছে পৌঁছানোটা আরো বেশি জরুরী বলে মনে হয়।
৫) ফ্রেণ্ড লিস্টে সমমনারাই বেশি। ফলোও করে প্রায় সমমনারাই। লাইক-কমেণ্ট-ক্যাচালও হয়ে এদের সাথেই বেশি। কিছুই ব্যক্তিগত নয়। তারপরেও অনেকে আনফ্রেণ্ড করে, ব্লক করে। কেউ কেউ ভালোবেসে চলে যায়; আবার কাউকে “ভালোবাসি” বলে চলে যায়–হু কেয়ারস!
৬) আবারও বলছি, এখানে ব্যক্তিগত ভাবে নেয়ার কিছুই নাই। যাতে নিজের মধ্যে কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ লোভ লালসার জন্ম না নেয়, তাই বাচ্চাকাচ্চা সংসারের চিন্তা বাদ দিয়ে বুরখাওয়ালীকেও দূরে ঠেকে দিয়েছি। ব্যাকগ্রাউণ্ডে থাকার চেষ্টা করছি সবসময়। এখন একটু টার্গেট থাকে নতুনদের এই দিকে টাইনা আনার। সেজন্য চেহারা দেখাইতে হবে, নিজেরে হনু বইলা জাহির করতে হবে–এমন কোনো কথা নাই। কেউ কেউ সামনে থিকা নেতৃত্ব দিতে চান, দেন। আপত্তি নাই। খারাপ লাগে যখন দেখি ব্যক্তিগত স্বার্থ চিন্তা করতে গিয়া সামগ্রিক ভাবে পুরা বিষয়টার মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি কইরা বাঁশ দিয়া ফেলায়…
৭) পেজের পোস্ট বুস্ট করলে হাজার ১০/১৫ রীচ হয়। এদের মধ্যে মুরাদ-টাকলা আর গালিবাজ বেশি। তবুও আসুক, পড়ুক। গালাগালি দিতে দিতে একসময় নিজেরাই চিন্তা করতে শিখব। ভুলে না যাই–আমাদের অনেকের শুরুটাও এরকম ভাবেই হয়েছিল।
৮) মানুষ হওয়ার পথে নাস্তিকতা একেবারে সহজ এবং প্রাথমিক একটা ধাপ। জাস্ট একটু কমনসেন্সের ব্যাপার। তারপর অনেক পথ যাওয়ার বাকি। ভাব দেখাইতে গিয়া কিংবা কাউরে বড় ছোট করতে গিয়া মাঝপথে থাইমা যাইয়েন না…
৯) গালাগালি সহ্য হলেও লুতুপুতু ন্যাকামি সহ্য হয় না। এসব সহ্য করার উপায় কী?
আল্যা-ভগবানের বেলায় প্রমাণ চাইবেন, আর নিজে যখন কাউরে কোনো ট্যাগ মারবেন, কিন্তু প্রমাণ হাজির করতে বললে আস্তিকদের মত ল্যাদাইবেন–এইটা কেমনে কথা!
১০) হুমায়ূন আহমেদের হাজারটা উপন্যাসের চাইতে হুমায়ুন আজাদের একটা ‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’ বা তসলিমা নাসরিনের একটা “লজ্জা”র ভার অনেকগুণ বেশি। যে লেখা কারো কোনো অনুভূতিতে আঘাত করে চিন্তা-চেতনায় নাড়া দিতে অক্ষম, সে লেখা কোনো লেখাই না।
Leave a Reply