দ্যা লিটল ডেথ। অস্ট্রেলিয়ান মুভি। সেএণ্ডক্স কমেডি। মানুষের বিভিন্ন প্রকার যৌনাচার দেখানো হয়।
Dacryphilia – কাউকে কাঁদতে দেখে যৌনানুভূতাক্রান্ত হওয়া। এমনিতে সেএণ্ডক্স করার সময় মেয়েটি তেমন অনুভূতি ফিল করত না। কিন্তু সে ছেলেটিকে ভালোবাসে, তাই অন্য কোথাও ট্রাই করছিল না। একদিন ছেলেটি এসে কাঁদতে কাঁদতে জানানো তার বাবা মারা গেছে। ছেলেটিকে কাঁদতে দেখেই মেয়েটি যৌনতা জেগে উঠল। এরপর সে নানা ঘটনা ঘটিয়ে ছেলেটিতে কাঁদাত, তারপর সেএণ্ডক্স করত।
Somnophilia – কাউকে ঘুমাতে দেখে যৌনানুভূতাক্রান্ত হওয়া। মধ্যবয়স্ক দম্পতি। লোকটি তার স্ত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে ভালোবাসত। এজন্য রাত জাগত, আর কাজে গিয়ে ঝিমাত। বস দেখে ভাবল লোকটির ঘুমের সমস্যা, তাই একটা ওষুধ সাজেস্ট করল যেটা খেলে ভালো ঘুম হয়। লোকটি সেই ওষুধ তার স্ত্রীকে চা-কফির সাথে মিশিয়ে খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে সারারাত স্ত্রীকে দেখত-আদর করত। এই অভিজ্ঞতা হয়তো অনেকের আছে—“ঘুমের সময় তোমাকে খুব সুন্দর লাগে”—এই টাইপের কথা আমরাও অনেক বলি বা শুনি।
Roleplay Fetishism – নিজেকে অন্য কারো জায়গায় কল্পনা করে যৌনানুভূতাক্রান্ত হওয়া। সাইকোলজিস্টের পরামর্শে স্বামী-স্ত্রী রোল-প্লে করে সেএণ্ডক্স করার শুরু করল। একেক দিন একেক রোলে সেজে। অবস্থা শেষে এমন দাঁড়ায় যে লোকটি অভিনয়ের ক্লাসে গিয়ে ভর্তি হলো।
Sexual Masochism – কষ্ট পেয়ে, অপমানিত হয়ে যৌনানুভূতাক্রান্ত হওয়া। মেয়েটি চাইত তার বয়ফ্রেণ্ড যেন তার সাথে জোর করে সেএণ্ডক্স করে, অনেকটা ধর্ষণ করার মত।
Telephone Scatalogia – অজানা-অচেনা কারো সাথে ফোনে রগরগে আলাপ করে যৌনানুভূতাক্রান্ত হওয়া। এটার সাথে সবাই কমবেশি পরিচিত আছেন। ফোনসেএণ্ডক্স, সেএণ্ডক্সচ্যাট-এর মত ব্যাপার।
এছাড়াও আরো অনেক ব্যাপার আছে, যেমন কেউ সুন্দর চোখের ভক্ত, কেউ ঠোঁটের, কারো লম্বা চুল ভালো লাগে, কেউ সুন্দর হাত-পা ভালো পায়, কেউ তামিল মুভির নায়িকাদের নাভি দেখে পাগল হয়, আবার কাউকে বোরখা-পরা মেয়েরাও পাগল করে। বিএফ বলে তার জিএফকে কোন ড্রেসে সুন্দর লাগে, বাইরে বের হলে স্ত্রী স্বামীকে জিজ্ঞেস করে কোন রঙের বা কোন শাড়িটা পরবে। মাদ্রাসার হুজুরদের দেখা যায় বাচ্চা ছেলেমেয়েদের প্রতি বাড়তি আকর্ষণ ফিল করতে। নবীর আকর্ষণ ছিল সব বয়সী—বুড়ি-ছুড়ি, দাসী-বাদী—সবার প্রতি। এমনকি আয়েশার পোশাক পরে রোল-প্লে করতেও শোনা যায়। এই সব কিছুর পেছনে একটা যৌন আকর্ষণ কাজ করে।
অনেকে এ ধরনের আচরণকে ‘সাইকো-সেএণ্ডক্সুয়াল-ডিজঅর্ডার’ হিসাবে দেখতে পারেন, কিন্তু সেটা এখানে আলোচ্য নয়। এই মুভিটার কথা মনে পড়ছিল সেদিন অনেকের মন্তব্য দেখে। সেদিন কালিকাপুরাণ থেকে ব্রহ্মার কাহিনীটা দেয়া হয়েছিল—ব্রহ্মা বরযাত্রী হিসাবে শিবের বিয়েতে গিয়েছিল। সেখানে কনের সাজে সতীর রূপ দেখে ব্রহ্মা যৌনাসক্ত হয়ে পড়ে, এবং সেই সভা মধ্যেই বীর্যপাত করে ফেলে। [সেই সাথে আমরা বলতে চেয়েছিলাম যে সে যুগে কাপড় পরার তেমন প্রচলন ছিল না। কাপড় পরা থাকলে ব্রহ্মার এই বীর্যপাতের ঘটনা কারো চোখে পড়ত না।]
অনেকে প্রশ্ন করেছিলেন—শুধু মেয়েদের চোখের দেখা দেখে এভাবে বীর্যপাত করা সম্ভব কিনা। উত্তর—সম্ভব। (আরো অনেক কিছুই সম্ভব, যা নিজেদের এরকম উদ্ভব যৌনাচরণ দিয়ে বুঝতে পারবেন।) শুধু এই ঘটনাই না, কালিকা পুরানে আরো একটি ঘটনা আছে যেখানে ব্রহ্মা এই একই কাজ ঘটিয়েছিল। শান্তনু মুনির স্ত্রী অমোঘাকে দেখে কাম-পীড়িত হয়ে ব্রহ্মা তাকে ধর্ষণ করতে গেলে সে দৌড়ে পর্ণ-শালার মধ্যে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় এবং ব্রহ্মাকে অভিশাপ দেবে বলে হুমকি দেয়, তখন ব্রহ্মা পালিয়ে যায়। তবে পালিয়ে যাওয়ার আগে দরজার বাইরেই বীর্যপাত হয়ে যায়। পরে শান্তনু মুনি সেই বীর্য পান করে অমোঘার গর্ভে নিষেক করে। সেই থেকে জন্ম হয় ব্রহ্মপুত্রের, যার নামে নামকরণ করা হয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদের। [ব্রহ্মপুত্রের উৎপত্তিবিবরন,৮২তম অধ্যায়, কালিকাপুরান]
Leave a Reply