• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

পাল্লাহু । pAllahu

দাঁড়িপাল্লা ধমাধম-এর বাংলা ব্লগ

  • পাল্লাব্লগ
  • চুতরাপাতা
  • মহাউন্মাদ
  • ধর্মকারী
  • রেফারেন্স
  • ট্যাগস

নাস্তিকের মৃত্যুর পরে তার লাশ নিয়ে কি করা হবে

You are here: Home / চুতরাপাতা / নাস্তিকের মৃত্যুর পরে তার লাশ নিয়ে কি করা হবে
February 8, 2012

নাস্তিকের মৃত্যুর পরে তার লাশ নিয়ে কি করা হবে তা নিয়ে মুমিনগনের চিন্তার শেষ নেই। একজন প্রশ্ন করলো, “ভাই, ধর্ম মানেন না ঠিক আছে, মৃত্যু তো মানেন। মানে মরবেন তো, নাকি? কোরানে তো মৃত্যুর কথা বলা আছে, তাইলে নাস্তিকরা মরে ক্যান?”
-হ্যা ভাই, ‘নাস্তিকরা’ও মারা যায়। কথা শুনে মনে হচ্ছে, অন্যান্য সকল বিষয়ের মত মৃত্যুও মুমিন ধার্মিকগনের বাপদাদার আবিষ্কৃত বিষয়।
এই প্রশ্নের জবাবে আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, ইসলাম বা কোরান নাজিল হবার বহু পুর্বেও মানুষ মারা যেত, এবং দুনিয়াতে কোরান বা ইসলামের নামগন্ধ না থাকলেও মানুষ মারা যাবে।এমন নয় যে কোরানে ব্যাপারটা আল্লাপাক বলার পরেই মানুষ টপাটপ মরতে শুরু করলো, এর আগে সব মানুষ বেশ বেঁচে বর্তে খেয়ে দেয়ে আমোদফুর্তি করে যাচ্ছিল।
এমনকি মানুষ আসার আগেও প্রানীকুল মারা যেত, আবার নতুন প্রানের জন্ম হতো। মৃত্যু কোরান বা ইসলামের আবিষ্কার নয়, অন্য কোন ধর্মেরও আবিষ্কার নয়। এটা অন্যান্য প্রাকৃতিক সুত্রের মতই বৈজ্ঞানিক সত্য, মানুষ মারা যাবে, প্রকৃতির ছেলে প্রকৃতির কাছে ফিরে যাবে। তাই মৃত্যু ঘটা মানে কোরানের বানী সত্য হওয়া বলে ধরে নেয়া যাবে না। বরঞ্চ কোরানই প্রকৃতির সুত্রকে সমর্থন দিয়েছে। এপর্যন্ত কোন নবী রাসুল পয়গম্বর আল্লার বান্দা আল্লার তেলেসমাতি কুদরতে প্রকৃতির এই সুত্রকে কলা দেখিয়ে বেঁচে নেই।
কিন্তু নাস্তিকের লাশ নিয়ে কি করা যেতে পারে?
মহাজ্ঞানী ডায়োজিনিসের কাছে একবার কিছু লোক গেল, গিয়ে বললো, “বেটা অপদার্থ, মূর্খ, তুই তো দেব দেবী মানিস না। তো মৃত্যুর পরে তোর লাশ তো শিয়াল শকুনে ছিড়ে খাবে।কেউ তো তোর লাশ পোড়াবেও না, মাটিও দেবে না।”
ডায়োজিনিস বললেন, “তো এক কাজ করো। মারা যাবার সময় আমার লাশের পাশে একটা লাঠি রেখে যেও। লাঠি দিয়ে শিয়াল শকুন তাড়ানো যাবে।”
লোকজন বললো, “আরে বেটা নাস্তিক আহাম্মক, অবিশ্বাসী উল্লুক, মারা যাবার পরে কি তোর হুশ থাকবে? তুই শিয়াল শকুন তাড়াবি ক্যামনে?”
ডায়োজিনিস বললেন, “যদি হুশই না থাকে, চেতনাই না থাকে, তাহলে শিয়ালে খাইলে কি আর শকুনে খাইলেই কিরে বেটা? পোড়াইলেই কি আর মাটি চাপা দিলেই কি? যেহেতু টেরই পামু না, এসবে কি আসে যায়?”

হ্যা, নাস্তিকের লাশ নিয়ে মুমিনগন যতটা চিন্তিত, স্বয়ং নাস্তিকগনও এতটা চিন্তিত নয়। “কি আসে যায়?”

এই মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবার সাথে সাথেই আর কিছু নাই। সমস্ত স্মৃতি, এই জীবনের সমস্ত অভিজ্ঞতা সেখানেই শেষ। আর মস্তিষ্কে পচন ধরার সাথে সাথেই পুনরায় বেঁচে ওঠার সমস্ত আকাংখারও সমাপ্তি। কষ্টকর হলেও সত্য মেনে নেয়াটাই সাহসী মানুষের কাজ।

তবে হ্যা, ব্যাক্তিগতভাবে ইচ্ছাপোষন করি, মৃত্যুর পরে এই শরোরটা কাজে লাগুক। লাশটা আমি দান করে যাবো মেডিকেল কলেজে। সেখানে ছাত্রছাত্রীরা আমার লাশ কেটে অভিজ্ঞ হবে, নিখুঁতভাবে অস্ত্রপাচারের কৌশল শিখবে।
শুধু লাশই না, এই চোখ, এবং শরীরের যাবতীয় অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, যাই কাজে লাগে, অন্য মানুষের উপকার হয়, দান করে যাবো। শরীরটা নিয়ে কবরে গিয়ে হুর ছোহবতের অশ্লীল স্বপ্নের চাইতে এটা অবশ্যই ভাল মনে করি। হয়তো চোখ ছাড়া কবরে বা স্বর্গে হুরগনের অপরুপ সৌন্দর্য্য, উন্নতবক্ষ আর নিখুঁত নিতম্ব দেখতে পাবো না, বেহেশতেও ঢুকতে পারবো না, কিন্তু সেই চোখ দিয়ে কেউ না কেউ এই পৃথিবী দেখবে, এর চাইতে আনন্দের মৃত্যু আর কি হতে পারে?

–আসিফ মহিউদ্দীন
December 9, 2011 at 6:49am
http://www.facebook.com/atheist.asif/posts/274444329269669

Category: চুতরাপাতাTag: আসিফ মহিউদ্দীন
Previous Post:আধ্যাত্নিকতা নিয়ে ধার্মিকদের কিছু চুতরাপাতা ডলে দিলেন মাওলানা দুরের পাখি
Next Post:আধিপত্যবাদকে নিয়ে আসিফ মহিউদ্দীনের কিছু চুতরাপাতা

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পাল্লাহু । pAllahu • ফেসবুক • পেজ • টুইটার

Return to top