আমার কন্যারে আমি বান্দর, ইন্দুর, বিড়াল, কুত্তা, কুমির, ব্যাকটেরিয়া, অ্যামিবা সবকিছু ডাকি । কন্যার মায়ের রাগান্বিত চোখের সামনে লেকচার দিই, কীভাবে এককোষী একটা জীব থেকে আমরা সবাই আজকে এইখানে ; যে যে জীবের নামে কন্যারে ডাকলাম তারা সবাই তার চাচাত খালাত ফুফাত ভাইবোন, কেউ নিকটসম্পর্কের কেউ দূরসম্পর্কের ; কীভাবে এত লাখ লাখ জীবের ভিতরে মাত্র অল্প কিছু সংখ্যার বেশি এমাইনো এসিড নাই, কীভাবে প্রায় সব জীবই একই রকমের জিনিস একই রকমে পুড়ায়ে শক্তি তৈরী করে । সব কিছু মিলায়ে একটাই ছবি উঠে আসে, যাকিছু জীবন্ত দেখি তার সবই আমার আত্নীয়, পুরা পৃথিবী এই যৌথ পরিবারের বাড়ি ।
আরো দূরের দিকে বের হইলে, আমাদের শরীরে যেইসব ভারী মৌল এইগুলার সবই কোন না কোন তারার কেন্দ্রপিন্ডে তৈরী হওয়া । বিগ ব্যাং এ তৈরী হইছিলো কেবল হাইড্রোজেন । তারপর হাইড্রোজেন থেকে হিলিয়াম , কার্বন, অক্সিজেন সেখান থেকে বড় বড় তারার কেন্দ্রে অনেক চাপে আরো ভারী ধাতুগুলা যার কোনটাই এই পৃথিবীর পক্ষে তৈরী করা সম্ভব না । অর্থাৎ আমার শরীরের এইসব অনু পরমানু সবই কোন না কোন তারার অংশ । এই সুপার্ব আধ্যাত্নিকতার সামনে ধর্মীয় আদম-হাওয়া-গন্ধম তত্ত্বরে মনে হয় সত্যিকারের তাজমহলের সাথে একটা শোলার রেপ্লিকার মত । অথচ ধার্মিকের দাবী আধ্যাত্নিকতা কেবল তাগো বাপের সম্পত্তি । ছাগলে কি না কয় !
–মাওলানা দুরের পাখি
Tuesday, February 7, 2012 at 8:15am
http://www.facebook.com/maolana.pakhi/posts/318708038167040
Leave a Reply