১. গ্রামের দিকে মাটিকাটা মহিলা শ্রমিক দেখছেন কেউ? গুগল করলাম…যেগুলা পেলাম মোটামুটি সবার গায়ে ব্লাউজ আছে। তবে আমি বাস্তবে যত দেখছি, কারো ব্লাউজ ছিল না। দু চার জনের থাকলেও আনফিট, ছেঁড়া… আশেপাশের কারো কাছেই দৃশ্যটা (“সেএণ্ডক্সুয়ালিটির দিক দিয়ে”) কখনোই অস্বাভাবিক লাগে নাই, খারাপ লাগে নাই। তাদেরকে উদ্দেশ্য করে কাউকে কোনোদিন কোনো বাজে মন্তব্য করতে শুনি নাই। কোনো ছোট পোলাপান না বুঝে হয়তো বলত, ফুপু/চাচী/খালা তোমার ব্লাউজ ছিঁড়া গেছে! ফুপু/চাচী/খালারা উত্তর দিত–তোর বাপেরে ক নতুন একটা কিনা দিতে…
২. একবার আমাদের পুকুর কাটা হইছিল… পুরুষদের পাশাপাশি গ্রামের অনেক মহিলারাও মাটি কাটায় অংশ নিয়েছিল। মজুরি যদিও পুরুষদের চেয়ে কম পেত (সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ)। বিশ্রাম নেয়ার সময় অনেকে আবার পুরুষদের সাথে পা ছড়িয়ে বসে বিড়ি টানত। কোনোদিন অস্বাভাবিক মনে হয় নাই এগুলো।
৩. বাড়িতে ফসল উঠলেই আশে-পাশের প্রতিবেশী আপা/ফুপু/চাচী/খালারা আসত হেল্প করতে। সকালে খেয়ে আসত। দুপুরে কাজের ফাঁকে গুড়-মুড়ি খেত। আর বিকেলে গোসল করে আমাদের ঘরে খেত। চৈত্র-বৈশাখের গরমে ধান উড়ানো, খড় নাড়া… সবাই একেবারে সিদ্ধ হয়ে যেত। মাঝে মাঝে গাছতলায় বসে একটু জিরিয়ে নিত। ব্লাউজ ছিল না অনেকেরই। যাদের ছিল, তারাও ঘাম হলে খুলে ফেলত। গাছতলায় বসে বুকের আঁচল খুলে হাত মুখ পিঠ মুছত। আপুরাও কাজের সময় প্রায়ই ওড়না খুলে রাখত, কিংবা কোমরে বেঁধে রাখত। কেউ কোনোদিন বলেনি দৃশ্যটা খারাপ।
৪. পুকুরে গোসল করার সময় নারী-পুরুষ ছেলে-মেয়ে সবাই এক ঘাটে গোসল করছে। পিঠ খুলে দিয়ে এ ওকে বলত পিঠটা একটু ডলে দিতে, সাবান মেখে দিতে…। শুধু সম্পর্কে শ্বশুর বা ভাসুর হলে তাদের স্পর্শ এড়িয়ে থাকত। তাদের দেখলে শুধু মাথার কাপড়টা টেনে দিত। এছাড়া কারো শরীরে কখনো কোনো লজ্জা সংকোচ ভয় দেখিনি।
৫. ইদানিং শুনি একটু খোলা পিঠের বা পেটের একটু অংশ দেখলেই ছেলেদের ঈমানদণ্ড খাড়া হয়ে যাচ্ছে! হঠাত করে এই ঈমানদণ্ড উত্থিত হওয়ার সমস্যাটা আসলে কোথায়?
Leave a Reply