জ্ঞানার্জনের জন্য পাবলিকে হুদাই ইশকুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে সময়, অর্থ ও শ্রম অপচয় করে। সমস্ত জ্ঞান রাখা আছে কিন্তু একটা মাত্র কিতাবে। পৃথিবী ও সভ্যতার অগ্রগতি ও বিজ্ঞানের অভাবনীয় সব আবিষ্কারের পেছনে শুধু একটি কিতাবেরই অবদান আছে। সেটার নাম কোরান শরীফ। এই কিতাব থেকে আইডিয়া চুরি করে ইহুদি-নাসারা বৈজ্ঞানিকেরা, কিন্তু এই চোরের দল সেই কথা কখনও স্বীকার করে না। তবে মনে রাইখেন, সকল জ্ঞানের আকর এই কিতাব ইছলামীরা দিবারাত্র অধ্যয়ন করেও একটি যৌনকেশও কেন উৎপাটন করতে পারে না, সে প্রসঙ্গ কিন্তু অবান্তর ও অনাবশ্যক!
তো বাংলাদের দুর্গতিশীল দৈনিক বালের কণ্ঠ প্রকাশ করেছে এক সাংবাদিক (লক্ষ্য করুন, মোল্লা-হুজুর নয়) রচিত কালজয়ী একটি নিবন্ধ “আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎসগ্রন্থ আল কোরআন।” সেখান থেকে কিছু অংশ উদ্ধৃত করা হচ্ছে। পুরোটা পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করতে হবে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে এই যে, প্রায় একই বিষয়ে আসিফ মহিউদ্দীনের একটি স্যাটায়ারধর্মী রচনা ধর্মকারীতে প্রকাশিত হয়েছিল। মিলিয়ে দেখুন: এক, দুই। এখন আসিফ মহিউদ্দীন দাবি করছেন, উক্ত সাংবাদিক তাঁর লেখাটি চুরি করে একটু অদলবদল করে পত্রিকায় প্রকাশ করেছেন। সাংবাদিকের বিচার কি তাহলে শরিয়া আইন অনুযায়ী হবে? সেক্ষেত্রে শাস্তি তো একটাই: চোরের হাত কেটে ফেলা।
লেখার লিংক পাঠিয়েছেন নিলয় নীল।
আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎসগ্রন্থ আল কোরআন
মিরাজ রহমান
আজকে বিজ্ঞান যা আবিষ্কার করছে, সত্য-সঠিকভাবে সেসব বিষয়ের অনেক কিছু পবিত্র কোরআনে আলোচিত হয়েছে এক হাজার ৪০০ বছর আগেই।
পবিত্র কোরআনই যে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূল উৎসগ্রন্থ আলোচন্য প্রবন্ধের মধ্যে বেশ কয়েকটি উদাহরণের মাধ্যমে সে বিষয়টিকেই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।
এক. জন ডালটন। … বিজ্ঞানভিত্তিক ইতিহাসের আলোচনা অনুযায়ী জন ডালটনই প্রথম ‘পরমাণুর তত্ত্ব’ প্রস্তাব করেছিলেন। যে প্রস্তাবনা বর্তমান সময় পর্যন্তও ‘ডালটনের পরমাণুবাদ’ হিসেবে পরিচিত। … পরমাণুবাদের এই থিওরি তিনি ধার নিয়েছেন। কোথা থেকে ধার নিয়েছেন? হ্যাঁ, পবিত্র কোরআন থেকে এই চিন্তাকে ধার নিয়েছেন ডালটন। কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে এই পরমাণুবাদের আলোচনা স্থান লাভ করেছে। …শোনা যায়, গোপনে এই রসায়নবিদ বিজ্ঞানী (জন ডালটন) কোরআন পাঠ করতেন এবং শেষ জীবনে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।
দুই. জেমস ওয়াটসন (১৯২৮-মৃত্যু জানা যায়নি) এবং ফ্রান্সিস ক্রিক (১৯১৬-২০০৪) উভয়ই মার্কিন বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানের ইতিহাসবিদদের প্রদান করা তথ্য অনুযায়ী তারা ডিএনএ কাঠামোর প্রথম নির্ভুল মডেল নির্মাণ করেছিলেন। আমরাও স্বীকার করি, তারা তা করেছিলেন; কিন্তু আমরা ঠিক এভাবে বলছি না। আমরা বলতে চাই, এই ডিএনএ কাঠামো জেমস ওয়াটসন বা ফ্রান্সিসের নিজস্ব বা একক কোনো আবিষ্কার নয়; পবিত্র কোরআনের থিওরি ধার নিয়ে তাঁরা এ কাজ করেছেন। কারণ এই ডিএনএ কাঠামো সম্পর্কে তাঁদের সময়ের অনেক আগে নাজিল হওয়া পবিত্র কোরআনে আলোচনায় পাওয়া গেছে।…
তিন. বিজ্ঞানের ছাত্র মাত্র সবারই জানা, স্যামুয়েল মোর্স নামক আমেরিকান বিজ্ঞানী মোর্স কোড আবিষ্কার করেছেন। আমরাও মানি তিনি আবিষ্কার করেছেন এই কোড তত্ত্ব; কিন্তু তিনি কখনোই যেটা স্বীকার করেননি সেটা হচ্ছে; এই আবিষ্কার তিনি কিভাবে করেছেন। তবে হ্যাঁ, আমরা এটা স্বীকার করছি এবং বলছি, মোর্স সাহেব কোরআন পাঠ করে মোর্স কোড তথা টেলিগ্রাফ আবিষ্কার করেছেন। কারণ তার সময়ের অনেক আগেই পবিত্র কোরআনে এই টেলিগ্রাফ বা বার্তাবিষয়ক আলোচনা স্থান লাভ করেছে।…
চার. আলবার্ট আইনস্টাইন। পৃথিবীখ্যাত বিজ্ঞানী। আইনস্টাইনের ব্যাপারে বলা হয়, নবীজি (সা.)-এর পর পৃথিবীর মানুষের মধ্যে মস্তিষ্কের সবোঁচ্চ ব্যবহারকারী ব্যক্তিত্ব হলেন তিনি। ১৮৭৯ তাঁর জন্ম এবং মৃত্যু ১৯৫৫ সালে। জার্মান বংশোদ্ভূত মার্কিন এই পদার্থবিজ্ঞানী আপেক্ষিকতাবাদসহ বেশ কিছু তত্ত্বের আবিষ্কারক। আইনস্টাইন এই আপেক্ষিকতাবাদকেও আমরা মূলত এককভাবে তাঁর আবিষ্কার বলে মানতে রাজি নই। কারণ এই আপেক্ষিকতাবাদ সমপর্কে আইনস্টানের জন্মেরও অনেক আগে নাজিল হওয়া পবিত্র কোরআনে আলোচনা স্থান লাভ করেছে। অন্য বিভিন্ন বিজ্ঞানীর মতো আইনস্টাইনও পবিত্র কোরআন রির্সাচ করেছেন এবং এ কোরআন থেকে থিওরি গ্রহণ করে আপেক্ষিকতাবাদ সৃষ্টি করেছেন। চলুন তাহলে দেখি পবিত্র কোরআন এই আপেক্ষিকতাবাদ সম্পর্কে কী বলেছে।…
পাঁচ. চার্লস ডারউইন। প্রখ্যাত বিজ্ঞানী। বিবর্তনবাদের তত্ত্ব আবিষ্কার করার জন্য দুনিয়াব্যাপী বিখ্যাত তিনি। ঠিক আছে, আমরাও মানছি তাঁর এই আবিষ্কার। তিনিই প্রথম পৃথিবীর মানুষকে শুনিয়েছেন বিবর্তনবাদের কথা। কিন্তু এই বিবর্তনবাদের চিন্তা তার মাথায় কিভাবে এসেছিল? কোথা থেকে পেলেন তিনি এই থিওরি? তা কিন্তু আমরা কখনো ভাবিনি। হ্যাঁ, এবার শুনুন তাহলে, পবিত্র কোরআন পড়েই তিনি প্রথম বিবর্তনবাদের প্রাথমিক সূত্র বুঝতে সক্ষম হন এবং পবিত্র কোরআনের থিওরির ওপর ভর করে বিবর্তনবাদের সূত্র আবিষ্কার করেন।…
লেখক : সাংবাদিক
Leave a Reply