কৃষ্ণসহ অন্যান্য সব দেবদেবীদের হাজারো লুচ্চামি, দোষ-ত্রুটি হিন্দুরা মেনে নেয়, কারণ মানব সভ্যতার ইতিহাসে এদের ভালো-মন্দ অবদানের কথা স্মরণ করে এদেরকে “ভগবান” জ্ঞান করলেও ঠিকই জানে এরাও রক্তে-মাংসে গড়া মানুষ ছিল। হিন্দুরা এটাও জানে এদেরকে সম্মান-ভক্তি করলেও এদের কর্মকাণ্ড হুবহু অনুসরণ না করে নিজেদের বিবেক-বুদ্ধি খাটিয়ে পথ চলতে হয়, না হলে সভ্যতা আগায় না, সমাজ সংস্কার হয় না।
মুসলমানদের বেলায় সেটি হবার জো নেই। কারণ ধর্মের অন্যতম প্রধান শর্ত নবীর সুন্নত পালনের নামে মুসলমানরা নবীর সমস্ত কর্মকাণ্ড হুবহু অনুসরণ করতে বাধ্য। কিন্তু এই সুন্নত পালন করতে গিয়েই মুসলমানরা বোঝে যে সব পালন করা সম্ভব তো নয়ই, বরং নবীর বেশিরভাগ কর্মকাণ্ড বর্তমান কালে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
একদিকে ধর্মপালনের ইচ্ছা, আরেকদিক সুন্নাত পালন করতে গিয়ে এই লজ্জায় পড়া… মাঝখান থেকে নাস্তিকরা নবীর এইসব দিকগুলো আবার খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে সামনে এনে দিলে মুসলমানরা পড়ে আরো লজ্জায়। তখন না পারে কইতে, না পারে সইতে। বাধ্য হয়ে রাগের ঠেলায় হয় গালাগালি, নয়তো নাস্তিকদের কল্লা ফেলাও…
Leave a Reply