• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

পাল্লাহু । pAllahu

দাঁড়িপাল্লা ধমাধম-এর বাংলা ব্লগ

  • পাল্লাব্লগ
  • চুতরাপাতা
  • মহাউন্মাদ
  • ধর্মকারী
  • রেফারেন্স
  • ট্যাগস

প্রতিদিন একটি আয়াত (সূরা তওবা, আয়াত ২৯)

You are here: Home / চুতরাপাতা / প্রতিদিন একটি আয়াত (সূরা তওবা, আয়াত ২৯)
May 25, 2015

তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে। (৯:২৯)

আরেকটি অনুবাদঃ
২৯। যারা আল্লাহ্‌তেও ঈমান আনে না ও শেষ [বিচারের] দিনেও বিশ্বাস করে না, যা আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূল কর্তৃক নিষিদ্ধ [ঘোষণা] করা হয়েছে, তা নিষিদ্ধ বলে গণ্য করে না, [যদিও তারা কিতাবধারী জাতি তবুও] তারা সত্য দ্বীনকে স্বীকার করে না; তাদের সাথে যুদ্ধ করবে যতক্ষণ না তারা স্ব-ইচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জিজিয়া [কর] দেয় এবং নিজেদের পরাভূত মনে করে ১২৮১; ১২৮২।

(আরবি উচ্চারণঃ Qatiloo allatheena la yu/minoona biAllahi wala bialyawmi al-akhiri wala yuharrimoona ma harrama Allahu warasooluhu wala yadeenoona deena alhaqqi mina allatheena ootoo alkitaba hatta yuAAtoo aljizyata AAan yadin wahum saghiroona)

ইংরেজি অনুবাদঃ
Fight against those who (1) believe not in Allâh, (2) nor in the Last Day, (3) nor forbid that which has been forbidden by Allâh and His Messenger (4) and those who acknowledge not the religion of truth (i.e. Islâm) among the people of the Scripture (Jews and Christians), until they pay the Jizyah with willing submission, and feel themselves subdued.

আরো কয়েকটি বহুল প্রচলিত ইংরেজি অনুবাদঃ
YUSUFALI: Fight those who believe not in Allah nor the Last Day, nor hold that forbidden which hath been forbidden by Allah and His Messenger, nor acknowledge the religion of Truth, (even if they are) of the People of the Book, until they pay the Jizya with willing submission, and feel themselves subdued.

PICKTHAL: Fight against such of those who have been given the Scripture as believe not in Allah nor the Last Day, and forbid not that which Allah hath forbidden by His messenger, and follow not the Religion of Truth, until they pay the tribute readily, being brought low.

SHAKIR: Fight those who do not believe in Allah, nor in the latter day, nor do they prohibit what Allah and His Messenger have prohibited, nor follow the religion of truth, out of those who have been given the Book, until they pay the tax in acknowledgment of superiority and they are in a state of subjection.

KHALIFA: You shall fight back against those who do not believe in GOD, nor in the Last Day, nor do they prohibit what GOD and His messenger have prohibited, nor do they abide by the religion of truth – among those who received the scripture – until they pay the due tax, willingly or unwillingly.

তাফসীরঃ
১২৮১। “Jizya”- আরবী শব্দটির মূল অর্থ ক্ষতি পূরণ দান করা। মুসলিম সমাজে এই শব্দটি একটি করের পরিভাষারূপে ব্যবহার করা হয়। মুসলমান রাজ্যে বাস করে যারা ইসলাম গ্রহণে অনিচ্ছুক, কিন্তু মুসলমানদের দ্বারা সুরক্ষিত জীবন যাপন করতে চায়, তাদের জন্য এই কর ধার্য্য করা হয়। অর্থাৎ মুসলিম রাজ্যে অমুসলমানেরা যেন সুখ ও শান্তিতে বসবাস করতে পারে সে কারণে মুসলমানেরা তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বভার নেবে, বিনিময়ে তারা কর প্রদান করবে। এই কর দান ছিল অমুসলমানদের পক্ষ থেকে স্বীকার করে নেয়া যে, তাদের ধর্ম বিশ্বাসকে মুসলমানরা সহ্য করবে, কিন্তু বিনিময়ে তারা ইসলামের অগ্রগতি ও সংহতিতে কোন বাঁধার সৃষ্টি করবে না। অমুসলমানদের উপরে ধার্য এই করকে ধরা যায় তাদেরকে দেশের প্রতিরক্ষার দায়িত্ব থেকে মুক্তি দেওয়া – কর দানের পরিবর্তে। জিজিয়া করের কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ কোরআন শরীফে ধার্য্য করা হয় নাই। ঈমান শাফিঈ মনে করেন যে, বৎসরে এর পরিমাণ হবে এক দিনার। অবশ্যই এই দিনার হবে আরবের স্বর্ণমুদ্রা। ট্যাক্স বা করের পরিমাণের তারতম্য হতে পারে। গরীব লোক, স্ত্রীলোক এবং শিশু, ক্রীতদাস, সাধু সন্ন্যাসীদের ক্ষেত্রে কর রহিত হতে পারে [আবু হানিফার মত অনুযায়ী]। প্রতীয়মান হয় যে, অমুসলমান যুবকদের দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী থেকে এই করের পরিবর্তে রেহাই দান করা হয় [পরবর্তী টীকাতে দেখুন]।

১২৮২। “An Yadin” – আরবী শব্দটির পরিভাষা হওয়া উচিৎ “হাত থেকে”। কিন্তু শব্দটিকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা হয়। এখানে “হাত” শব্দটিকে ক্ষমতা এবং কর্তৃত্বের প্রতীক হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। (মাওলানা ইউসুফ আলী সাহেব) ইংরেজীতে শব্দটিকে এভাবে প্রকাশ করা হয়েছে – “In token of willing submission” বাংলা অনুবাদ হয়েছে, “তারা আত্মসমর্পণ করে।” অর্থাৎ জিজিয়া শব্দটিকে অমুসলমানদের দেশের প্রতিরক্ষা দায়িত্ব থেকে রেহাই দেয়ার বিনিময় হিসাবে বিবেচনা করা যায়। যেহেতু বাৎসরিক করের পরিমাণ অতি সামান্য, এবং এই কর থেকে রেহাই দেয়া হয়েছে অসংখ্য অমুসলিমকে, সুতরাং একে আনুগত্যের প্রতীক হিসেবে এবং দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী থেকে রেহাই দেয়ার প্রতীক হিসেবে ধরা অধিক যুক্তিযুক্ত।

========================
আগের আয়াতঃ
হে ঈমানদারগণ! মুশরিকরা তো অপবিত্র। সুতরাং এ বছরের পর তারা যেন মসজিদুল-হারামের নিকট না আসে, আর যদি তোমরা দারিদ্রের আশংকা কর, তবে আল্লাহ চাইলে নিজ করুনায় ভবিষ্যতে তোমাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (৯:২৮)

পরের আয়াতঃ
ইহুদীরা বলে ওযাইর আল্লাহর পুত্র এবং নাসারারা বলে ‘মসীহ আল্লাহর পুত্র’। এ হচ্ছে তাদের মুখের কথা। এরা পূর্ববর্তী কাফেরদের মত কথা বলে। আল্লাহ এদের ধ্বংস করুন,এরা কোন উল্টা পথে চলে যাচ্ছে। (৯:৩০)

==========================

হয় ইসলাম গ্রহণ করবে, নয়তো জিজিয়া কর প্রদান–এই দুইটা অপশনের একটা গ্রহণ না করা পর্যন্ত (বিধর্মীরা যুদ্ধ করুক বা না করুক) মুসলমানরা বিধর্মীদের সাথে যুদ্ধ করবে। তাইতো?

Category: চুতরাপাতাTag: আয়াত
Previous Post:বাঙালি মুসলমান মানস
Next Post:মুসলমানদের লিস্ট

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পাল্লাহু । pAllahu • ফেসবুক • পেজ • টুইটার

Return to top