নিউইয়র্কে ফালুর এনটিভির অফিসে বেশ ঘটা করে পহেলা বৈশাখ পালন করা হলো। অফিসটা আবার এক পাকিস্তানির বিল্ডিং-এ। শাড়ির পাশাপাশি হিজাবও দেখা গেছে কিছু। তবে কালো নয়; রঙিন হিজাব। দাড়ি-টুপি পরা হুজুরও দেখা গেছে সেখানে। এ নিয়ে কাউকে বলতে শোনা গেলো না যে পহেলা বৈশাখ পালন করা হারাম।
২. ফালুর অবিবাহিত স্ত্রী ফালুদাও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বেশে সেজেগুজে বের হয়েছিলেন। কাউকে বলতে শোনা গেলো না–“এই ছেমড়ি তোর বুরখা-হিজাব কই?”
৩. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়া নাকি পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সৌজন্যমূলক কার্ড বিনিময় করেছেন। এ নিয়ে লছাগুরে বলতে শোনা গেলো না যে পহেলা বৈশাখ পালন করা হারাম।
৪. কিছু মেয়ে পিঠ খোলা রেখে নাভির নিচে শাড়ি পরে পহেলা বৈশাখে বের হয়েছিল। এ নিয়ে কিছু মুক্তাবালের ধারণা, তাতে নাকি দেশ “যৌনপল্লী” হয়ে গেছে, আর তাদের গায়ে হাত দেয়া জায়েজ! এদেরকে কেমনে বুঝাই কেউ ন্যাংটা হইয়া হাঁটলেও তার গায়ে হাত দেয়ার অধিকার কারো নাই…
৫. সিলেটে এক গৃহবধুকে ধর্ষণ করল এক ইমাম। কারো ধর্মানুনুভোদায় আঘাত লাগার কথা শোনা গেল না।
৬. প্রেমিক-প্রেমিকেরা হাত ধরাধরি করে হাঁটলে, চুম্মাচাটি করলে দেশের আবাল জনগণ থেকে শুরু করে পুলিশ-প্রশাসন সবার চুলকানি পূর্বক ধর্মানুনুভোদায় আঘাত লাগে। কিন্তু তাদের চোখের সামনে কয়েকজনে মিলে মেয়েদের উপর যৌন-নির্যাতন চালালে সেইটারে বলে ইসলাম প্রতিষ্ঠা।
৭. শাড়ি পরে কিছু মেয়ে টিএসসিতে পহেলা বৈশাখ পালন করতে করতে গেলে কিছু মুসলমান মেয়েদেরকে ন্যাংটা করে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করল। চাপাতির কোপ বাদেও যে এভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা যায়, সেটা আমরা আবার নতুন করে শিখলাম।
Leave a Reply