• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

পাল্লাহু । pAllahu

দাঁড়িপাল্লা ধমাধম-এর বাংলা ব্লগ

  • পাল্লাব্লগ
  • চুতরাপাতা
  • মহাউন্মাদ
  • ধর্মকারী
  • রেফারেন্স
  • ট্যাগস

ফেসবুকিয় হযবরল (কেউ সিরিয়াস ভাবে নিয়েন না)

You are here: Home / পাল্লাব্লগ / ফেসবুকিয় হযবরল (কেউ সিরিয়াস ভাবে নিয়েন না)
October 24, 2016

‘টাইমপাস’ নামক ইংলিশ শব্দের ভালো একটা বাংলা প্রতিশব্দ আছে–‘সুন্দর আণ্ডারস্টাণ্ডিং’। আপনার সাথে আমি টাইমপাস করতেছি–এরকম বললে খারাপ শোনায়, তাই ভদ্রতা করে বলুন–আপনার সাথে আমার সুন্দর আণ্ডারস্টাণ্ডিং আছে।

এই ধরেন অন্যের প্রেমিক-প্রেমিকাদের উপর ক্রাশ খাই। ফলাফল নগদে ছ্যাকা। বা ধরেন কারো সাথে পরিচয় হলো, মনের মিল খুঁজে পাইলাম, কথা হইতেছে তো হইতেছেই,…ধীরে ধীরে ভালোলাগা, প্রেমে পড়া, ভালোবাসা… কুটি কুটি মেসেজ আদান প্রদানের পরে দেখা গেলো সেই লোক আসলে মনে মনে অন্য কাউরে মন দিয়া তার ধ্যানে মগ্ন, তারে না পাইয়া এতদিন আমার সাথে টাইমপাস সোদাইছে আরকি…থুক্কু, সুন্দর আণ্ডারস্টাণ্ডিং…

আবেগগুলো প্রতিনিয়ত আত্মহত্যা করে চলছে শুধু ‘ভালোবাসি’ বলতে না পারার অভিমানে।

প্রেম-ভালোবাসা আমাকে প্রেরণা দেয় না, শক্তি দেয় না; দুর্বল করে দেয়। আমার সবচেয়ে দুর্বল পয়েণ্ট হলো প্রেম-ভালোবাসা।

চুপি চুপি ওয়ালে যাই। তারপর জড়িয়ে ধরে বসে থাকি। সামান্য টেকনিক্যাল নলেজের অভাবে বুঝতে পারো না। হয়তো কোনোদিনই বুঝবে না।

‘কোলেতে বসাইয়া তোরে করিতাম আদররে…’

যার কেউ নাই তার ফেসবুক আছে। কিন্তু সমস্যা হলো–ফেসবুকে আসলেই তোর কথা মনে পড়ে, না আসলে আরো বেশি বেশি…

প্রেম করি না, অথচ বিরহের আগুনে পুড়ি।

প্রেম করার অধিকার ও স্বাধীনতা থাকলে প্রেম ভাঙারও অধিকার ও স্বাধীনতা থাকবে। আজ আমাকে একটা মেয়ে ভালোবাসে, কাল না-ও বাসতে পারে। এই ভালো না বাসার পেছনে কারণ থাকতেও পারে আবার না-ও পারে–সেটা কারো দেখার বিষয় না। (কেউ ভালোবাসলে ভালো, ভালো না বাসলে আরো ভালো।)

মন ভালোবাসার জন্য মরিয়া হয়ে থাকে সবসময়। যারে ভালোবাসি, তারে না পাইলে, বা তারে পাইলেও তার ভালোবাসা না পাইলে কেমন জানি মন-মানসিকতা আত্মঘাতী টাইপের হয়ে যায়। তখন নিজের পাশাপাশি আশেপাশের সবডিরে ফাঁসাইয়া দিতে মন চায়।

যে কোনো সময় ছিইড়া যাওয়া সুতায় ঝুইলা থাকা সম্পর্কের বোরখাওয়ালী যখন প্রশংসা করে তখন বুকের ভিতরটা কাইপা ওঠে–এই বুঝি আবার বাইন্ধা রাখার কথা বলে!

অন্যের প্রেমিকা বা যারা মনে মনে অন্য কাউরে ধ্যান করে, ভালোবাসে, তাদের প্রেমে না পড়ার উপায় কী?

চুলবতী রহস্যময়ী রূপাবতীদের ইয়ের মধ্যে খালি রহস্য আর রহস্য–পেইন ছাড়া কিছুই উৎপন্ন করে না। হে হুআর হিন্দিচুল, এদের থিকা মুক্তি মিলবে কিভাবে!

ছ্যাকা খাইলে মান্না দে মনি কিশোর কুমার শানু শুনি, মন খারাপের কিংবা নারীবিদ্বেষী স্ট্যাটাস দেই। ছ্যাকা খাওয়ার আগেও কোপাইতে পারি না, পরেও না। এই জন্য জীবনে কোনোদিন ‘পুরুষ মানুষ’ হয়ে ওঠা হবে না।
কী জানি, হয়তো কোপাইতে যাই না বলেই ছ্যাকা খাই।

খাটো সাপের বিষ বেশি।

: ভাগ্যে বিশ্বাস করেন? সামান্য হলেও?
: ফলাফল খারাপ হলে একটা সান্ত্বনা দেয়ার জন্য মনে হয় করার ভান করি।
: তাহলে সেই ভান থেকেই মনে করুন, ভাগ্যে ছিল না।
কে কে ভাগ্যে বিশ্বাস করেন, সামান্য হলেও? কার ভাগ্যে কে কী ছিল না?

ছেলে-মেয়ে ব্যাপার না–প্রায় সবাই-ই মনে মনে খুশি হয় যদি বুঝতে পারে যে তাদেরকে অনেকে ভালোবাসে। তবে এই ভালোবাসা নিয়ে যারা গেম খেলা তাদের রূপা-হিমুরে হুআ।

ঘরে এখনো অফিসিয়ালি বউ-বাচ্চা আছে। তবুও মন চায় মেয়েদেরকে ‘ভুলিয়ে-ভালিয়ে-ফুসলিয়ে বিছানায় নিয়ে যেতে’। তবে বিশ্বাস করেন, এই কাজ করতে হলে যে ধরনের লেখা লিখতে হয়, সেই ধরনের লেখা বাপের জন্মেও লিখতে পারব না, আই মিন, লেখার যোগ্যতা নেই।

একজনকে বলেছিলাম ভালোবাসি। তারপর বলেছিলাম–এবার মরে যাও।

যারা কোনো রকমে একটা প্রেম বা লাগাইতে পারছে, তাদের কোনো ভাবেই পরে আর প্রেম করার বা লাগানোর মানুষের অভাব হয় না। এরা প্রেম করে, লাগালাগি করে…ব্রেকআপ হতে না হতেই আরেকটা জুটে যায়…আবার প্রেম করে, রুমডেট করে, ব্রেকআপ…

যে সুন্দর, সে জানে সে সুন্দর। সে এ-ও জানে অনেকেই তার প্রেমে পড়ব। এসব ভেবে তার বুকটা অনেকখানিই ফুলে থাকে। আর সেইটা যখন কেউ সরাসরি বা ইনিয়েবিনিয়ে বলে যে তার প্রেমে পড়ছে, তখন তার ফোলা বুকটা আরো ফোলে। ফুলতে ফুলতে এমন অবস্থা যে মনে হয় হাওয়ায় ভাসতেছে।

যা হউক, যে আপনার উপর আজ ক্রাশ খাইছে, প্রেমে পড়ছে, ভালোবাসছে, বা আপনারে লাগাইতেছে, সে গত পরশু দিন অন্য কারো উপর ক্রাশ খাইছিল, প্রেমে পড়ছিল, ভালোবাসছিল, লাগাইছিল… কালকে ব্রেকআপ হইছে। আজ আপনার উপর… কালকে আবার আপনার সাথে ব্রেকআপ হবে। পরশু আবার অন্য কাউরে লাগাইবে। সো এগুলা নিয়া উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু নাই।

যে ঢেউ আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে না, সেই ঢেউয়ের দাম কী?

বাচ্চা হবে বোরখাওয়ালীর। আর মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব আমার!

মানুষ যখন অস্থিরতায় ভোগে, তখন নাকি ঘনঘন স্ট্যাটাস দেয়।
একজন বলছিল। নাম্বারিং কইরা বলেন–এখন পর্যন্ত আজ কয়টা স্ট্যাটাস দিলাম? 😛

(প্রচণ্ড মাথা ব্যথা নিয়া মনে মনে ভাবতেছি–এইটাই শেষ স্ট্যাটাস হইলে জন্মের মত বাঁইচা যাই)

Category: পাল্লাব্লগ
Previous Post:জঙ্গিনামা – ২: ধর্মকারীর কুফরী কিতাব
Next Post:গরুপূজারি গাধাগুলো – ১৬৯

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পাল্লাহু । pAllahu • ফেসবুক • পেজ • টুইটার

Return to top