• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

পাল্লাহু । pAllahu

দাঁড়িপাল্লা ধমাধম-এর বাংলা ব্লগ

  • পাল্লাব্লগ
  • চুতরাপাতা
  • মহাউন্মাদ
  • ধর্মকারী
  • রেফারেন্স
  • ট্যাগস

নিমো হুজুরের খুতবা – ১১

You are here: Home / ধর্মকারী / নিমো হুজুরের খুতবা – ১১
December 4, 2016
লিখেছেন নীল নিমো

নাস্তিকদের উৎপাতে আমি অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। যেমন ধরেন গতকাল ওয়াজ করছিলাম নিম্নরুপ:
– কোরান হল পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। যে মুসলমান কোরানকে আঁকড়ে ধরে রাখবে, শয়তান তাকে কোনোদিনও বিপথগামী করতে পারবে না…

ওয়াজে বাধা দিয়ে এক নাস্তিক আমাকে প্রশ্ন করিল:
– হুজুর, কোরান যদি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হত, তাহলে আর হাদিসের দরকারটা কী? হাদিসের ব্যাখ্যা ছাড়া কোরান বুঝা যায় না। তাই কোরান পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হতে পারে না।

নাস্তিকের কথা শুনে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। আমি বলিলাম:
– ওরে জাহান্নামি নাস্তিক, কোরানে মূল জিনিসগুলা বলা আছে। আর হাদিসে সেগুলোর ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। যেমন, কোরানে নামাজ কায়েম করতে বলা হয়েছে। আর হাদিসে বলা হয়েছে, কীভাবে নামাজ পড়তে হবে।

আমার উত্তর শুনে নাস্তিক উত্তর দিল:
– তাহলে, হুজুর, স্বীকার করে নিলেন যে, শুধুমাত্র কোরান পড়লে মুসলিম হওয়া যায় না। হাদিসও পড়া লাগে। তাই বলা যায় যে, কোরান একটি অসম্পূর্ণ জীবনবিধান। হাদিসের মাধ্যমে কোরান পূর্ণতা পেয়েছে। তাই আপনার বলা উচিত ছিল, কোরান এবং হাদিস হল পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান।

আমি বলিলাম:
– আস্তাগফিরুল্লাহ। কোরান নিয়ে বাজে মন্তব্য ঠিক না।

নাস্তিক বলিল:
– হুজুর, এখানেই কিন্তু শেষ না। মুসলমানরা কোনো সমস্যায় পড়লে প্রথমে কোরানের কাছে যায়। কোরান যদি সমস্যার সমাধান করতে না পারে, তাহলে তারা হাদিসের কাছে যায়। হাদিস যদি সমস্যা সমাধান না করতে পারে, তাহলে তারা ইজমা-কিয়াসের দিকে যায়। আর ইজমা-কিয়াসও সমস্যার সমাধান না করতে পারলে ফতোয়ার দিকে যায়। এত কিছুর পরেও যদি সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে মুসলমানরা চাপাতি দিয়ে কুপাকুপি করে নিজেদের সমস্যার সমাধান করে। নবীজির মৃত্যুর মাত্র কয়েক বছর পরে মুসলমানদের ভিতর ফিতনা বা গ্যাঞ্জাম লেগে যায়। এই সময় নবীজির বউ আয়েশা এবং নবীজির মেয়ের জামাই আলী নিজেদের ভিতরে কুপাকুপি করেই সমস্যা সমাধান করেছিল। তাই আমাদের বলা উচিত, কোরান নয়, বরং চাপাতি দিয়ে কুপাকুপির ভিতরেই সকল সমস্যার সমাধান রয়েছে। আল্লাহ-কোরান-হাদিস-ফতোয়া সবকিছুই যখন ব্যার্থ হয়ে যায়, তখন মুসলমানরা হাতে চাপাতি তুলে নেয়।

নাস্তিকের বেকায়দামূলক কথা শুনে আমার ওযু নষ্ট হয়ে গেল। আমি ওযু করতে হাম্মামখানার দিকে দৌড় দিলাম

Category: ধর্মকারীTag: রচনা
Previous Post:নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা
Next Post:বৈজ্ঞানিক ভুলসমূহ

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পাল্লাহু । pAllahu • ফেসবুক • পেজ • টুইটার

Return to top