• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

পাল্লাহু । pAllahu

দাঁড়িপাল্লা ধমাধম-এর বাংলা ব্লগ

  • পাল্লাব্লগ
  • চুতরাপাতা
  • মহাউন্মাদ
  • ধর্মকারী
  • রেফারেন্স
  • ট্যাগস

মানবতাভুক বিশ্বাস

You are here: Home / ধর্মকারী / মানবতাভুক বিশ্বাস
December 4, 2016
লিখেছেন পুতুল হক

যখনই কোনো মুসলমান শুনতে পায়, কোনো অমুসলিম দেশে মুসলমান অধিবাসীর জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আগামী দশ, বিশ বা ত্রিশ বছরের মধ্যে তারাই হয়ে যাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ, তখন তাঁদের চেহারায় একটা নূরানি খুশি খেলে যায়। যেন “এইবার তোমরা যাইবা কৈ?” এরা বিশ্বজয়ের কথা ভাবে সংখ্যা দিয়ে। কতটা গেঁয়ো, গোঁয়ার আর বিকৃত মানসিকতা হলে এমনটা ভাবা সম্ভব!

আরো অদ্ভুত কথা হল, এই মানুষগুলো পৃথিবী দখল করে পৃথিবীকে কোনো সুন্দর স্থান হিসেবে গড়ে তোলার কথা ভাবে না। এরা পৃথিবীকে নিয়ে যেতে চায় ১৪০০ বছর আগের আরবের সমাজ প্রথায়। যেখানে নারী মানে মেধাহীন যোগ্যতাহীন বস্তাবন্দী বাচ্চা পয়দা করার মেশিন, ক্ষুধার জন্য কোন শিশু খাবার চুরি করলে তাঁর হাত কেটে ফেলা হয়, শুধুমাত্র “লাইলাহাইল্লাললাহু” না বলার কারণে যে কোনো মানুষকে মেরে ফেলা সওয়াবের কাজ।

পৃথিবী যাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়, তারা পৃথিবীকে সুন্দর করবে না। মুসলমানের কাছে ক্ষণস্থায়ী জীবনের কোনো মূল্য নাই, মানুষের কোনো মূল্য নাই। তারাই মানুষের জন্য কাজ করে, যারা মানুষ নিয়ে ভাবে। তারাই পৃথিবীর উন্নয়নে অবদান রাখে, যারা পৃথিবীকে ভালোবাসে। মুসলমান পৃথিবীতে আসে শুধুমাত্র আল্লাহর ইবাদত করার জন্য আর আল্লাহর সাম্রাজ্য বিস্তারে অবদান রাখার জন্য। তাদের জীবনের মূল লক্ষ আখেরাত। এখানে আমার হিসেব মেলে না। যাদের কাছে পৃথিবীর জীবন অর্থহীন, তারা পৃথিবীর উপর দখল প্রতিষ্ঠার জন্য এতো মরিয়া কেন? ঘরে বসে যার যার মত করে আল্লাহর ইবাদত করলে আল্লাহ কেনই বা সন্তুষ্ট হতে পারেন না? আল্লাহ-নবীকে ভালবেসে কাছে পাওয়া যদি ইহকাল এবং পরকালের সব সুখের চাবিকাঠি হয়, তবে অন্যের জীবনাচার নিয়ে এতো মাথাব্যথার কারণ থাকার কথা নয়।

মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান সবাই ধর্মকে আবারো ঘর থেকে বাইরে বের করছে। স্বাভাবিক অবস্থায় মুসলিম এবং খ্রিষ্টানদের তুলনায় হিন্দুরা কম উগ্র। কিন্তু এটা স্বাভাবিক অবস্থার কথা। অস্বাভাবিক অবস্থায় কেউ কাউকে ছাড় দেয় না, দেবেও না। রক্ত ঝরলে, সহায়-সম্পদ আর বাড়ির মেয়ে নিয়ে টানাটানি করলে কারো কষ্ট কম হয় না কারোর থেকে। ইতিহাস থেকে আমরা শিক্ষা নিই না। এতো বুদ্ধিমান প্রাণী হয়েও একই ভুল আমরা বারবার করি।

চার্চ, মন্দির বা মসজিদ পৃথিবীর সব চাইতে ভয়ঙ্কর মারণাস্ত্র। এগুলো যখন ‘বিস্ফোরিত’ হয় তখন এর তেজস্ক্রিয়তা শতাব্দীর পর শতাব্দী মানুষ বহন করে চলে। এই মারণাস্ত্র পৃথিবী থেকে নির্মূল করার কথা আমরা ভাবি না। এগুলোকে বরং আদরে-আহ্লাদে-ভক্তিতে রাখা হয়। এই উপাসনালয়গুলো একদল মানুষকে আরেক দল মানুষের পেছনে লেলিয়ে দেয়। মানুষও নির্বোধ প্রাণীর মত কামড়াকামড়ি করে। একে অপরের রক্তের জন্য লালায়িত হয়।

ধার্মিক হলেই মানুষ রক্তপিপাসু হয়, তা নয়। নির্ভরতার জন্য, মানসিক শান্তির জন্য, আসমান-জমিন, জন্ম-মৃত্যুর রহস্য ভেদ করতে পারে না বলে মানুষ ধর্মের আশ্রয় নেয়। আমরা কেউ একা নই, অসহায় নই, পিতামাতা বা প্রিয় বন্ধুর পরেও আছেন আমাদের পরম স্রষ্টা – হোক এটা ভুল, তবুও এই মানসিক শান্তির মূল্য হয়তো কম নয়। ঘরের ভেতরে ধর্মচর্চা করলে এই একই শান্তি পাওয়া যায়। তবুও অন্ধবিশ্বাসী মানুষ ধর্মকে সাথে নিয়ে ঘর থেকে বাইরে বের হয়, কামড়ায়, কামড় খায়। এর কারণ তার অন্ধবিশ্বাস।

এই বিশ্বাস এমনই যে, একবার অন্তরে ঠাঁই দিলে কখন যে অন্তরের সবটুকু মানবিকতা, নির্মলতা, সরলতা, বিবেক, বিচার, বুদ্ধি লোপ পেয়ে যায়, কেউ বুঝতেই পারে না।

Category: ধর্মকারীTag: মিতকথন, রচনা
Previous Post:বৈজ্ঞানিক ভুলসমূহ
Next Post:খাটান মাথা

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পাল্লাহু । pAllahu • ফেসবুক • পেজ • টুইটার

Return to top